সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

খুতবা ঈদের খুতবাহ

Mahmud ibn Shahidullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Q&A Master
Salafi User
Threads
520
Comments
533
Reactions
5,544
Credits
2,602
ঈদের খুতবা হবে নামাযের পর। ইবনে আববাস (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম), আবূ বাক্র, উমার ও উসমান উভয় ঈদের নামায খুতবার আগে পড়তেন।’[1]

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘আমাদের আজকের দিনে যে কাজ প্রথম শুরু করব, তা হল নামায।----’’[2]

আর জাবের (রাঃ) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ঈদের নামাযে উপস্থিত হয়েছি; তিনি খুতবার আগে নামায শুরু করেছেন।’[3]

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও আযহার দিনে ঈদগাহে বের হতেন। তিনি প্রথম কাজ হিসাবে নামায শুরু করতেন। অতঃপর লোকদের দিকে ফিরে দন্ডায়মান হতেন। লোকেরা নিজ নিজ কাতারে বসে থাকত। তিনি তাদেরকে নসীহত করতেন, অসিয়ত করতেন এবং বিভিন্ন আদেশ দিতেন। কোন যুদ্ধের সৈন্য প্রস্ত্তত করার থাকলে তা করতেন। কোন কিছুর আদেশ করার থাকলে তা করতেন। অতঃপর তিনি বাড়ি ফিরতেন। তাঁর পরবর্তীকালের লোকেরাও অনুরূপ করতে থাকল। অবশেষে একদা মদ্বীনার আমীর মারওয়ানের সাথে ঈদের নামায পড়তে ঈদুল আযহা অথবা ফিতরের দিন বের হলাম। ঈদগাহে পৌঁছে দেখি কাষীর বিন সাল্ত মিম্বর তৈরী করে রেখেছে। নামায শুরু করার আগেই মারওয়ান তাতে চড়তে গেলেন। আমি তাঁর কাপড় ধরে টান দিলাম। তিনিও আমাকে টান দিলেন। অতঃপর মিম্বরে চড়ে নামাযের আগেই খুতবা দিলেন। (নামাযের পর) আমি তাঁকে বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আপনি (সুন্নত) পরিবর্তন করে ফেললেন।’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘আবূ সাঈদ! আপনি যা জানেন তা গত হয়ে গেছে।’ আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যা জানি, তা না জানা জিনিস অপেক্ষা উত্তম।’ মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘কক্ষনো না। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! আমি যা জানি, তার থেকে উত্তম কিছু আপনারা আনয়ন করতে পারেন না।’ উত্তরে মারওয়ান বললেন, ‘লোকেরা নামাযের পরে আমাদের খুতবা শুনতে বসে না। তাই নামাযের পূর্বেই খুতবা দিলাম।’[4]



[1] (বুখারী ৯৬২-৯৬৩, মুসলিম ৮৮৪, ৮৮৮নং)
[2] (বুখারী ৯৫১, মুসলিম ১৯৬১নং)
[3] (আহমাদ, মুসনাদ ৩/৩১৮, মুসলিম ৮৮৫, নাসাঈ, বাইহাকী ৩/২৯৬, দাঃ)
[4] (বুখারী ৯৫৬, মুসলিম ৮৮৯নং)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
COMMENTS ARE BELOW
Top