If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রশ্ন: কুরআনে বলা হয়েছে, গর্ভে কী আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। অথচ আধুনিক যুগে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পূর্বেই ডাক্তাররা বলে দিতে পারেন, গর্ভে কী আছে-ছেলে না কি মেয়ে। বাহ্যিক এই দ্বৈরথের মাঝে সমন্বয় কী?
জবাব: উভয়ের মাঝে কোনো প্রকার দ্বৈরথ ও দ্বন্দ্ব নেই। কুরআনের আয়াতে যেখানে বলা হয়েছে, ‘গর্ভে কী আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না' দ্বারা উদ্দেশ্য দুটি:
ক. আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানে জানেন গর্ভে কী আছে। তা জানতে তাঁর কোনো কিছু বা কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। আর ডাক্তাররা নিজেদের ও সত্তাগত জ্ঞানে তা জানেন না; বরং বিভিন্ন উপায়, মাধ্যম ও যন্ত্রের সাহায্যে জানতে চেষ্টা করেন। আর সেসব উপায়, মাধ্যম ও যন্ত্র আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং উদ্ভাবন- আবিষ্কারের সুযোগ করে দিয়েছেন। যেমন; বর্তমান যুগে কখন চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হবে তা পূর্বেই বলা দেওয়া যায়। তবে কোনো মাখলুক তা উপায়-উপকরণ ছাড়া বলতে সক্ষম নন। তারা উপায়-উপকরণের মাধ্যমে বলতে পারেন। আর আল্লাহ তাআলা সেসব উপায়- উপকরণ তাদের অধীনে করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এভাবে অদৃশ্যের খবর কোনো-কোনো মাখলূককে অবহিত করার কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন-
আয়াতে স্পষ্টভাবে নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে অদৃশ্য জানার মাঝে এবং উপায়- উপকরণের মাধ্যমে জানার মাঝে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তিনি তা নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে জানেন। আর দূত বা রাসূলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তিনি অনেক সময় অদৃশ্যের কথা জানতে পারেন; তবে তা নিজ বা সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে নয় বরং কোনো উপায়-উপকরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে তা অবহিত করেন। অতএব, প্রমাণ হয়, আল্লাহর সৃষ্ট কোনো উপায়-উপকরণের মাধ্যমে অদৃশ্যের কোনো কিছু জানাকে ‘অদৃশ্যের জ্ঞানী' বলা যায় না।
খ. ‘গর্ভে কী আছে একমাত্র আল্লাহ জানেন' দ্বারা উদ্দেশ্য, গর্ভের থাকা ভ্রুণের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সকল বিষয় একমাত্র তিনি জানেন। তা ছেলে হবে না মেয়ে, ভালো হবে না মন্দ, সুস্থ-সবল হবে না অঙ্গহীন ও অপূর্ণাঙ্গ হবে, কতদিন বাঁচবে, কোথায় ইন্তিকাল করবে-এসব ছাড়াও অন্যান্য যাবতীয় বিষয় একমাত্র তিনি জানেন। কোনো মাখলুকের পক্ষে এসব জানা সম্ভব নয়,
তার যতই জ্ঞান থাকুক।২
১. সূরা জিন, ৭২:২৬-২৭
২. ফাতাওয়াল ইমারাত, ৭৪
জবাব: উভয়ের মাঝে কোনো প্রকার দ্বৈরথ ও দ্বন্দ্ব নেই। কুরআনের আয়াতে যেখানে বলা হয়েছে, ‘গর্ভে কী আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না' দ্বারা উদ্দেশ্য দুটি:
ক. আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানে জানেন গর্ভে কী আছে। তা জানতে তাঁর কোনো কিছু বা কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। আর ডাক্তাররা নিজেদের ও সত্তাগত জ্ঞানে তা জানেন না; বরং বিভিন্ন উপায়, মাধ্যম ও যন্ত্রের সাহায্যে জানতে চেষ্টা করেন। আর সেসব উপায়, মাধ্যম ও যন্ত্র আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং উদ্ভাবন- আবিষ্কারের সুযোগ করে দিয়েছেন। যেমন; বর্তমান যুগে কখন চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হবে তা পূর্বেই বলা দেওয়া যায়। তবে কোনো মাখলুক তা উপায়-উপকরণ ছাড়া বলতে সক্ষম নন। তারা উপায়-উপকরণের মাধ্যমে বলতে পারেন। আর আল্লাহ তাআলা সেসব উপায়- উপকরণ তাদের অধীনে করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এভাবে অদৃশ্যের খবর কোনো-কোনো মাখলূককে অবহিত করার কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন-
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا (٢٦) إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ
আল্লাহ অদৃশ্য সম্পর্কে অবগত। তিনি তা স্বীয় অদৃশ্যের কথা কারো কাছে প্রকাশ করেন না; তবে তাঁর মনোনীত রাসূল বা দূত ব্যতীত।১আয়াতে স্পষ্টভাবে নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে অদৃশ্য জানার মাঝে এবং উপায়- উপকরণের মাধ্যমে জানার মাঝে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তিনি তা নিজ ও সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে জানেন। আর দূত বা রাসূলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তিনি অনেক সময় অদৃশ্যের কথা জানতে পারেন; তবে তা নিজ বা সত্তাগত জ্ঞানের মাধ্যমে নয় বরং কোনো উপায়-উপকরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে তা অবহিত করেন। অতএব, প্রমাণ হয়, আল্লাহর সৃষ্ট কোনো উপায়-উপকরণের মাধ্যমে অদৃশ্যের কোনো কিছু জানাকে ‘অদৃশ্যের জ্ঞানী' বলা যায় না।
খ. ‘গর্ভে কী আছে একমাত্র আল্লাহ জানেন' দ্বারা উদ্দেশ্য, গর্ভের থাকা ভ্রুণের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সকল বিষয় একমাত্র তিনি জানেন। তা ছেলে হবে না মেয়ে, ভালো হবে না মন্দ, সুস্থ-সবল হবে না অঙ্গহীন ও অপূর্ণাঙ্গ হবে, কতদিন বাঁচবে, কোথায় ইন্তিকাল করবে-এসব ছাড়াও অন্যান্য যাবতীয় বিষয় একমাত্র তিনি জানেন। কোনো মাখলুকের পক্ষে এসব জানা সম্ভব নয়,
তার যতই জ্ঞান থাকুক।২
আরও পড়ুন - ফাতাওয়ায়ে আলবানী
১. সূরা জিন, ৭২:২৬-২৭
২. ফাতাওয়াল ইমারাত, ৭৪