সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর ইয়াহুদি খ্রিস্টান কারা এবং তারা কি কাফের নাকি মুশরিক?

abdulazizulhakimgrameen

Altruistic

Uploader
Salafi User
Threads
378
Comments
447
Solutions
1
Reactions
8,610
Credits
21,983
ইয়াহুদী এবং খ্রিষ্টানদের পরিচয়:

আল্লাহর বন্ধু নবী ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর প্রথম স্ত্রী আম্মাজান সারা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা)-এর গর্ভে নবী ইসহাক্ব (আলাইহিস সালাম)-এর জন্ম হয়। তাঁর বংশধরগণ ‘বনু ইসরাঈল’ নামে পরিচিত। এই বংশে হাজার হাজার নবীর জন্ম হয়। তাদের ক্বিবলা ছিল ফি-লি-স্তি-নের বায়তুল মুক্বাদ্দাস। আহলে কিতাবদের মধ্যে এই দলই বড়। তাদের এই বংশের শ্রেষ্ঠ এবং Powerful নবী হলেন মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর নিকটে ‘তাওরাত’ নাযিল হয়। যা ছিল মূলত হালাল-হারাম ইত্যাদি ব্যবহারিক বিধি-বিধান সম্বলিত গ্রন্থ। তাঁর অনুসারীগণ ‘ই-য়া-হূদ’ নামে পরিচিত। তারপরে তাদের মধ্যে আরেক শ্রেষ্ঠ নবী ছিলেন ঈসা (আলাইহিস সালাম)। ইনি নবী দাঊদ (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর ছিলেন। তাঁর নিকটে ‘ইঞ্জীল’ নাযিল হয়। এটি ছিল মূলত পরকালীন মুক্তির সুসংবাদবাহী ও উপদেশমূলক গ্রন্থ। তাঁর অনুসারীগণ ‘নাছারা বা খ্রিষ্টান নামে খ্যাত। এঁদের ক্বিবলা ছিল মক্কার কাবাগৃহ। ই-হূ-দী-দের প্রতিপক্ষ ছিল ফেরাঊন, হামান প্রমুখ কাফের নেতাগণ এবং খৃষ্টান তথা নাসারাদের প্রতিপক্ষ ছিল মূর্তিপূজারী মুশরিকগণ। ইঞ্জীলে যেহেতু তাওরাতের বিধি-বিধানের তেমন কোন পরিবর্তিত ছিল না, সেকারণে তারা (ই-য়া-হুদীরা) ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর অনুসারী হিসাবে গণ্য করত। যদিও তারা (ই-হু-দিরা) নিজেরা তাওরাতের বিধি-বিধান সমূহকে পরিবর্তন এবং বিকৃতি করেছে।

যেমন: শনিবারের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনকে রবিবার করা, শূকরের গোশতকে হালাল, সুদ হালাল করা ইত্যাদি। তবে একটি বিষয়ে উভয় দল একমত ছিল যে, শেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) সত্ত্বর অর্থাৎ শীঘ্রই আগমন করবেন এবং তাঁর নাম, চেহারা, জন্মস্থান সবই তারা তাদের কাছে নাজিলকৃত আসমানী কিতাবের মাধ্যমে জানত। সেকারণে তাদের পূর্ব পুরুষগণ শেষ নবীকে সাহায্য করার জন্য সিরিয়া থেকে হিজরত করে মদীনার নিকটবর্তী এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করেন ও বড় বড় দুর্গ নির্মাণ করেন। কিন্তু যখন শেষ নবী (ﷺ)-এর আবির্ভাব হল এবং তিনি হিজরত করে মদীনায় এলেন, তখন তারা তাঁকে স্পষ্টভাবে চিনতে পারলেও বংশীয় অহমিকা এবং হিংসা অহংকার মাথাচাড়া দেওয়ায় তারা রাসূল (ﷺ)-কে সহযোগিতা করা থেকে দূরে থাকে। বরং তারা রাসূল (ﷺ) এর সাথে গোপনে এবং প্রকাশ্যে সবরকমের শত্রুতায় লিপ্ত হয়। উল্লেখ্য যে, ই-য়া-হূদ-নাছারাগণ পরষ্পরের শত্রু ছিল এবং প্রত্যেকেই প্রতিপক্ষ দলকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করত। যেমন: সূরা বাকারায় মহান আল্লাহ বলেন:মানুষ ছিল এক উম্মত।

অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন এবং সত্যসহ তাদের সাথে কিতাব নাযিল করলেন, যাতে মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর তারাই তাতে মতবিরোধ করেছিল, যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত। অতঃপর আল্লাহ নিজ অনুমতিতে মুমিনদেরকে হিদায়াত দিলেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন। (সূরা বাক্বারাহ ২/১১৩)। অপর আয়াতে বলেন, আর ই-য়া-হূদীরা বলে, ‘নাসারাদের কোন ভিত্তি নেই’ এবং নাসারারা বলে ‘ইয়াহূদীদের কোন ভিত্তি নেই’। অথচ তারা কিতাব পাঠ করে। এভাবেই, যারা কিছু জানে না, তারা তাদের কথার মত কথা বলে। সুতরাং যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। সূরা বাকারাহ, ২/১১৩) আরেক আয়াতে শেষ নবী রাসূল (ﷺ) এসে তাদেরকে বললেন, لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّى تُقِيمُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ ‘তোমরা কিছুর উপরে নেই, যতক্ষণ না তোমরা তাওরাত ও ইঞ্জীলকে প্রতিষ্ঠিত করবে’ (সূরা মায়েদাহ ৬৮)। যেহেতু তাওরাত ও ইঞ্জীল মানতে গেলে কুরআনকে মানতে বাধ্য হতে হয়, তাই তারা সবকিছুকে অস্বীকার করল ও শেষ নবীর বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হল। (শহরস্তানী, আল-মিলাল খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ২০৯-২১৪)

ই-য়া-হূদী-নাছারাগণ অসংখ্য দলে বিভক্ত। হাদীছে ৭২ ফেরকা বলা হলেও তার অর্থ হল অসংখ্য। যদিও মুসলমানদের সাথে শত্রুতার বেলায় তারা সবাই এক। যেমনটি কুরআনে আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়েছেন, মহান আল্লাহ বলেন,یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَهُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّهٗ مِنۡهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ হে মুমিনগণ, ই-য়া-হূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না। সূরা মায়েদাহ, ৫/৫১) আল্লাহর গযবের শিকার হয়ে বনু ইসরাঈলের সবচেয়ে বড় গোত্র বা দল ই-হূ-দীরা এখন বিশ্বের অন্যতম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়ে এবং অপরের দয়ার ভিখারী হয়ে আমেরিকা ও ইসরাঈলে কোন রকমে টিকে আছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী খৃষ্টানরা অহংকারে বুঁদ হয়ে আসন্ন ধ্বংসের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। আধুনিককালের খৃষ্টানরা প্রধানত: তিনভাগে বিভক্ত: ক্যাথলিক, অর্থোডক্স ও প্রটেষ্ট্যান্ট। এরা সবাই যীশু খৃষ্টের অনুসারী হওয়ার দাবীদার। ই-য়া-হুদী খৃষ্টান ধর্ম কোন বিশ্বধর্ম ছিল না। কেননা শেষনবী ব্যতীত সকল নবীই ছিলেন গোত্রীয় নবী যদিও সকল নবী রাসূল ছিলেন মুসলিম। রাসূল ﷺ বলেছেন,প্রত্যেক নবী প্রেরিত হয়েছেন কেবলমাত্র আপন আপন গোত্রের জন্য, কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি সমগ্র মানবজাতির জন্য। (সহীহ বুখারী হা/ ৩৩৫, নাসায়ী হা/ ৪৩২, সহীহ আবু দাউদ হা/ ৫০৬, ইরওয়াউল গালীল হা/ ২৮৫ আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন সিরাতুর রাসূল (ﷺ)

▪️ই-য়া-হু-দী ও খ্রিস্টানরা কি মুশরিক নাকী কাফের?

প্রথমত: কুরআন হাদীসের দলিল এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের ইজমাহ তথা ঐক্যমতে, যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য বাতিল ধর্ম দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে সে একজন অবিশ্বাসী কাফের/মুশরিক, তার ধর্ম তার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হবে এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা আখিরাতে শুধুমাত্র ঈমানদাররাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং যারা কাফের-মুশরিক অবস্থায় মারা যাবে তাদের জন্য আল্লাহ জান্নাত স্থায়ী ভাবে হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰهِ الۡاِسۡلَامُ নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হল ইসলাম। (সূরা আলে ইমরান: ৩/১৯) তিনি আরো বলেছেন: যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন তালাশ করলে, তা কখনো তার কাছ থেকে কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’[সুরা আলে ইমরান, ৩/ ৮৫] .রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাল (রা.)-কে আদেশ দেন, তিনি যেন বলেন, ‘‘কোনো মুসলিম ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৩০৬২] এমনকি একজন মুসলমান তার মুশরিক আত্মীয়ের জন্য সুপারিশ করতে পারে না, যদিও সে তার পিতা, পুত্র, দাদা বা চাচাই হয়। কারন মৃত্যুর পর আল্লাহ কাফের মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন।মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা মায়েদাহ, ৫/৭২) অপর আয়াতে বলেন, আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করলেন, “নবী এবং ঈমানদারদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা শোভা পায় না, যদিও তারা (মুশরিকরা) নিকটাত্মীয় হয়। কেননা তারা যে জাহান্নামী হবে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে” (সূরা আত তাওবাহ: ৯/ ১১৩) ।

দ্বিতীয়ত: কুরআন সুন্নাহর দলিল থেকে যা পতিমান হয় তা হচ্ছে, ই-য়া-হুদী ও খ্রি-স্টা-নরা উভয় কা-ফের ও মু-শ-রিক। তারা কাফের হওয়ার কারণ হলো তারা সত্যকে অস্বীকার করে এবং মিথ্যা প্রতিপন্ন করে,আর তারা মুশরিক হওয়ার কারণ হলো তারা আল্লাহ তা’আলা ছাড়া অন্যদের ইবাদত করে।আল্লাহ তাআলা বলেন: আর ই-য়া-হু-দীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা (খ্রি-ষ্টা-নরা) বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র এটা তাদের মুখের কথা। আগে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মত কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। কোন দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে!তারা আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে তাদের রবরূপে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়াম-পুত্র মসীহকেও। অথচ এক ইলাহের ইবাদাত করার জন্যই তারা আদিষ্ট হয়েছিল। তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তা থেকে তিনি কত না পবিত্ৰ। (সূরা তওবা: ৯/৩০-৩১) উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাদেরকে মুশরিক বলে বর্ণনা করেছেন। আর সুরা বাইয়্যিনাহতে কাফের বলে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: لَمۡ یَکُنِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ مُنۡفَکِّیۡنَ حَتّٰی تَاۡتِیَهُمُ الۡبَیِّنَۃُ আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে এবং মুশরিকরণ, তারা নিবৃত্ত হবে না যতক্ষন না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসবে (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৯৮/১) হাদীসে এসেছে, আদী ইবন হাতেম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি গলায় একটি সোনার ক্রুশ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে আদী, তোমার গলা থেকে এ মূর্তিটি সরিয়ে ফেল এবং তাকে সূরা আত-তাওবাহর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করতে শুনলাম- “তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগীদেরকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে।” আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমরা তো তাদের ইবাদত করি না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারা তোমাদের জন্য কোন কিছু হালাল করলে তোমরা সেটাকে হালাল মনে কর আর কোন কিছুকে হারাম করলে তোমরা সেটাকে হারাম হিসাবে গ্রহণ কর। (তিরমিযীঃ ৩০৯৫ সনদ বিশুদ্ধ)

শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) ওই সমস্ত ব্যক্তিদের কথার জবাবে বলেন,যারা বলে থাকে মুশরিক শব্দটি আহলে কিতাবদের অন্তর্ভুক্ত করে না।

” والأقرب أن أهل الكتاب داخلون في المشركين والمشركات عند الإطلاق رجالهم ونساؤهم ؛ لأنهم كفار مشركون بلا شك ، ولهذا يمنعون من دخول المسجد الحرام ، لقوله عز وجل : ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا ) التوبة/28. ولو كان أهل الكتاب لا يدخلون في اسم المشركين عند الإطلاق لم تشملهم هذه الآية ، ولما ذكر سبحانه عقيدة اليهود والنصارى في سورة براءة قال بعد ذلك : ( وَمَا أُمِرُوا إِلا لِيَعْبُدُوا إِلَهًا وَاحِدًا لا إِلَهَ إِلا هُوَ سُبْحَانَهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ ) التوبة/31 ، فوصفهم جميعا بالشرك ؛ لأن اليهود قالوا : عزير ابن الله ، والنصارى قالوا : المسيح ابن الله ؛ ولأنهم جميعاً اتخذوا أحبارهم ورهبانهم أرباباً من دون الله ، وهذا كله من أقبح الشرك والآيات في هذا المعنى كثيرة ”

প্রাধান্য যোগ্য এবং নিকটবর্তী কথা হলো আহলে কিতাব এ শব্দটি মুশরিক নর ও নারী উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। কেননা নিঃসন্দেহে তারা কা-ফে-র মু-শ-রিক। এজন্য তাদেরকে মসজিদুল হারামে (কাবা ঘরে) ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: হে ঈমানদারগণ মুশরিকরা তো অপবিত্র; কাজেই এ বছরের পর,তারা যেন মসজিদুল হারামের ধারে-কাছে না আসে।(সূরা তওবা:৯/২৮) যদিও এ আয়াতের মাঝে আহলে কিতাব শব্দটি মুশরিকদের নামের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি বা মুশরিক হিসেবে বর্ণনা করা হয়নি তবে যখন ই-হু-দি এবং খ্রি-স্টা-নদের আকিদা সম্পর্কে সুরা বাক্বারার মধ্যে বলেন, তখন তারপরে তিনি বলেছেন: তারা (ই-হু-দী ও খ্রি-স্টা-নরা) আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের পন্ডিত-পুরোহিতদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে এবং মারয়্যামের পুত্র মসীহকেও। অথচ তাদেরকে শুধু এই আদেশ করা হয়েছিল যে, তারা শুধুমাত্র একক ইলাহের উপাসনা করবে, তিনি ব্যতীত (সত্য) কোন সত্য ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তা থেকে তিনি কত না পবিত্ৰ।(সূরা তওবা: ৯/৩১) তাই তাদের সবাইকে মু-শ-রিক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, কারণ ই-হু-দিরা বলেছিল ‘উযায়ের আল্লাহর পুত্র এবং খ্রি-স্টা-নরা বলেছিল যে মসীহ আল্লাহর পুত্র; একারণ তারা আল্লাহর পরিবর্তে তাদের পুরোহিত ও রাবীদেরকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ সবই শিরকের নিকৃষ্টতম রূপ। অনুরূপ অনেক আয়াত আছে। (বিন বায মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ২৭৪) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)



উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।​
 
Last edited by a moderator:
Top