‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ফাযায়েলে আমল এতিমের দায়িত্ব গ্রহণ ও প্রতিপালন করার ফজিলত

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
141
Comments
218
Solutions
1
Reactions
1,408
Credits
1,284
এতিমের দায়িত্ব গ্রহণ ও প্রতিপালন করা জান্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খুব কাছাকাছি থাকার একটি বিরাট মাধ্যম:

সাহল রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ كَهَاتَيْنِ فِي الْجَنَّةِ وَقَرَنَ بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ الْوُسْطَى وَالَّتِي تَلِي الْإِبْهَامَ​

“আমি ও এতিমের দায়িত্বগ্রহণকারী ব্যক্তি জান্নাতে এই দুই অঙ্গুলি ন্যায় পাশাপাশি অবস্থান করব।” এ কথা বলার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুগুলিকে কাছাকাছি করে দেখালেন। [সুনান আবু দাউদ-সহীহ]

এতিম-অনাথ শিশুদের জন্য অর্থ খরচ করা বিশাল মর্যাদাপূর্ণ কাজ:

আল্লাহ তাআলা বলেন,

يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ ۖ قُلْ مَا أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ​

“তারা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, তারা কী ব্যয় করবে? বলে দাও, যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্মীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।” [সূরা বাকারা: ২১৫]

এতিমের সম্পদ গ্রাস করা জাহান্নামে যাওয়ার একটি কারণ:

আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا ۖ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا​

“যারা এতিমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করে এবং অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” [সূরা নিসা: ১০]

গরিব হলে এতিমের দেখাশোনা ও সম্পদ রক্ষণা-বেক্ষণের পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েজ:

কারও দায়িত্বে এতিম শিশু থাকলে সে যদি আর্থিকভাবে দুর্বল ও অভাবগ্রস্ত হয় তাহলে তার দেখাশোনা ও সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করার পারিশ্রমিক হিসেবে তার সম্পদ থেকে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য পন্থায় কিছু অর্থ গ্রহণ করা জায়েজ রয়েছে।

যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَابْتَلُوا الْيَتَامَىٰ حَتَّىٰ إِذَا بَلَغُوا النِّكَاحَ فَإِنْ آنَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَادْفَعُوا إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ ۖ وَلَا تَأْكُلُوهَا إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَن يَكْبَرُوا ۚ وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ ۖ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ ۚ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَأَشْهِدُوا عَلَيْهِمْ ۚ​

“আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ করো।

এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না।

যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যর্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে।” [সূরা নিসা: ৬]

মোটকথা, পিতৃহীন এতিম শিশুর দেখাশোনা করা, তার দায়িত্বগ্রহণ করা, তাকে স্নেহমমতা দেয়া, তার প্রতি দয়া করা, তার সম্পদ রক্ষা করা ইত্যাদি ইসলামের দৃষ্টিতে বিশাল মর্যাদাপূর্ণ কাজ এবং জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম। পক্ষান্তরে তার সম্পদ লুটে খাওয়া বা তার প্রতি অন্যায় আচরণ করা খুবই গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ এবং জাহান্নামে প্রবেশের মাধ্যমে।



উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ, সৌদি আরব​
 

Share this page