Doing Automated Jobs
প্রশ্নঃ ইসলামে স্যাকুলারিজম বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করার বিধান কী? এবং ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে বিশ্বায়ণ (পশ্চাত্য সভ্যতার প্রসার) এর সম্পর্ক কী?
উত্তর: ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে দীন বর্জনকারী বিধান। আর এ বিধান মানুষকে দুনিয়ার ভোগ বিলাসে সর্বাত্মক ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। ইসলামের সাথে এ ধর্মহীন মতবাদের বৈপরিত্বের কারণ দুটি:
(এক) এ মতবাদ আল্লাহর নাযিল করা বিধান নয়। সুতরাং এ মতবাদ দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বিরোধী। (দুই) এ বিধান আল্লাহর ইবাদাতে শির্কের অন্তর্ভুক্ত।
আর বিশ্বায়ণ যাকে আরবীতে আউলামা বলা হয়, (যার উদ্দেশ্য সকল সভ্যতাকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অধীন করে দেওয়া) এর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, সারা দুনিয়াকে আমেরিকাপন্থী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। অতঃপর পাশ্চাত্য সভ্যতাকে বরণ করে পর্যয়ক্রমে পোত্তলিক খ্রীষ্টীয় দর্শনের বেড়াজালে আবদ্ধ হওয়া।
ধর্মনিরপেক্ষতা ও পাশ্চাত্য সভ্যতার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে: দীন ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিচালনার মাধমে সত্য দীনের বিলোপ সাধন করা। আর তাদের মূল মদদদাতা হচ্ছে পশ্চিমা কুফরী শক্তি। অতএব তাদের ব্যাপারে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা ফরয। তাদেরকে বর্জন করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে, বিনাশ সাধন করতে হবে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া একান্ত কর্তব্য।
আর যদি বিশ্বায়ণ বা ‘আউলামা’ এর ব্যাখ্যা হয় উন্নত প্রযুক্তি বা প্রগতি; তাহলে এ প্রযুক্তি ইসলাম বিরোধী নয় এবং মুসলিম জাতির জন্য তা সাদরে গ্রহণ করা কর্তব্য বলে গণ্য হবে। দীন ইসলাম বিশ্বব্যাপী এবং সর্বকালের ও সর্বস্থানের উপযোগী পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
উত্তর: ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে দীন বর্জনকারী বিধান। আর এ বিধান মানুষকে দুনিয়ার ভোগ বিলাসে সর্বাত্মক ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। ইসলামের সাথে এ ধর্মহীন মতবাদের বৈপরিত্বের কারণ দুটি:
(এক) এ মতবাদ আল্লাহর নাযিল করা বিধান নয়। সুতরাং এ মতবাদ দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বিরোধী। (দুই) এ বিধান আল্লাহর ইবাদাতে শির্কের অন্তর্ভুক্ত।
আর বিশ্বায়ণ যাকে আরবীতে আউলামা বলা হয়, (যার উদ্দেশ্য সকল সভ্যতাকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অধীন করে দেওয়া) এর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, সারা দুনিয়াকে আমেরিকাপন্থী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। অতঃপর পাশ্চাত্য সভ্যতাকে বরণ করে পর্যয়ক্রমে পোত্তলিক খ্রীষ্টীয় দর্শনের বেড়াজালে আবদ্ধ হওয়া।
ধর্মনিরপেক্ষতা ও পাশ্চাত্য সভ্যতার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে: দীন ইসলামের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিচালনার মাধমে সত্য দীনের বিলোপ সাধন করা। আর তাদের মূল মদদদাতা হচ্ছে পশ্চিমা কুফরী শক্তি। অতএব তাদের ব্যাপারে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা ফরয। তাদেরকে বর্জন করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে, বিনাশ সাধন করতে হবে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া একান্ত কর্তব্য।
আর যদি বিশ্বায়ণ বা ‘আউলামা’ এর ব্যাখ্যা হয় উন্নত প্রযুক্তি বা প্রগতি; তাহলে এ প্রযুক্তি ইসলাম বিরোধী নয় এবং মুসলিম জাতির জন্য তা সাদরে গ্রহণ করা কর্তব্য বলে গণ্য হবে। দীন ইসলাম বিশ্বব্যাপী এবং সর্বকালের ও সর্বস্থানের উপযোগী পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী