ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে এক মুষ্টির অতিরিক্ত দাড়ি কাটার ব্যাপারে কিছু বর্ণনা রয়েছে, যা বিশেষ সময়ের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত আমল ছিল। যেমন বর্ণিত হয়েছে, ইবনে ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচারণ কর। তোমরা গোঁফ ছেঁটে ফেল এবং দাড়ি ছেড়ে দাও। আর ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা যখন হজ্জ বা ওমরায় যেতেন তখন তিনি দাড়ি থেকে এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।' (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং- ৫৮৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৫৯) মারওয়ান বিন সালেম আল-মুকাফফা বলেন, আমি ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা কে দেখেছি, তিনি দাড়ি ধরতেন অতঃপর এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। (আবূ দাঊদ, হাদীস নং- ২৩৫৭, সনদ হাসান)
জবাব : ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে দাড়ি কাটার ব্যাপারে যে বর্ণনাগুলো এসেছে সেগুলোর সনদ সহীহ বা হাসান হলেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এটি ছিল আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা এর হজ্জকালীন ইজতিহাদ। আর ইজতিহাদে সাহাবায়ে কেরামও ভুল করতে পারে। যদিও তিনি ইজতিহাদ করার কারণে সওয়াব পেয়ে যাবেন। তিনি আল্লাহর বাণী, 'আল্লাহ চাইলে অবশ্যই তোমরা মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে নির্ভয়ে মস্তক মুণ্ডিত অবস্থায় অথবা কেশ কর্তিত অবস্থায়। (সূরা ফাতাহ ৪৮:২৭) এ আয়াতের মাথা মুণ্ডন ও চুল কর্তন উভয় বিধানের উপর ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা আমল করতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তিনি মাথা মুণ্ডন করেন এবং দ্বিতীয় শব্দের উপর আমল করার জন্য তিনি ইজতিহাদের ভিত্তিতে দাড়ি থেকে অল্প ছাঁটতেন। কিন্তু এটি ইসলামের বিধান ছিল না।
ইসমাঈল আনসারী রহিমাহুল্লাহ তা'আলা ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা এর আমল সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনার পরে বলেন, তার বর্ণিত হাদীসে দলীল রয়েছে, তার মতামতে নয়। নিঃসন্দেহে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী ও কর্মের আনুগত্য করা অধিক উপযুক্ত ও অন্য যে কারো আনুগত্য থেকে উত্তম। সে যেই হোক না কেন।
(আদ-দুররুল মুনতাকা ফী তাবঈনে ইফাইল লেহইয়া, পৃ. ১৩)
[রেফারেন্স : মুসলিম জীবনে জানা অজানা কিন্তু... বই থেকে; লেখক : D. Abdullahil Kafi Lutfor Rahman Al-Madani; প্রকাশনায় : ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী, রাজশাহী।]
জবাব : ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা থেকে দাড়ি কাটার ব্যাপারে যে বর্ণনাগুলো এসেছে সেগুলোর সনদ সহীহ বা হাসান হলেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এটি ছিল আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা এর হজ্জকালীন ইজতিহাদ। আর ইজতিহাদে সাহাবায়ে কেরামও ভুল করতে পারে। যদিও তিনি ইজতিহাদ করার কারণে সওয়াব পেয়ে যাবেন। তিনি আল্লাহর বাণী, 'আল্লাহ চাইলে অবশ্যই তোমরা মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে নির্ভয়ে মস্তক মুণ্ডিত অবস্থায় অথবা কেশ কর্তিত অবস্থায়। (সূরা ফাতাহ ৪৮:২৭) এ আয়াতের মাথা মুণ্ডন ও চুল কর্তন উভয় বিধানের উপর ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা আমল করতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তিনি মাথা মুণ্ডন করেন এবং দ্বিতীয় শব্দের উপর আমল করার জন্য তিনি ইজতিহাদের ভিত্তিতে দাড়ি থেকে অল্প ছাঁটতেন। কিন্তু এটি ইসলামের বিধান ছিল না।
ইসমাঈল আনসারী রহিমাহুল্লাহ তা'আলা ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা এর আমল সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনার পরে বলেন, তার বর্ণিত হাদীসে দলীল রয়েছে, তার মতামতে নয়। নিঃসন্দেহে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী ও কর্মের আনুগত্য করা অধিক উপযুক্ত ও অন্য যে কারো আনুগত্য থেকে উত্তম। সে যেই হোক না কেন।
(আদ-দুররুল মুনতাকা ফী তাবঈনে ইফাইল লেহইয়া, পৃ. ১৩)
[রেফারেন্স : মুসলিম জীবনে জানা অজানা কিন্তু... বই থেকে; লেখক : D. Abdullahil Kafi Lutfor Rahman Al-Madani; প্রকাশনায় : ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী, রাজশাহী।]