If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
১. ইসলামী আক্বীদাহ গ্রহণের মূল উৎস কুরআনুল কারীম, সহিহ হাদীছ ও সালাফে সালিহীনের ইজমা। (১)
২. আক্বীদাহসহ অন্যান্য বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত সহিহ হাদীছ গ্রহণ করা ফরয, এমনকি তা যদি খবরে আহাদও হয়। (২)
৩. কুরআন ও সুন্নাহ্ বুঝার ক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তনস্থল হচ্ছে এমন নছুসমূহ যার মধ্যে রয়েছে আয়াত বা হাদীছের স্পষ্ট ব্যাখ্যা। এছাড়া আমাদের পূর্বসূরী সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং আমাদের সম্মানিত ইমামগণ কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা। আর আরবদের ভাষায় যা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। তবে ভাষাগত দিক থেকে অন্য কোন অর্থের সম্ভাবনা থাকলেও সাহাবা, তাবেয়ীনদের ব্যাখ্যার বিপরীত কোন ব্যাখ্যা গ্রহণ করা যাবে না। সম্ভাব্য কোন অর্থ এর বিপরীত কোন অর্থ বহন করলেও তাদের ব্যাখ্যার উপরেই অটল থাকতে হবে।
৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসলামের মূল বিষয়সমূহ পু্খানুপৃঙ্খরূপে বর্ণনা করেছেন। এজন্য দীনের মধ্যে নতুন কোন কিছু সংযোজন করার কারও অধিকার নেই। (৩)
৫. প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সর্ব বিষয়ে আল্লাহ্ ও তার রসূলের প্রতি আত্মসমর্পন করা ফরয। সুতরাং নিজের মানসিক ঝোঁক বা ধারণার বশঃবত্তী হয়ে, আবেগপ্রবণ হয়ে অথবা বুদ্ধির জোরে বা যুক্তি দিয়ে কিংবা কাশফ অথবা কোন পীর-উস্তাদের কথা, কোন ইমামের উক্তির অজুহাত দিয়ে কুরআন সুন্নাহর বিরোধিতা করা যাবে না। (৪)
৬. কুরআন, সুন্নাহর সাথে জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকের কোন সংঘাত বা বিরোধ নেই। কিন্তু কোন সময় যদি উভয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় এমতাবস্থায় কুরআন সুন্নাহ্র অর্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। (৫)
৭. আক্বীদাহ সংক্রান্ত বিষয়ে শরীআতসম্মত ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ করা এবং বিদ'আতী পরিভাষাসমূহ বর্জন করা ফরয। আর সংক্ষেপে বর্ণিত শব্দসমূহ, যা বুঝতে ভূল-শুদ্ধ উভয়েরই সম্ভাবনা থাকে, এমতাবস্থায় বক্তা থেকে ঐ সমস্ত বাক্য বা শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করে জেনে নেয়া, তারপর তন্মধ্যে থেকে যা হক বা সঠিক বলে প্রমাণিত হবে তা শরী'আত সমর্থিত শব্দের মাধ্যমে সাব্যস্ত করতে হবে, আর যা বাতিল তা বর্জন করতে হবে।
৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন নিষ্পাপ।(৬) আর সামষ্ট্রিকভাবে মুসলিম উনম্মাহও ভ্রান্তির উপরে একত্রিত হওয়া থেকে মুক্ত। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে মুহাম্মাদ (ﷺ) ব্যতীত এ উম্মতের কেউই নিষ্পাপ নন। আমাদের সম্মানিত ইমামগণ এবং অন্যান্যরা যে সব বিষয়ে মত পার্থক্য করেছেন, সে সমস্ত বিষয়ের সমাধানের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।(৭) তবে উম্মতের মুজতাহিদগণের যে সমস্ত ভুল-ত্রুটি হবে সেগুলোর জন্য সঙ্গত ওযর ছিল বলে ধরে নিতে হবে।(৮) [অর্থাৎ ইজতিহাদী ভুলের কারণে তাদের মর্যাদা সমুন্নতই থাকবে এবং তাদের প্রতি সুন্দর ধারণা পোষণ করতে হবে।]
৯. এ উম্মতের মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান সমৃদ্ধ ও ইলহামপ্রাপ্ত অনেক মনীষী রয়েছেন। সুস্বপ্ন সত্য এবং তা নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের একাংশ।(৯) সত্য-সঠিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের বাণী সত্য এবং তা কারামত বা সুসংবাদের অন্তর্ভুক্ত। তবে শর্ত হলো সেটি শরী'আতসম্মত হতে হবে। তবে এটি ইসলামী আক্বীদাহ এবং শরী'আত প্রবর্তনের কোন উৎস নয়।
