ছিয়ামের নিয়ত করা :
ফজরের পূর্বে ফরয ছিয়ামের নিয়ত করতে হবে।৬৪'' আর সূর্য ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত নফল ছিয়ামের নিয়ত করা যাবে।'৬৫''
৬৪. তিরমিযী হা/৭৩০ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৯৮৭।
৬৫.তিরমিযী হা/৭৩৪; আবুদাউদ হা/২৪৫৫; দারাকুত্নী হা/২১ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, হাদীছ ছহীহ; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য মির'আত হা/২০০৭-এর আলোচনা।
ফজরের পূর্বে ফরয ছিয়ামের নিয়ত করতে হবে।৬৪'' আর সূর্য ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত নফল ছিয়ামের নিয়ত করা যাবে।'৬৫''
৬৪. তিরমিযী হা/৭৩০ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৯৮৭।
৬৫.তিরমিযী হা/৭৩৪; আবুদাউদ হা/২৪৫৫; দারাকুত্নী হা/২১ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, হাদীছ ছহীহ; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য মির'আত হা/২০০৭-এর আলোচনা।
‘নিয়ত’ (النِّيَّة) অর্থ, মনন করা বা সংকল্প করা। অতএব মনে মনে ছিয়ামের সংকল্প করাই যথেষ্ট । ছালাত-ছিয়াম বা অন্য কোন ইবাদতের শুরুতে আরবী বা অন্য কোন ভাষায় মুখে নিয়ত পড়া বিদ'আত ।
আল্লাহ বলেন,
আল্লাহ বলেন,
وَمَا أُمِرُوا إِلالِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ
'অথচ তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা খালেছ অন্তরে একনিষ্ঠভাবে কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে' (বাইয়েনাহ ৯৮/৫)।
হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘নিয়ত' অর্থ মনন করা ও কোন কাজে সংকল্প করা। যার স্থান হ'ল হৃদয়। এর সাথে যবানের কোন সম্পর্ক নেই। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে নিয়ত মুখে বলার বিষয়ে কিছুই বর্ণিত হয়নি। এক্ষণে ত্বাহারাৎ ও ছালাতের শুরুতে মুখে যেসব নিয়ত বলা হয়ে থাকে, এগুলি শয়তান তার ওয়াসওয়াসার অনুসারীদের মাধ্যমে চালু করেছে। সে তাদেরকে একাজে আটকে দিয়েছে ও এর বৈধতা অনুসন্ধানের জন্য লিপ্ত করেছে। তুমি তাদের কাউকে দেখবে ‘নিয়ত’ পড়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছে ও গলদঘর্ম হচ্ছে। অথচ ছালাতের দিকে মনোযোগ নেই । ৬৬''
৬৬. ফিকহুস সুন্নাহ ১/১০০-০১; ইবনুল ক্বাইয়িম, ইগাছাতুল লাহফান ১/১৩৬-৩৭ পৃ. ।
হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘নিয়ত' অর্থ মনন করা ও কোন কাজে সংকল্প করা। যার স্থান হ'ল হৃদয়। এর সাথে যবানের কোন সম্পর্ক নেই। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে নিয়ত মুখে বলার বিষয়ে কিছুই বর্ণিত হয়নি। এক্ষণে ত্বাহারাৎ ও ছালাতের শুরুতে মুখে যেসব নিয়ত বলা হয়ে থাকে, এগুলি শয়তান তার ওয়াসওয়াসার অনুসারীদের মাধ্যমে চালু করেছে। সে তাদেরকে একাজে আটকে দিয়েছে ও এর বৈধতা অনুসন্ধানের জন্য লিপ্ত করেছে। তুমি তাদের কাউকে দেখবে ‘নিয়ত’ পড়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছে ও গলদঘর্ম হচ্ছে। অথচ ছালাতের দিকে মনোযোগ নেই । ৬৬''
৬৬. ফিকহুস সুন্নাহ ১/১০০-০১; ইবনুল ক্বাইয়িম, ইগাছাতুল লাহফান ১/১৩৬-৩৭ পৃ. ।
