আল্লাহ তাআলা কুরআনের একাধিক জায়গায় যিকিরের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
১. আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে বেশি বেশি যিকির করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর বেশি বেশি যিকির করো। সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করো’। (আল-আহযাব: ৪১-৪২)
২. যেসব পুরুষ ও নারী যিকির করে, আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা, বিশাল পুরস্কার ও সওয়াবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আর যেসব পুরুষ ও নারী আল্লাহর বেশি বেশি যিকির করে। আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও বিশাল পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন’। (আল-আহযাব: ৩৫)
৩. আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তারা যিকির করে ঠিকই, কিন্তু আয়াতে দেখুন তাদের যিকিরের পরিমাণ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আল্লাহও তাদের ধোঁকার বিনিময় দেন। আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন আলস্য ভরে মানুষকে দেখানোর জন্য দাঁড়ায়। আর তারা খুব কমই আল্লাহর যিকির করে’। (সূরা নিসা: ১৪২)
৪. ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজন যেন আল্লাহর যিকির থেকে আমাদের গাফেল না করে এ ব্যাপারে আল্লাহ সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! ধন-সম্পদ ও ছেলে-সন্ততি যেন আল্লাহর যিকির থেকে তোমাদের গাফিল না করে। আর যারা এমন করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’)। (সূরা মুনাফিকুন: ৯)
৫. যিকিরের ফজীলতে আরও কিছু আয়াত ও হাদীস দেখুন: আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করবো’। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার ব্যাপারে বান্দার ধারণা অনুযায়ী কাজ করি। যখন সে আমাকে স্মরণ করে তখন আমি তার সঙ্গে থাকি। যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি, যদি সে আমাদের ভরা মজলিসে স্মরণ করে, আমিও তাকে তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মজলিসে স্মরণ করি’। (বুখারী ৭৪০৫, মুসলিম ২৬৭৫; আবু হুরাইরা রা. এর হাদীসের অংশবিশেষ)