ইসলামী শরীয়তে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি লাশ দাফন করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে লাশ স্থানান্তর করা ঠিক নয়।
জাবের রা. বর্ণনা করেন,উহুদ যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার পিতাকে দাফন করার জন্য নিজেদের কবরস্থানে নিয়ে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন,তোমরা শহীদদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আস। [1]
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে,আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. হুবশী নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন,তাঁকে ঐ স্থান হতে মক্কায় এনে দাফন করা হয়। আয়েশা রা. হজ্জ বা উমরা করতে মক্কায় গমন করলে তিনি তাঁর কবরের নিকট আসেন অত:পর বলেন,আমি তোমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকলে তোমাকে সে স্থানেই দাফন করতাম যেখানে তোমার মৃত্যু হয়েছে। [2]
উপরোক্ত দলীল সমূহের আলোকে আলেমগণ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সে এলাকার কবরস্থানে বা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করা উত্তম। ওজর ব্যতিত দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে দাফন করা অনুত্তম।
তবে ওজর বশত: তা জায়েজ আছে। যেমন,
যদি এমন হয় যে, যে দেশে মৃত্যু বরণ করেছে সেখানকার অধিবাসীরা মুসলিম নয়।
অথবা সে স্থানে মুসলিমদের জন্য আলাদা গোরস্থান নাই অথবা নিকটের কোথাও কবরস্থান বা দাফনের সুব্যবস্থা নেই।
অথবা বন্যা-জলচ্ছাস ইত্যাদি কারণে কবর নদী বা সাগর গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইত্যাদি।
তবে শর্ত হল, লাশ স্থানান্তর করতে যেন এত বিলম্ব না হয় যে, তা পঁচে-ফেটে বিকৃত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয় এবং মৃতের সম্মান ক্ষুন্ন না হয়।
[1] জামে তিরমিযী,হা/১৭১৭
[2] মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হা/১১৯৩৩
জাবের রা. বর্ণনা করেন,উহুদ যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার পিতাকে দাফন করার জন্য নিজেদের কবরস্থানে নিয়ে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন,তোমরা শহীদদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত নিয়ে আস। [1]
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে,আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. হুবশী নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন,তাঁকে ঐ স্থান হতে মক্কায় এনে দাফন করা হয়। আয়েশা রা. হজ্জ বা উমরা করতে মক্কায় গমন করলে তিনি তাঁর কবরের নিকট আসেন অত:পর বলেন,আমি তোমার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকলে তোমাকে সে স্থানেই দাফন করতাম যেখানে তোমার মৃত্যু হয়েছে। [2]
উপরোক্ত দলীল সমূহের আলোকে আলেমগণ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সে এলাকার কবরস্থানে বা নিকটবর্তী কোনো কবরস্থানে দাফন করা উত্তম। ওজর ব্যতিত দূরবর্তী এলাকায় নিয়ে দাফন করা অনুত্তম।
তবে ওজর বশত: তা জায়েজ আছে। যেমন,
যদি এমন হয় যে, যে দেশে মৃত্যু বরণ করেছে সেখানকার অধিবাসীরা মুসলিম নয়।
অথবা সে স্থানে মুসলিমদের জন্য আলাদা গোরস্থান নাই অথবা নিকটের কোথাও কবরস্থান বা দাফনের সুব্যবস্থা নেই।
অথবা বন্যা-জলচ্ছাস ইত্যাদি কারণে কবর নদী বা সাগর গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইত্যাদি।
তবে শর্ত হল, লাশ স্থানান্তর করতে যেন এত বিলম্ব না হয় যে, তা পঁচে-ফেটে বিকৃত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয় এবং মৃতের সম্মান ক্ষুন্ন না হয়।
- শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
[1] জামে তিরমিযী,হা/১৭১৭
[2] মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হা/১১৯৩৩