‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর গর্ভধারণের প্রথম মাসগুলোতে (১/৩) রূহ ফুঁকে দেয়ার পূর্বে গর্ভপাত করার হুকুম কি?

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
782
Comments
920
Reactions
8,677
Credits
4,102
উত্তর: সৌদি উচ্চ উলামা পরিষদের সিদ্ধান্ত নিম্নরূপ:

১। যথাযথ শরয়ি কারণ ও খুবই সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে ব্যতীত গর্ভস্থিত ভ্রুণ যে ধাপের হোক না কেন সেটা নষ্ট করা নাজায়েয।

২। যদি গর্ভস্থিত ভ্রুণটি প্রথম ধাপে থাকে; প্রথম ধাপ হলো চল্লিশ দিনের সময়সীমায়; এবং গর্ভপাত করার মধ্যে কোন শরয়ি কল্যাণ থাকে কিংবা কোন ক্ষতি রোধকরণ থাকে তাহলে গর্ভপাত করা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে এই সময়সীমার মধ্যে গর্ভপাতের কারণ যদি হয় সন্তানদের প্রতিপালনের কষ্ট কিংবা তাদের জীবিকা ও শিক্ষার ব্যয়ভার বহনের ভয় কিংবা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর যে কয়জন সন্তান আছে তারাই যথেষ্ট এগুলো; তাহলে গর্ভপাত করা নাজায়েয।

৩। যদি গর্ভস্থিত ভ্রুণ রক্তপিণ্ড বা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয় (সেটা হয় দ্বিতীয় চল্লিশ দিনে ও তৃতীয় চল্লিশ দিনে) তাহলে সেই ভ্রুণ নষ্ট করা জায়েয নয়; যদি না কোন বিশ্বস্ত ডাক্তারদের টীম এই সিদ্ধান্ত দেয় যে, এই গর্ভধারণ অব্যাহত রাখা মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিজনক; যেমন গর্ভধারণ অব্যাহত রাখলে মায়ের মৃত্যু ঘটার আশংকা করা; সেক্ষেত্রে এই আশংকাকে রোধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর গর্ভপাত করা জায়েয হবে।

৪। তৃতীয় ধাপের পর তথা চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর গর্ভপাত করা বৈধ হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না একদল বিশেষজ্ঞ বিশ্বস্ত ডাক্তার এই মর্মে সিদ্ধান্ত দেয় যে, ভ্রুণটি মায়ের গর্ভে থেকে গেলে মায়ের মৃত্যু ঘটতে পারে। এটি করা যাবে ভ্রুণটিকে বাঁচিয়ে রাখার সকল উপায়-উপকরণ গ্রহণ করার পর। গর্ভপাত করার অবকাশ এই শর্তগুলো পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এই ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে যে, দুটো ক্ষতির মধ্যে বড় ক্ষতিটিকে রোধ করা ও অপেক্ষাকৃত বড় কল্যাণটি আনয়ন করা।

[ফতোয়া সূত্র: ইসলাম কিউএ. ইনফো, ফতোয়া নং ৪২৩২১]
 

Share this page