শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ বলেনঃ
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
এগুলোর কোনো গুরুত্বই নেই। মূল বিষয় তো তুমি হে মুসলিম!
দৃঢ়ভাবে এটা বিশ্বাস রাখো যে, একমাত্র আল্লাহই তাবত দুনিয়া পরিচালনা করেন।
পুরো বিশ্ব যদি তোমার ক্ষতি করতে একত্রিত হয় তারা ততটুকুই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।
আর তারা সবাই মিলে যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে কেবল আল্লাহর ইচ্ছাটুকু ব্যতীত আর কোনো উপকারই করতে পারবে না।
সুতরাং, সব বিষয়ে তুমিই শুধু ধর্তব্য...
হ্যা, তুমিই!! আল্লাহর সাথে তোমার সম্পর্ক কেমন?
তুমি কি আল্লাহর শরীয়তের উপর দৃঢ় আছ? কেননা, তুমি শরীয়ত মানলেই তো জীবন উন্নত হবে। আল্লাহ তোমাকে অবারিত (রহমতের) পানি পান করাবেন। উত্তম জীবন দান করবেন।
আল্লাহ বলেন: "আর তারা যদি সত্য পথে প্রতিষ্ঠিত থাকত তবে অবশ্যই তাদেরকে আমরা প্রচুর বারি বর্ষণে সিক্ত করতাম"। -(সূরা জ্বিন, ১৬)
তুমি কি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে সৎ আমল করতে পেরেছ? শিরক বিহীন আমল করেছ?
কেননা, তুমি ইবাদতে ঠিক হলেই তো আল্লাহ তোমাকে ক্ষমতা দেবেন, তোমার দ্বীনকে শক্তিধর করবেন, তোমার ভয়ভীতিকে নিরাপত্তা দিয়ে পরিবর্তন করে দেবেন।
আল্লাহ বলেন: "তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে যমীনে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়ভীতির পরে তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা যায়।" -(সূরা নূর, ৫৫-৫৬)
তুমি কি আসলেই আল্লাহকে ভয় করো? কেননা, তুমি সত্যিকারার্থে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করলে তিনি তোমাদের জন্য আসমান জমিনের বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন।
তিনি বললেনঃ "আর যদি সে সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও যমীনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যারোপ করেছিল; কাজেই আমরা তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে পাকড়াও করেছি। তবে কি জনপদের অধিবাসীরা নিরাপদ হয়ে গেছে যে, আমাদের শাস্তি তাদের উপর রাতে আসবে, যখন তারা থাকবে গভীর ঘুমে? নাকি জনপদের অধিবাসীরা নিরাপদ হয়ে গেছে যে, আমাদের শাস্তি তাদের উপর আসবে দিনের বেলা, যখন তারা খেলাধুলায় মেতে থাকবে? তারা কি আল্লাহর কৌশল থেকেও নিরাপদ হয়ে গেছে? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায় ছাড়া কেউই আল্লাহর কৌশলকে নিরাপদ মনে করে না।" -(সূরা আ'রাফ, ৯৬-৯৯)
এটাই মূল কথা। অন্য কিছুই নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে এ পর্যন্ত সব সময়ই ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বিগ্রহ, শত্রুতা, ষড়যন্ত্র, শঠতা; সবই হয়েছে, চলছে।
কেউ তোমাকে মিথ্যা বলবে না যে, এটা অমুকের কারণে...বা অমুক দেশের কারণে...
জানো, এটা কেন?
কারণ, দুনিয়া শান্তির জায়গা না, বরং ধোঁকার জায়গা।... কেননা, আল্লাহ আমাদেরকে এখানে সৃষ্টিই করেছেন পরীক্ষা করার জন্য। আসল জীবন তো পরকালীন জীবন। আল্লাহ বলেনঃ "আর এ দুনিয়ার জীবন তো খেলতামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর আখেরাতের জীবনই তো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত!" -(সূরা 'আনকাবূত, ৬৪)
আরো বলেনঃ "বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন না; আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন ত্রুটি দেখতে পান কি?" -(সূরা মুলক, ১-৩)
হে মুসলিম (ভাই)! তুমি তোমার ঈমানকে আমলে সালেহ ও আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করো।
সুসংবাদ গ্রহণ করো...
কেননা, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম অভিভাবক।
(শায়খ হাফিযাহুল্লাহর পেজ থেকে)।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
- রথ চাইল্ড পরিবার...
- রকফেলার পরিবার...
- বিশ্বের গোপন শাসনব্যবস্থা...
- জায়নবাদি প্রোটোকল...
- ইহুদিবাদী রাষ্ট্র...
- আমেরিকা...
- রাশিয়া...
- চীন...
- ভারত...
- কোরিয়া...
এগুলোর কোনো গুরুত্বই নেই। মূল বিষয় তো তুমি হে মুসলিম!
দৃঢ়ভাবে এটা বিশ্বাস রাখো যে, একমাত্র আল্লাহই তাবত দুনিয়া পরিচালনা করেন।
পুরো বিশ্ব যদি তোমার ক্ষতি করতে একত্রিত হয় তারা ততটুকুই করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।
আর তারা সবাই মিলে যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে কেবল আল্লাহর ইচ্ছাটুকু ব্যতীত আর কোনো উপকারই করতে পারবে না।
সুতরাং, সব বিষয়ে তুমিই শুধু ধর্তব্য...
হ্যা, তুমিই!! আল্লাহর সাথে তোমার সম্পর্ক কেমন?
তুমি কি আল্লাহর শরীয়তের উপর দৃঢ় আছ? কেননা, তুমি শরীয়ত মানলেই তো জীবন উন্নত হবে। আল্লাহ তোমাকে অবারিত (রহমতের) পানি পান করাবেন। উত্তম জীবন দান করবেন।
আল্লাহ বলেন: "আর তারা যদি সত্য পথে প্রতিষ্ঠিত থাকত তবে অবশ্যই তাদেরকে আমরা প্রচুর বারি বর্ষণে সিক্ত করতাম"। -(সূরা জ্বিন, ১৬)
তুমি কি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে সৎ আমল করতে পেরেছ? শিরক বিহীন আমল করেছ?
কেননা, তুমি ইবাদতে ঠিক হলেই তো আল্লাহ তোমাকে ক্ষমতা দেবেন, তোমার দ্বীনকে শক্তিধর করবেন, তোমার ভয়ভীতিকে নিরাপত্তা দিয়ে পরিবর্তন করে দেবেন।
আল্লাহ বলেন: "তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে যমীনে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়ভীতির পরে তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা যায়।" -(সূরা নূর, ৫৫-৫৬)
তুমি কি আসলেই আল্লাহকে ভয় করো? কেননা, তুমি সত্যিকারার্থে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করলে তিনি তোমাদের জন্য আসমান জমিনের বরকতের দুয়ার খুলে দেবেন।
তিনি বললেনঃ "আর যদি সে সব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমরা তাদের জন্য আসমান ও যমীনের বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম, কিন্তু তারা মিথ্যারোপ করেছিল; কাজেই আমরা তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে পাকড়াও করেছি। তবে কি জনপদের অধিবাসীরা নিরাপদ হয়ে গেছে যে, আমাদের শাস্তি তাদের উপর রাতে আসবে, যখন তারা থাকবে গভীর ঘুমে? নাকি জনপদের অধিবাসীরা নিরাপদ হয়ে গেছে যে, আমাদের শাস্তি তাদের উপর আসবে দিনের বেলা, যখন তারা খেলাধুলায় মেতে থাকবে? তারা কি আল্লাহর কৌশল থেকেও নিরাপদ হয়ে গেছে? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায় ছাড়া কেউই আল্লাহর কৌশলকে নিরাপদ মনে করে না।" -(সূরা আ'রাফ, ৯৬-৯৯)
এটাই মূল কথা। অন্য কিছুই নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে এ পর্যন্ত সব সময়ই ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বিগ্রহ, শত্রুতা, ষড়যন্ত্র, শঠতা; সবই হয়েছে, চলছে।
কেউ তোমাকে মিথ্যা বলবে না যে, এটা অমুকের কারণে...বা অমুক দেশের কারণে...
জানো, এটা কেন?
কারণ, দুনিয়া শান্তির জায়গা না, বরং ধোঁকার জায়গা।... কেননা, আল্লাহ আমাদেরকে এখানে সৃষ্টিই করেছেন পরীক্ষা করার জন্য। আসল জীবন তো পরকালীন জীবন। আল্লাহ বলেনঃ "আর এ দুনিয়ার জীবন তো খেলতামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর আখেরাতের জীবনই তো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত!" -(সূরা 'আনকাবূত, ৬৪)
আরো বলেনঃ "বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন না; আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন ত্রুটি দেখতে পান কি?" -(সূরা মুলক, ১-৩)
হে মুসলিম (ভাই)! তুমি তোমার ঈমানকে আমলে সালেহ ও আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করো।
সুসংবাদ গ্রহণ করো...
কেননা, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম অভিভাবক।
(শায়খ হাফিযাহুল্লাহর পেজ থেকে)।