Doing Automated Jobs
প্রশ্নঃ ইসলামের আলোকে ভালো-বাসার মর্মার্থ কি? ভালোবাসার সাথে তাওহীদের সম্পর্কে কি?
উত্তর: ভালোবাসা হচ্ছে সেই অনুভুতি যা দেখা যায় না এবং তা ছোয়াও যায় না। আর এটা মহান আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নেয়ামত, তাঁরই ইচ্ছায় বৃদ্ধি ঘাটতি হয়। সর্বোচ্চ ভালোবাসা আল্লাহরই প্রাপ্য অতঃপর তাঁর রাসূলের। আর এটাই হচ্ছে আকীদাহ-বিশ্বাসের মৌলিক উপাদান ও মেরুদণ্ড। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ﴾ [ال عمران: ٣١]
‘‘বলুন; যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন’’। (সূরা আলে-ইমরান: ৩১)
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»
‘‘তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের পিতা, সন্তান এবং অন্যান্য সকল মানুষের চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় না হব’। (বুখারী: ১৫; মুসলিম: ৪৪)
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:
«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ»
‘‘তোমাদের কেহই ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিজের জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয় না হব’। (বুখারী)
অতএব উপরোক্ত উপায়ে মুমিন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ সৌন্দর্য অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। তবে দাম্পত্য জীবনের প্রেম-ভালোবাসা এবং আত্মীয় স্বজনদের ভালোবাসা দোষনীয় হবে না। কিন্তু শর্ত হলো যে, কোনো অবস্তায়ই যেন মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাধাগ্রস্ত না হয়।
বস্তুত প্রত্যেকের মাঝে নির্ধারিত সাধারণ ভালোবাসা (মহব্বত) এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভালোবাসা এক নয়, কেননা একজন মুসলিমের সাধারণ ভালোবাসা কখনো কখনো অমুসলিমের জন্যেও হতে পারে।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
উত্তর: ভালোবাসা হচ্ছে সেই অনুভুতি যা দেখা যায় না এবং তা ছোয়াও যায় না। আর এটা মহান আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নেয়ামত, তাঁরই ইচ্ছায় বৃদ্ধি ঘাটতি হয়। সর্বোচ্চ ভালোবাসা আল্লাহরই প্রাপ্য অতঃপর তাঁর রাসূলের। আর এটাই হচ্ছে আকীদাহ-বিশ্বাসের মৌলিক উপাদান ও মেরুদণ্ড। মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ ﴾ [ال عمران: ٣١]
‘‘বলুন; যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন’’। (সূরা আলে-ইমরান: ৩১)
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»
‘‘তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের পিতা, সন্তান এবং অন্যান্য সকল মানুষের চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় না হব’। (বুখারী: ১৫; মুসলিম: ৪৪)
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:
«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ»
‘‘তোমাদের কেহই ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিজের জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয় না হব’। (বুখারী)
অতএব উপরোক্ত উপায়ে মুমিন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ সৌন্দর্য অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। তবে দাম্পত্য জীবনের প্রেম-ভালোবাসা এবং আত্মীয় স্বজনদের ভালোবাসা দোষনীয় হবে না। কিন্তু শর্ত হলো যে, কোনো অবস্তায়ই যেন মহান আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাধাগ্রস্ত না হয়।
বস্তুত প্রত্যেকের মাঝে নির্ধারিত সাধারণ ভালোবাসা (মহব্বত) এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভালোবাসা এক নয়, কেননা একজন মুসলিমের সাধারণ ভালোবাসা কখনো কখনো অমুসলিমের জন্যেও হতে পারে।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী