সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর কাফেরদের কোন ধরনের সাদৃশ্য গ্রহণে দোষ আছে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,137
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
কাফেরদের বাহ্যিক বেশভূষা, পোশাক পরিচ্ছদ, চাল চলন ও পানাহারে যে কোন ধরনের সাদৃশ্য গ্রহণে দোষ আছে। যেহেতু শরীয়তের নির্দেশ এ ব্যাপক। নবী (সঃ) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত।” ( আবু দাউদ, ত্বাবারানীর আউসাত্ব , সহিহুল জামে ৬১৪৯ নং)

অবশ্য লক্ষণীয় যে, যে জিনিস বিজাতির প্রতীক, যে জিনিস দেখলে তাদেরকে বিজাতি বলে সহজে চিহ্নিত করা যায়, কেবল সেই জিনিসেই সাদৃশ্য অবলম্বন নিষেধ। তাছাড়া যে জিনিস মুসলিম অমুসলিম এর মাঝে কোন পার্থক্য নির্ধারণ করে না, বরং সকলের মাঝে ব্যাপক, তাতে সাদৃশ্য অবলম্বন প্রশ্নই থাকে না। যদিও সে জিনিস মুলতঃ কাফেরদের নিকট থেকে আগত সভ্যতা কিন্তু ইসলামে তা হারাম নয় এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্ব সাধারণের মাঝে প্রচলিত হয়ে গেছে। (ইবনে উসাইমিন)

বর্তমানে মেয়েদের সিঁদুর ও ছেলেদের টাই ব্যবহারে সাদৃশ্য গ্রহণের দোষ আছে। কিন্তু মেয়েদের শাড়ী ও ছেলেদের প্যান্ট ব্যবহারে সেই দোষ নেই। যদিও তা মুসলিমদের পোশাক নয়।

আরও স্পষ্ট করে বলা যায় যে, বিজাতির অনুকরণ ও সাদৃশ্য অবলম্বন ৩ শ্রেণির কর্ম হতে পারে। প্রথমঃ ইবাদতে বা দ্বীনী বিষয়ে। দ্বিতীয়তঃ আচার আচরণে। তৃতীয়ঃ পার্থিব আবিষ্কার ও শিল্প বিষয়ে।

ইবাদতে বিজাতির অনুকরণ করা কোন ক্রমেই বৈধ নয়। কার তাতে অনেক সময় মুসলিম ইসলাম থেকে খারিজ ও হয়ে যেতে পারে।

আচার আচরণ ও লেবাস পোশাকেও বিজাতির অনুকরণ বৈধ নয়। কারণ তাতে তাদের প্রতি মুগ্ধতা ও আন্তরিক আকর্ষণ প্রকাশ পায়।

আবিষ্কার ও শিল্প ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করে পার্থিব উন্নয়ন সাধন করা দোষাবহ নয়। এ অনুকরণ নিষিদ্ধ অনুকরণের পর্যায়ভুক্ত নয়।


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top