আবূ গালিব থেকে—যিনি বলেন:
“আমি দিমাস্কের মসজিদে ছিলাম এবং মসজিদে যাওয়ার পথে হারুরিয়ার খাওরিজদের ৭০ জন নেতার কাটা মাথা খাড়া করে রাখা হয়েছিল৷ যখন আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه] আসলেন, তিনি [رضي الله عنه] তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং কান্না করা শুরু করে দিলেন এবং তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘সুব-হানা-ল্লাহ্, শয়ত্বান আদম সন্তানদের সাথে [এ] কি করলো!’ তিনি এটি তিনবার বললেন, তারপরে তিনি বললেন: ‘জাহান্নামের কুকুর, জাহান্নামের কুকুর, আসমানের চামড়ার [ছাদের] নিচে নিকৃষ্টতম নিহত এরা।’ তিনি [رضي الله عنه] এটি তিনবার বললেন, ‘আর এরা যাদেরকে নিহত করেছে তারা আসমানের চামড়ার [ছাদের] নিচে নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম লোক। তুবা [জান্নাতি গাছ]— তার জন্য যে তাদের নিহত করে বা তাদের দ্বারা নিহত হয়।’ আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه] আমার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন: ‘হে আবূ গালিব, তুমি কি এই লোকদের মতো একই জায়গা থেকে এসেছো?’ আমি বললাম: ‘হ্যাঁ।’ তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘আল্লাহ্ যেন তোমাকে এদের থেকে রক্ষা করেন, তুমি কি সূরাহ্ আলে-ইমরান পড়ো?’ আল্লাহ্ বলেন:
“তিনিই তোমার উপর এমন ক্বিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হল ক্বিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়; কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত: এর মর্ম আল্লাহ্ ছাড়া কেউই জানে না। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলত: জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নসীহত গ্রহণ করে না।”
[সূরাহ্ আলে-ইমরান: ০৭]
নিশ্চয়ই এই লোকদের অন্তরে বিচ্যুতি রয়েছে, তাই তারা পথচ্যুত হয়ে গিয়েছে, এবং তিনি বলেন:
‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে আর কতক মুখ কালো হবে, যাদের মুখ কালো হবে— [তাদেরকে বলা হবে], ‘তোমরা কি ঈমান আনার পরও কুফরী করেছিলে? কাজেই নিজেদের কুফরীর জন্য শাস্তি ভোগ করতে থাক।’ [সূরাহ্ আলে-ইমরান: ১০৬]
আমি বললাম: ‘হে আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه], আমি আপনাকে কান্না করতে দেখেছি।’ তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘হ্যাঁ, তাদের জন্য দয়া হচ্ছে, কারণ প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি [رضي الله عنه] বলতে থাকলেন: ‘ইসরায়েলের সন্তানরা একাত্তর দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং এই উম্মাহ্’র অতিরিক্ত একটি দল থাকবে, আস-সাওয়াদ আল-‘আছাম ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম: ‘হে আবূ উমামাহ্, খাওয়ারিজরা কি করছে তা কি আপনি দেখছেন না?’ তিনি বললেন:
‘আর তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। তোমরা যদি তার আনুগত্য কর তবে সঠিক পথ পাবে, রসূলের দায়িত্ব হচ্ছে স্পষ্টভাবে [বাণী] পৌঁছে দেয়া।’[সূরাহ্ নূর: ৫৪]
তোমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার জন্য তুমিই দায়ী। যদি তুমি রাসূল ﷺ-এর আনুগত্য কর তবে [তুমি] সঠিক পথে থাকবে৷ রাসূলের দায়িত্ব হচ্ছে বাণী পৌঁছে দেয়া এবং বিভক্ত হওয়া ও পাপ করার চেয়ে আনুগত্য করা উত্তম।’
এক ব্যক্তি উনাকে বললো: ‘হে আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه], এটা কি আপনার মত নাকি এটি আপনি রাসূল ﷺ থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন: ‘যদি আমি তা [নিজের মত পেশ] করি তাহলে তো আমি একটা নির্বোধ। বরং এটি এমন একটি বিষয় যা আমি আল্লাহ্'র রাসূল ﷺ-এর কাছ থেকে শুনেছি, একবার বা দুইবার না৷’ তিনি [رضي الله عنه] অভিহিত করেছেন যে তিনি এটি সাতবার শুনেছেন।”[মুসনাদে আহমাদ; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৭৮৯২; সুনানে তিরমিযী]
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
“আমি দিমাস্কের মসজিদে ছিলাম এবং মসজিদে যাওয়ার পথে হারুরিয়ার খাওরিজদের ৭০ জন নেতার কাটা মাথা খাড়া করে রাখা হয়েছিল৷ যখন আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه] আসলেন, তিনি [رضي الله عنه] তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং কান্না করা শুরু করে দিলেন এবং তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘সুব-হানা-ল্লাহ্, শয়ত্বান আদম সন্তানদের সাথে [এ] কি করলো!’ তিনি এটি তিনবার বললেন, তারপরে তিনি বললেন: ‘জাহান্নামের কুকুর, জাহান্নামের কুকুর, আসমানের চামড়ার [ছাদের] নিচে নিকৃষ্টতম নিহত এরা।’ তিনি [رضي الله عنه] এটি তিনবার বললেন, ‘আর এরা যাদেরকে নিহত করেছে তারা আসমানের চামড়ার [ছাদের] নিচে নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম লোক। তুবা [জান্নাতি গাছ]— তার জন্য যে তাদের নিহত করে বা তাদের দ্বারা নিহত হয়।’ আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه] আমার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন: ‘হে আবূ গালিব, তুমি কি এই লোকদের মতো একই জায়গা থেকে এসেছো?’ আমি বললাম: ‘হ্যাঁ।’ তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘আল্লাহ্ যেন তোমাকে এদের থেকে রক্ষা করেন, তুমি কি সূরাহ্ আলে-ইমরান পড়ো?’ আল্লাহ্ বলেন:
هُوَ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتٰبَ مِنْهُ اٰيٰتٌ مُّحْكَمٰتٌ هُنَّ اُمُّ الْكِتٰبِ وَاُ خَرُ مُتَشٰبِهٰتٌ ۗ فَاَ مَّا الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُوْنَ مَا تَشَا بَهَ مِنْهُ ابْتِغَآءَ الْفِتْنَةِ وَا بْتِغَآءَ تَأْوِيْلِهٖ ۚ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيْلَهٗۤ اِلَّا اللّٰهُ ۘ وَ الرّٰسِخُوْنَ فِى الْعِلْمِ يَقُوْلُوْنَ اٰمَنَّا بِهٖ ۙ كُلٌّ مِّنْ عِنْدِ رَبِّنَا ۚ وَمَا يَذَّكَّرُ اِلَّاۤ اُولُوا الْاَ لْبَا بِ.‘
“তিনিই তোমার উপর এমন ক্বিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হল ক্বিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়; কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত: এর মর্ম আল্লাহ্ ছাড়া কেউই জানে না। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলত: জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নসীহত গ্রহণ করে না।”
[সূরাহ্ আলে-ইমরান: ০৭]
নিশ্চয়ই এই লোকদের অন্তরে বিচ্যুতি রয়েছে, তাই তারা পথচ্যুত হয়ে গিয়েছে, এবং তিনি বলেন:
يَّوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَّتَسْوَدُّ وُجُوْهٌ ۗ فَاَ مَّا الَّذِيْنَ اسْوَدَّتْ وُجُوْهُهُمْ ۗ اَكَفَرْتُمْ بَعْدَ اِيْمَا نِكُمْ فَذُوْقُوا الْعَذَا بَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ.‘
‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে আর কতক মুখ কালো হবে, যাদের মুখ কালো হবে— [তাদেরকে বলা হবে], ‘তোমরা কি ঈমান আনার পরও কুফরী করেছিলে? কাজেই নিজেদের কুফরীর জন্য শাস্তি ভোগ করতে থাক।’ [সূরাহ্ আলে-ইমরান: ১০৬]
আমি বললাম: ‘হে আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه], আমি আপনাকে কান্না করতে দেখেছি।’ তিনি [رضي الله عنه] বললেন: ‘হ্যাঁ, তাদের জন্য দয়া হচ্ছে, কারণ প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি [رضي الله عنه] বলতে থাকলেন: ‘ইসরায়েলের সন্তানরা একাত্তর দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং এই উম্মাহ্’র অতিরিক্ত একটি দল থাকবে, আস-সাওয়াদ আল-‘আছাম ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম: ‘হে আবূ উমামাহ্, খাওয়ারিজরা কি করছে তা কি আপনি দেখছেন না?’ তিনি বললেন:
وَعَلَيْكُمْ مَّا حُمِّلْتُمْ ۗ وَاِ نْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا ۗ وَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِيْنُ.‘
‘আর তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। তোমরা যদি তার আনুগত্য কর তবে সঠিক পথ পাবে, রসূলের দায়িত্ব হচ্ছে স্পষ্টভাবে [বাণী] পৌঁছে দেয়া।’[সূরাহ্ নূর: ৫৪]
তোমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার জন্য তুমিই দায়ী। যদি তুমি রাসূল ﷺ-এর আনুগত্য কর তবে [তুমি] সঠিক পথে থাকবে৷ রাসূলের দায়িত্ব হচ্ছে বাণী পৌঁছে দেয়া এবং বিভক্ত হওয়া ও পাপ করার চেয়ে আনুগত্য করা উত্তম।’
এক ব্যক্তি উনাকে বললো: ‘হে আবূ উমামাহ্ [رضي الله عنه], এটা কি আপনার মত নাকি এটি আপনি রাসূল ﷺ থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন: ‘যদি আমি তা [নিজের মত পেশ] করি তাহলে তো আমি একটা নির্বোধ। বরং এটি এমন একটি বিষয় যা আমি আল্লাহ্'র রাসূল ﷺ-এর কাছ থেকে শুনেছি, একবার বা দুইবার না৷’ তিনি [رضي الله عنه] অভিহিত করেছেন যে তিনি এটি সাতবার শুনেছেন।”[মুসনাদে আহমাদ; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৭৮৯২; সুনানে তিরমিযী]
قطن بن عبد الله أبو مري، عن أبي غالب، قال: كنت في مسجد دمشق فجاءوا بسبعين رأسا من رءوس الحرورية فنصبت على درج المسجد , فجاء أبو أمامة فنظر إليهم فقال: كلاب جهنم , شر قتلى قتلوا تحت ظل السماء , ومن قتلوا خير قتلى تحت السماء , وبكى فنظر إلي وقال: يا أبا غالب , إنك من بلد هؤلاء؟ قلت: نعم , قال: أعاذك قال: أظنه قال: الله منهم: قال: تقرأ آل عمران؟ قلت: نعم , قال: {منه آيات محكمات هن أم الكتاب وأخر متشابهات فأما الذين في قلوبهم زيغ فيتبعون ما تشابه منه ابتغاء الفتنة وابتغاء تأويله وما يعلم تأويله إلا الله والراسخون في العلم} [ آل عمران: 7]
قال: {يوم تبيض وجوه وتسود وجوه فأما الذين اسودت وجوههم أكفرتم بعد إيمانكم فذوقوا العذاب بما كنتم تكفرون} [ آل عمران: 106]. قلت: يا أبا أمامة , إني رأيتك تهريق عبرتك؟ قال: نعم , رحمة لهم , إنهم كانوا من أهل الإسلام , قال: افترقت بنو إسرائيل على واحدة وسبعين فرقة , وتزيد هذه الأمة فرقة واحدة , كلها في النار إلا السواد الأعظم ; عليهم ما حملوا وعليكم ما حملتم , وإن تطيعوه تهتدوا ; وما على الرسول إلا البلاغ , السمع والطاعة خير من الفرقة والمعصية فقال له رجل: يا أبا أمامة , أمن رأيك تقول أم شيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: إني إذا لجريء , قال بل سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم غير مرة ولا مرتين حتى ذكر سبعا.‘
قال: {يوم تبيض وجوه وتسود وجوه فأما الذين اسودت وجوههم أكفرتم بعد إيمانكم فذوقوا العذاب بما كنتم تكفرون} [ آل عمران: 106]. قلت: يا أبا أمامة , إني رأيتك تهريق عبرتك؟ قال: نعم , رحمة لهم , إنهم كانوا من أهل الإسلام , قال: افترقت بنو إسرائيل على واحدة وسبعين فرقة , وتزيد هذه الأمة فرقة واحدة , كلها في النار إلا السواد الأعظم ; عليهم ما حملوا وعليكم ما حملتم , وإن تطيعوه تهتدوا ; وما على الرسول إلا البلاغ , السمع والطاعة خير من الفرقة والمعصية فقال له رجل: يا أبا أمامة , أمن رأيك تقول أم شيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: إني إذا لجريء , قال بل سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم غير مرة ولا مرتين حتى ذكر سبعا.‘
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ রাকিব খান।
Last edited by a moderator: