- Joined
- Feb 27, 2023
- Threads
- 37
- Comments
- 46
- Reactions
- 571
- Thread Author
- #1
সালাফী মানহাজ নতুন কোনো মানহাজ নয়। এটি ইসলামের সবচেয়ে পুরনো ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য মানহাজ। সালাফী মানহাজে অন্য কোনো মানহাজ থেকে কিছু সংযোজন করা হয়নি। আবার এই মানহাজ থেকে কিছু বিয়োগও করা হয়নি। এটি মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত কোনো চিন্তাধারা থেকেও উদ্ভাবিত হয়নি। আবার ইতিহাসের কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটেও তৈরি হয়নি। এমনকি এটি কোনো মুজতাহিদের ইজতিহাদের ফসল নয়। এটি মূলত এমন একটি মানহাজ যেটির ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে কুরআন ও সুন্নাহের উপরে। আর এর রয়েছে কিছু মূলনীতি, কিছু বৈশিষ্ট্য যা দ্বারা এই মানহাজটিকে সমগোত্রীয় অন্যান্য মানহাজ থেকে আলাদা করা যায়। এই কারণেই এই মানহাজটি হয়ে গেছে একটি ইউনিক মানহাজ।
ইসলাম যাদের হাত ধরে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে তাদেরই প্রথম কয়েকযুগের সোনালী মানুষেরাই সালাফ। যাদেরকে আমরা সালাফে সালিহীন বলে জানি ও চিনি। তাদের রেখে যাওয়া মানহাজের নামই হচ্ছে সালাফী মানহাজ। এটি ছাড়াও আরো বেশ কিছু মানহাজ দুনিয়াতে অতীতে ছিলো ও বর্তমানে চালু আছে। অতীতের ও বর্তমানের সকল মানহাজ থেকে সালাফী মানহাজ সম্পূর্ণ আলাদা। এই মানহাজটি যেসব বৈশিষ্ট্যের কারণে আলাদা তার প্রধান প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলোঃ
❒ সালাফী মানহাজের- ১ নং বৈশিষ্ট্য:
কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং প্রবৃত্তি ও বিদ’আত-এর অনুসরণ না করাঃ সর্বাবস্থায় কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার আদেশ সম্বলিত অসংখ্য দলীল কুরআন ও সুন্নাহতে রয়েছে। আর এটিই সালাফে সালিহীনের দেখানো মানহাজ।
❒ সালাফী মানহাজের ০২ নং বৈশিষ্ট্যঃ
তাওহীদ সংরক্ষণে বিশেষ মনযোগ দেয়াঃ তাওহীদ অর্থ হচ্ছে কোনো কিছুকে একক করা, এক বানানো। সকল ইলাহ বা উপাস্যকে অস্বীকার করে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে মনেপ্রাণে ও কর্মে মেনে নেয়ার নাম হচ্ছে তাওহীদ।
❒ সালাফী মানহাজের ০৩ নং বৈশিষ্ট্যঃ
জামা’আতবদ্ধ থাকাঃ সালাফে সালিহীনের মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সর্বাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ থাকা ও মুসলিম জামা’আতকে আঁকড়ে ধরা।
“তোমরা সকলে আল্লাহর রশিকে আঁকড়ে ধরো। এবং তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না”। (সূরা আলে ইমরান; আয়াত নং ১০৩)
❒ সালাফী মানহাজের ০৪ নং বৈশিষ্ট্যঃ
নাসীহাহঃ নাসীহাহ হচ্ছে কারো জন্য কল্যাণ করার ইচ্ছা করা”। নাসীহাহ-এর শাব্দিক অর্থ হলো কোনো কিছুকে খারাপ কিছু থেকে মুক্ত করা, সাহায্য করা, সত্য বলে মেনে নেয়া।
❒ সালাফী মানহাজের বৈশিষ্ট্য ০৫ নং বৈশিষ্ট্যঃ
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধঃ সালাফী মানহাজের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মানুষদেরকে সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। এই কাজটি ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কুরআন ও সুন্নাহতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ-এর প্রতি উৎসাহিত করে অসংখ্য নির্দেশনা বর্ণিত হয়েছে।
❒ সালাফী মানহাজের ০৬ নং বৈশিষ্ট্যঃ
"আকল বা বুদ্ধি-বিবেক শরীয়তের অনুসারী হবেঃ’’ মানুষের আকল বা বুদ্ধিবিবেচনা শক্তি একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এটি সর্বদা ইসলামী শরীয়তের অনুসারী হবে। শরীয়ত কখনো আকলের অনুসরণ করবে না। সালাফী মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে তাঁরা ওয়াহি অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কুরআন ও সুন্নাহ থেকেই জ্ঞান আহরণ করেন। তাদের বুদ্ধি, বিবেচনা, বুঝ-ব্যবস্থা ও মতামতকে তাঁরা সর্বদা কুরআন ও সুন্নাহর সাথে মিলিয়ে দেখে। যদি সেগুলো কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিলে যায় তাহলে তাঁরা তা গ্রহণ করে আর যদি বিপরীত হয় বা সাংঘর্ষিক হয় তাহলে তাঁরা তা বর্জন করে এবং তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
❒ সালাফী মানহাজের ০৭ নং বৈশিষ্ট্যঃ
শুধু হকের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করাঃ অর্থাৎ হক ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করা। এখানে হক বলতে চূড়ান্ত হককে বুঝানো হয়েছে। আর চূড়ান্ত হক হচ্ছে আল্লাহর কিতাব কুরআন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ। নিরঙ্কুশ পক্ষপাতিত্ব শুধু এই দুটি জিনিসের প্রতি পোষণ করাই সালাফী মানহাজের বৈশিষ্ট্য। সালাফগণ এই দুটো জিনিস ছাড়া অন্য কোনো কিছু বা কারো কথা কিংবা কারো আমলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতেন না। তিনি যে-ই হোন না কেনো।
❒ সালাফী মানহাজের ০৮ নং বৈশিষ্ট্যঃ
"দীনের সকল দিক ও বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করাঃ’’ সালাফী মানহাজ শুধু দীনের একটি বা দুটি দিক বা বিষয়কে নিয়ে গঠিত নয়। দীনের সকল দিক ও বিভাগ এর অন্তর্ভুক্ত। তাওহীদ, ঈমান, সলাত, যাকাত, সিয়াম, হাজ্জ, জিহাদ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ, পারস্পরিক সম্পর্ক, অধিকার, সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি; সব কিছুই এই দীনে ও মানহাজে রয়েছে।
❒ সালাফী মানহাজের ০৯নং বৈশিষ্ট্যঃ
"কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী মানহাজঃ’’ সালাফী মানহাজ কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার মানহাজ। এটির এর বিরোধিতাকারীদের বিরোধিতার মুখে কিংবা কারো আক্রমণে অথবা কারো চোখ রাঙানিতে পিছুহটার মানহাজ নয়। সাহাবায়ে কেরাম-এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এই মানহাজ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে টিকে আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। এই টিকে থাকাই এই মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এমনটা ঘটবে না যে, কোনো এক সময় পৃথিবীর বুকে কোথাও এই মানহাজের অনুসারী নেই। ভিন্ন ভিন্ন নামে হলেও দুনিয়ার কোথাও না কোথাও এই মানহাজ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে।
ইসলাম যাদের হাত ধরে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে তাদেরই প্রথম কয়েকযুগের সোনালী মানুষেরাই সালাফ। যাদেরকে আমরা সালাফে সালিহীন বলে জানি ও চিনি। তাদের রেখে যাওয়া মানহাজের নামই হচ্ছে সালাফী মানহাজ। এটি ছাড়াও আরো বেশ কিছু মানহাজ দুনিয়াতে অতীতে ছিলো ও বর্তমানে চালু আছে। অতীতের ও বর্তমানের সকল মানহাজ থেকে সালাফী মানহাজ সম্পূর্ণ আলাদা। এই মানহাজটি যেসব বৈশিষ্ট্যের কারণে আলাদা তার প্রধান প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলোঃ
❒ সালাফী মানহাজের- ১ নং বৈশিষ্ট্য:
কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা এবং প্রবৃত্তি ও বিদ’আত-এর অনুসরণ না করাঃ সর্বাবস্থায় কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার আদেশ সম্বলিত অসংখ্য দলীল কুরআন ও সুন্নাহতে রয়েছে। আর এটিই সালাফে সালিহীনের দেখানো মানহাজ।
❒ সালাফী মানহাজের ০২ নং বৈশিষ্ট্যঃ
তাওহীদ সংরক্ষণে বিশেষ মনযোগ দেয়াঃ তাওহীদ অর্থ হচ্ছে কোনো কিছুকে একক করা, এক বানানো। সকল ইলাহ বা উপাস্যকে অস্বীকার করে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসাবে মনেপ্রাণে ও কর্মে মেনে নেয়ার নাম হচ্ছে তাওহীদ।
❒ সালাফী মানহাজের ০৩ নং বৈশিষ্ট্যঃ
জামা’আতবদ্ধ থাকাঃ সালাফে সালিহীনের মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সর্বাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ থাকা ও মুসলিম জামা’আতকে আঁকড়ে ধরা।
“তোমরা সকলে আল্লাহর রশিকে আঁকড়ে ধরো। এবং তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না”। (সূরা আলে ইমরান; আয়াত নং ১০৩)
❒ সালাফী মানহাজের ০৪ নং বৈশিষ্ট্যঃ
নাসীহাহঃ নাসীহাহ হচ্ছে কারো জন্য কল্যাণ করার ইচ্ছা করা”। নাসীহাহ-এর শাব্দিক অর্থ হলো কোনো কিছুকে খারাপ কিছু থেকে মুক্ত করা, সাহায্য করা, সত্য বলে মেনে নেয়া।
❒ সালাফী মানহাজের বৈশিষ্ট্য ০৫ নং বৈশিষ্ট্যঃ
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধঃ সালাফী মানহাজের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মানুষদেরকে সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা। এই কাজটি ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কুরআন ও সুন্নাহতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ-এর প্রতি উৎসাহিত করে অসংখ্য নির্দেশনা বর্ণিত হয়েছে।
❒ সালাফী মানহাজের ০৬ নং বৈশিষ্ট্যঃ
"আকল বা বুদ্ধি-বিবেক শরীয়তের অনুসারী হবেঃ’’ মানুষের আকল বা বুদ্ধিবিবেচনা শক্তি একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এটি সর্বদা ইসলামী শরীয়তের অনুসারী হবে। শরীয়ত কখনো আকলের অনুসরণ করবে না। সালাফী মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে তাঁরা ওয়াহি অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কুরআন ও সুন্নাহ থেকেই জ্ঞান আহরণ করেন। তাদের বুদ্ধি, বিবেচনা, বুঝ-ব্যবস্থা ও মতামতকে তাঁরা সর্বদা কুরআন ও সুন্নাহর সাথে মিলিয়ে দেখে। যদি সেগুলো কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিলে যায় তাহলে তাঁরা তা গ্রহণ করে আর যদি বিপরীত হয় বা সাংঘর্ষিক হয় তাহলে তাঁরা তা বর্জন করে এবং তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
❒ সালাফী মানহাজের ০৭ নং বৈশিষ্ট্যঃ
শুধু হকের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করাঃ অর্থাৎ হক ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করা। এখানে হক বলতে চূড়ান্ত হককে বুঝানো হয়েছে। আর চূড়ান্ত হক হচ্ছে আল্লাহর কিতাব কুরআন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ। নিরঙ্কুশ পক্ষপাতিত্ব শুধু এই দুটি জিনিসের প্রতি পোষণ করাই সালাফী মানহাজের বৈশিষ্ট্য। সালাফগণ এই দুটো জিনিস ছাড়া অন্য কোনো কিছু বা কারো কথা কিংবা কারো আমলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতেন না। তিনি যে-ই হোন না কেনো।
❒ সালাফী মানহাজের ০৮ নং বৈশিষ্ট্যঃ
"দীনের সকল দিক ও বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করাঃ’’ সালাফী মানহাজ শুধু দীনের একটি বা দুটি দিক বা বিষয়কে নিয়ে গঠিত নয়। দীনের সকল দিক ও বিভাগ এর অন্তর্ভুক্ত। তাওহীদ, ঈমান, সলাত, যাকাত, সিয়াম, হাজ্জ, জিহাদ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ, পারস্পরিক সম্পর্ক, অধিকার, সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি; সব কিছুই এই দীনে ও মানহাজে রয়েছে।
❒ সালাফী মানহাজের ০৯নং বৈশিষ্ট্যঃ
"কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী মানহাজঃ’’ সালাফী মানহাজ কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার মানহাজ। এটির এর বিরোধিতাকারীদের বিরোধিতার মুখে কিংবা কারো আক্রমণে অথবা কারো চোখ রাঙানিতে পিছুহটার মানহাজ নয়। সাহাবায়ে কেরাম-এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এই মানহাজ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে টিকে আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। এই টিকে থাকাই এই মানহাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এমনটা ঘটবে না যে, কোনো এক সময় পৃথিবীর বুকে কোথাও এই মানহাজের অনুসারী নেই। ভিন্ন ভিন্ন নামে হলেও দুনিয়ার কোথাও না কোথাও এই মানহাজ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখবে।
সোর্স: এটা সালাফগণের মানহাজ নয়!