জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী, ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা সায়্যিদুনা উমর (রা.) সূরা তূর তিলাওয়াত করতে করতে যখন নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন তখন আল্লাহর আযাবের ভয়ে এত অধিক পরিমাণে কান্না করলেন যে, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আয়াতটি ছিলো
‘নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের (প্রতিশ্রুত) শাস্তি ও আযাব অবধারিতভাবে বাস্তবায়িত হবে।। (সূরা তূর:২১)
তিনি মৃত্যুশয্যায় যখন শায়িত ছিলেন, তখন নিজ সন্তানকে বললেন, “আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে মাটিতে শোয়াও। আমার চেহারাও মাটিতে নামিয়ে দাও। হয়তো আমার রব আমার প্রতি রহম করবেন। হায়, তিনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে তো আমি ধ্বংস হয়ে যাব।"এই কথা তিনবার বলতে না বলতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
রাতের বেলায় নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াতের নিজস্ব একটি রুটিন ছিল তাঁর। তিলাওয়াতের সময় যখন ভয়ের কোনো আয়াত সামনে আসত, তিনি এত বেশি পরিমাণে কান্না করতেন যে অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন বাড়িতে থাকতেন। তখন লোকেরা রোগী দেখার নিয়তে তাঁর সাক্ষাতে আসত।
অধিক পরিমাণে অশ্রু প্রবাহের কারণে তাঁর চেহারায় কালো দুইটি দাগ পড়ে গিয়েছিল।
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) একবার তাঁকে বললেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহ তাআলা আপনার দ্বারা মুসলিম সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করেছেন, গৌরবান্বিত করেছেন। আপনার হাতে অনেক নগরী গড়ে উঠেছে। ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে অনেক বিজয় অর্জিত হয়েছে।' উমর (রা.) জবাব দিলেন, ‘(এই গুরু- দায়িত্ব থেকে) আমি এমনভাবে দায়মুক্ত হতে চাই যে, আমার কোনো প্রতিদানও থাকবে না, কোনো অপরাধও থাকবে না।'
إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعُ
‘নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের (প্রতিশ্রুত) শাস্তি ও আযাব অবধারিতভাবে বাস্তবায়িত হবে।। (সূরা তূর:২১)
তিনি মৃত্যুশয্যায় যখন শায়িত ছিলেন, তখন নিজ সন্তানকে বললেন, “আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে মাটিতে শোয়াও। আমার চেহারাও মাটিতে নামিয়ে দাও। হয়তো আমার রব আমার প্রতি রহম করবেন। হায়, তিনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, তাহলে তো আমি ধ্বংস হয়ে যাব।"এই কথা তিনবার বলতে না বলতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
রাতের বেলায় নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াতের নিজস্ব একটি রুটিন ছিল তাঁর। তিলাওয়াতের সময় যখন ভয়ের কোনো আয়াত সামনে আসত, তিনি এত বেশি পরিমাণে কান্না করতেন যে অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন বাড়িতে থাকতেন। তখন লোকেরা রোগী দেখার নিয়তে তাঁর সাক্ষাতে আসত।
অধিক পরিমাণে অশ্রু প্রবাহের কারণে তাঁর চেহারায় কালো দুইটি দাগ পড়ে গিয়েছিল।
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) একবার তাঁকে বললেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহ তাআলা আপনার দ্বারা মুসলিম সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করেছেন, গৌরবান্বিত করেছেন। আপনার হাতে অনেক নগরী গড়ে উঠেছে। ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে অনেক বিজয় অর্জিত হয়েছে।' উমর (রা.) জবাব দিলেন, ‘(এই গুরু- দায়িত্ব থেকে) আমি এমনভাবে দায়মুক্ত হতে চাই যে, আমার কোনো প্রতিদানও থাকবে না, কোনো অপরাধও থাকবে না।'
বই: রুহের খোরাক (ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম এর " আল জাওয়াবুল কাফি" গ্রন্থের অনুবাদ)
লেখক : ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম
লেখক : ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম