‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

এখানে কানীসা বলে কী বুঝানো হয়েছে? আর ‘ঐ লোকদের’ কথা বলে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? ঐ লোকেরা বলতে কাদের দিকে ইশারা করা হয়েছে?

আয়েশা রাদিয়াল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত আছে; উম্মে হাবীবা ও উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন যে, তারা হাবাশায় (আবিসিনিয়া বা ইথিওপিয়ায়) গীর্জা দেখেছেন এবং গীর্জার ভিতরে ছবি-প্রতিকৃতি ছিল। অতঃপর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

«إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»​

‘‘সেখানে কোনো সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তি বা নেক বান্দার মৃত্যুর পর ঐ জনপদের লোকেরা কবরের সন্নিকটে মসজিদ বানিয়েছে অতঃপর কবরবাসীদের প্রতিকৃতি তৈরী করে লটকিয়ে রেখেছে। যে লোকেরা ঐ কাজ করছে তারা আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম জীবের অন্তর্ভুক্ত।’’ (মুত্তাফিকুন আলাইহি: বুখারী, ৪২৭; মুসলিম, ৫২৮)

হাদীসে যে দু’টি ফিতনার উল্লেখ হয়েছে তা হলো: (ক) কবরের ফিতনা (খ) মূর্তির ফিতনা। এখানে কানীসা বলে কী বুঝানো হয়েছে? আর ‘ঐ লোকদের’ কথা বলে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? ঐ লোকেরা বলতে কাদের দিকে ইশারা করা হয়েছে?

উত্তর: ‘কানীসা’ হচ্ছে খ্রীষ্টানদের গীর্জা বা উপাসনালয়। ঐ লোকদের সম্পর্কে উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে ধারণা দেওয়া হয়েছে। ঐ লোকেরা বলতে বুঝানো হয়েছে তাদেরকে যারা কবরের কাছে মসজিদের নামে আস্তানা গড়ে তোলে এবং সমাধিস্ত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি তৈরি ও সংরক্ষণ করে।
 

Share this page