শায়েখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (১৩৩০-১৪২০ হি.) বলেন, মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদ'আত। সরবে পাঠ করা কঠিন পাপ (যেমনটি জানাযার সময় অনেক ইমাম মুছল্লীদেরকে পাঠ করিয়ে থাকেন)। কারণ নিয়তের স্থান হ'ল হৃদয়। আর আল্লাহ মানুষের গোপন কথা ও সূক্ষ্ম বিষয় সমূহ জানেন। যেমন আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
'নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরসমূহের খবর জানেন' (আলে ইমরান ৩/১১৯)।
তিনি বলেন,
তিনি বলেন,
يَعْلَمُ حَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ
তিনি জানেন তোমাদের চোখের চুরি ও অন্তরের লুকানো বিষয়সমূহ' (মুমিন ৪০/১৯)।
এতদ্ব্যতীত রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর কোন ছাহাবী থেকে কিংবা কোন অনুসরণীয় ইমাম থেকে মুখে নিয়ত বলার বিষয়ে কিছুই প্রমাণিত হয়নি ।৬৭''
৬৭. ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ ২/৩১৫ পৃ. (আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (১৩৩০- ১৪২০ হি.), মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন (১৩৪৭-১৪২১ হি.), আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (১৩৫২-১৪৩০ হি.); তাহকীক : মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আযীয আল-মুসনাদ (১৩৫০-১৪২৮হি.)।
এতদ্ব্যতীত রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর কোন ছাহাবী থেকে কিংবা কোন অনুসরণীয় ইমাম থেকে মুখে নিয়ত বলার বিষয়ে কিছুই প্রমাণিত হয়নি ।৬৭''
৬৭. ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ ২/৩১৫ পৃ. (আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (১৩৩০- ১৪২০ হি.), মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন (১৩৪৭-১৪২১ হি.), আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন (১৩৫২-১৪৩০ হি.); তাহকীক : মুহাম্মাদ বিন আব্দুল আযীয আল-মুসনাদ (১৩৫০-১৪২৮হি.)।
শায়েখ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-ওছায়মীন (১৩৪৭-১৪২১ হি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে ছালাত ও ছিয়াম বা কোন ইবাদতের পূর্বে মুখে নিয়ত বলা সম্পর্কে কিছুই বর্ণিত হয়নি। এমনকি হজ্জ ও ওমরাহ্ পূর্বে তিনি বলেননি যে, হে আল্লাহ! আমি হজ্জ বা ওমরাহ্ জন্য নিয়ত করছি'। এক্ষণে হজ্জ ও ওমরার সময় যে তালবিয়াহ পাঠ করা হয়, তা মানতের উচ্চারণের ন্যায়। কারণ মানত মুখে করতে হয়। কেবল হৃদয়ে নিয়ত করলেই হয় না। আর উক্ত তালবিয়ার ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘(মদীনার যুল-হুলায়ফার নিকটবর্তী) আক্বীক্ব উপত্যকায় এক রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে জিব্রীল এসে আমাকে বলল, আপনি এখানে ছালাত পড়ুন এবং বলুন, ‘আমি ওমরাহ করব' অথবা ‘ওমরাহ ও হজ্জ করব' ৬৮''
৬৮. বুখারী হা/১৫৩৪; মিশকাত হা/২৭৫৮ ‘মানাসিক' অধ্যায়, রাবী আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস(রাঃ)।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে অদূর ভবিষ্যতে ওমরাহ বা হজ্জ করার তাকীদ দিয়েছেন (মিরকাত)। অতএব তালবিয়াহ পাঠের সময় তিনি নিয়ত করেননি, বরং তালবিয়াহর মধ্যে তিনি তাঁর ইবাদতের কথাটি বর্ণনা করেছেন'৬৯''
৬৯. ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ, প্রশ্নোত্তর সংখ্যা ৩১৮২১,২/২১৬পৃ.
ছিয়ামওক্বিয়াম
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব