- Joined
- Nov 27, 2025
- Threads
- 4
- Comments
- 8
- Reactions
- 38
- Thread Author
- #1
কখনোই নিজের ধর্মের বাইরে, সর্বোপরি নিজের মতের বাইরে কাউকে বিয়ে করে শান্তি পাওয়া যায় না। এই জন্যই আল্লাহ পাক বলেছেন, যে, তোমরা অন্য সব কিছুর চাইতে ছেলে বা মেয়ের দ্বীনদারিতাকেই প্রাধান্য দাও, তাতেই কিন্তু বেশি শান্তি পাবে তোমরা। কিন্তু, তার জন্য নিজেকেও আগে দ্বীনদার হতে হবে। কারন, তুমি যেমন, তোমার জীবনসঙ্গীও হবে তেমন। আর তাকে তুমি কখনোই কোনো কারনে বিয়ে কোরো না, যার মধ্যে আল্লাহর আদেশের চাইতে দুনিয়া বেশি প্রাধান্য পায়। কারন, আমি এরকম অনেক ছেলে, মেয়েকে দেখেছি, বিয়ের আগে অনেক দ্বীনদার ছিল! কিন্তু, দ্বীনদারিতার চাইতে বেশি একটা মেয়ের সৌন্দর্য, আর দ্বীনদারিতার চাইতে বেশি একটা ছেলের টাকা, স্ট্যাটাস এইটাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কারনে তাদের নিজেদের দ্বীনদারিতার অবস্থাই আজ আগের চেয়ে তলানিতে! আর একটা জিনিস, এই যে একটা মেয়ের রূপ, আর একটা ছেলের টাকা, স্ট্যাটাস এইসব কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে যাবে না, যাবে শুধুই আমল। তাই কখনোই মেয়েদের রূপ আর ছেলেদের টাকা, স্ট্যাটাসের মোহে পড়ে জীবনের এমন বিয়ের মত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভুল করা যাবে না, যাতে তোমার দ্বীনদারিতাই সংকটে পড়ে যায়। কারন আল্লাহর কাছে তোমার আমলের হিসাব তোমাকেই দিতে হবে, যার জন্য তুমি তোমার দ্বীনদারিতা তলানিতে ঠেকাচ্ছ, সে কিন্তু আল্লাহর কাছে তোমার হয়ে হিসাব দিতে যাবে না! আর সত্যিকারের দ্বীনদার এখনকার এই মুখোশের যুগে বোঝা বড় মুশকিল। এটার একমাত্র উপায়, যিনি তাকদির লিখেছেন, যিনি সত্যিই কার হৃদয় কেমন তা জানেন, তার কাছে চেয়েই পাওয়া সম্ভব। ইনশাআল্লাহ।