‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️
A

মানহাজ এটা সালাফগণের মানহাজ নয় যে , নিছক মতবিরোধের কারণে শত্রুতা পোষণ করা।

A

Anonymous User

Guest

এটা সালাফগণের মানহাজ নয় যে, নিছক মতবিরোধের কারণে শত্রুতা পোষণ করা, অথচ তারা ( সালাফরা) এই বিষয়কে সম্মান করতেন, কোনো ব্যাক্তির অবস্থা এবং সমস্যার বাস্তবতার ওপর নির্ভর করে। তারা ইখলাসের সঙ্গে মতবিরোধ করতেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতির জন্য নয়।1


[1] মতবিরোধ কতটুকু গ্রহণযোগ্য ?

মতবিরোধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দুনিয়ার বুকে যেদিন আদম এসেছেন, তারপরই তার দুসন্তান মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। সকল মতবিরোধ গ্রহণযোগ্য নয়।

যেসব স্থানে মতবিরোধ গ্রহণ করা হয় না, তা হচ্ছে :

ঈমান ও তার রকুনের বিষয়ে।

ইসলাম ও তার রুকনের বিষয়ে।

হালাল ও হারামের স্পষ্ট থাকার জায়গায়।

যেসব মাসআলায় ইজমা হয়েছে।

যেসব বিষয় অত্যাবশ্যকভাবে দীনের অংশ বলে সকলের কাছে জানা রয়েছে। এগুলোতে মতভেদ গ্রহণযোগ্য নয়।

যে সকল জায়গায় মতবিরোধ গ্রহণযোগ্য তা হচ্ছে :

ফিকহি কোনো মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর সরাসরি ভাষ্য না থাকা।

এ বিষয়ে হাদীসের ভাষ্য রয়েছে কিন্তু ভাষ্যটি তাদের কারো কাছে না পৌঁছা ।

এ বিষয়ে হাদীস তার কাছে পৌঁছেছে কিন্তু তিনি হাদীসটিকে দুর্বল বলে বিশ্বাস করতেন।

এ বিষয়ে হাদীস তার কাছে পৌঁছেছে কিন্তু হাদীসটি তার কাছে গ্রহণ করার বিশেষ শর্ত পূরণ করেনি।

এ বিষয়ে হাদীস তার কাছে পৌঁছেছিল কিন্তু তিনি তা ভুলে গিয়েছিলেন ।

এ বিষয়ে ভাষ্য পৌঁছেছে , কিন্তু ভাষ্যটিতে কী বোঝানো হয়েছে এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়নি।

ভাষ্যটিতে যা বোঝানো হয়েছে বলে অন্যজন বলেছে তা অপর কোনো আলিমের কাছে বিশ্বাস হয়নি।

ভাষ্যটির বিপরীত অন্য কোনো ভাষ্য আছে বলে তার বিশ্বাস ছিল।

ভাষ্যটি অন্য হাদীসের বিপরীত হয়েছে এটাই তার বিশ্বাস ছিল।

১০ভাষ্যটির বিপরীতে এমন কিছু এসেছে যার কারণে তার কাছে মনে হয়েছে যে হাদীসটি দুর্বল বা রহিত। [ ইবন তাইমিয়্যাহ , রাফউল মালাম আনিল আয়িম্মাতিল আলাম ]

এসব কারণ ও অনুরূপ কারণে হয়তো কেউ কোনো দলীলের ওপর আমল করেননি, তাই তার সঙ্গে শত্রুতা কিংবা তার চরিত্র হননে নেমে যাওয়া কখনো সালাফগণের কাজ নয়।

এ জাতীয় মতবিরোধ এখনও হতে পারে, কারণ কোনো দলীলের চাহিদা সকলের কাছে সমানভাবে প্রতিভাত হয় না। আমাদের শাইখ আব্দুল আজীজ ইবন বায رحمه الله ও শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল - আলবানির رحمه الله মাঝে এরকম বহু মাসআলায় মতভেদ ছিল। উভয়ের মাঝে এ ব্যাপারে আলোচনাও হতো, কিন্তু তাই বলে ভালোবাসার কমতি ছিল না।

আমাদের শাইখ আবদুল মুহসিন আল- আব্বাদ حفظه الله ও শাইখ আলবানি رحمه الله এ রকম বেশ কিছু বিষয়ে মতভেদ করেছেন, কিন্তু শাইখ আবদুল মুহসিন আল - আব্বাদকে শাইখ আলবানির সম্মান ছাড়া কথা বলতে দেখিনি।



এটা সালাফগণের মানহাজ নয় !
অনুবাদ : হাবিব বিন তোফাজ্জল
সম্পাদনা : শাইখ ড.আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
 

Share this page