১০. দীনের কোন বিষয়ে অযথা তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয়। তবে উত্তম পন্থায় বিতর্ক বৈধ।(১০) আর যে সমস্ত বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া থেকে শরী'আত নিষেধ করেছে, তা থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। এমনিভাবে অজানা বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হওয়াও মুসলিমদের জন্য অনুচিত, বরং ঐ অজানা বিষয় সর্বত্ত ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহর উপর সোপর্দ করা উচিত।(১১)
১১. কোন বিষয়ে গ্রহণ বর্জনের জন্য ওহীর পথ অবলম্বন করতে হবে। অনুরূপভাবে কোন বিষয় বিশ্বাস বা সাব্যস্ত করার জন্যও ওহীর পদ্ধতির অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং বিদ'আতকে প্রতিহত করার জন্য বিদ'আতের আশ্রয় নেয়া যাবে না। আর কোন বিষয়ের অবজ্ঞা ঠেকাতে অতিরঞ্জন করার মাধ্যমে মোকাবেলা করা যাবে না। অনুরূপ কোন বিষয়ের অতিরঞ্জান ঠেকাতে অবজ্ঞাও করা যাবে না। [যতটুকু শরী'আত সমর্থন করে ততটুকুই করা যাবে]
১২. দীনের মধ্যে নব সৃষ্ট সব কিছুই বিদ'আত এবং প্রতিটি বিদ'আতই হলো পথভুষ্টতা। আর প্রত্যেক পথভষ্টতার পরিণতিই জাহান্নাম।(১২)
২. আক্বীদাহসহ অন্যান্য বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত সহিহ হাদীছ গ্রহণ করা ফরয, এমনকি তা যদি খবরে আহাদও হয়। (২)
৩. কুরআন ও সুন্নাহ্ বুঝার ক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তনস্থল হচ্ছে এমন নছুসমূহ যার মধ্যে রয়েছে আয়াত বা হাদীছের স্পষ্ট ব্যাখ্যা। এছাড়া আমাদের পূর্বসূরী সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং আমাদের সম্মানিত ইমামগণ কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা। আর আরবদের ভাষায় যা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। তবে ভাষাগত দিক থেকে অন্য কোন অর্থের সম্ভাবনা থাকলেও সাহাবা, তাবেয়ীনদের ব্যাখ্যার বিপরীত কোন ব্যাখ্যা গ্রহণ করা যাবে না। সম্ভাব্য কোন অর্থ এর বিপরীত কোন অর্থ বহন করলেও তাদের ব্যাখ্যার উপরেই অটল থাকতে হবে।
৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইসলামের মূল বিষয়সমূহ পু্খানুপৃঙ্খরূপে বর্ণনা করেছেন। এজন্য দীনের মধ্যে নতুন কোন কিছু সংযোজন করার কারও অধিকার নেই। (৩)
৫. প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সর্ব বিষয়ে আল্লাহ্ ও তার রসূলের প্রতি আত্মসমর্পন করা ফরয। সুতরাং নিজের মানসিক ঝোঁক বা ধারণার বশঃবত্তী হয়ে, আবেগপ্রবণ হয়ে অথবা বুদ্ধির জোরে বা যুক্তি দিয়ে কিংবা কাশফ অথবা কোন পীর-উস্তাদের কথা, কোন ইমামের উক্তির অজুহাত দিয়ে কুরআন সুন্নাহর বিরোধিতা করা যাবে না। (৪)
৬. কুরআন, সুন্নাহর সাথে জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকের কোন সংঘাত বা বিরোধ নেই। কিন্তু কোন সময় যদি উভয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় এমতাবস্থায় কুরআন সুন্নাহ্র অর্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। (৫)
৭. আক্বীদাহ সংক্রান্ত বিষয়ে শরীআতসম্মত ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ করা এবং বিদ'আতী পরিভাষাসমূহ বর্জন করা ফরয। আর সংক্ষেপে বর্ণিত শব্দসমূহ, যা বুঝতে ভূল-শুদ্ধ উভয়েরই সম্ভাবনা থাকে, এমতাবস্থায় বক্তা থেকে ঐ সমস্ত বাক্য বা শব্দের বিস্তারিত ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করে জেনে নেয়া, তারপর তন্মধ্যে থেকে যা হক বা সঠিক বলে প্রমাণিত হবে তা শরী'আত সমর্থিত শব্দের মাধ্যমে সাব্যস্ত করতে হবে, আর যা বাতিল তা বর্জন করতে হবে।
৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন নিষ্পাপ।(৬) আর সামষ্ট্রিকভাবে মুসলিম উনম্মাহও ভ্রান্তির উপরে একত্রিত হওয়া থেকে মুক্ত। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে মুহাম্মাদ (ﷺ) ব্যতীত এ উম্মতের কেউই নিষ্পাপ নন। আমাদের সম্মানিত ইমামগণ এবং অন্যান্যরা যে সব বিষয়ে মত পার্থক্য করেছেন, সে সমস্ত বিষয়ের সমাধানের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।(৭) তবে উম্মতের মুজতাহিদগণের যে সমস্ত ভুল-ত্রুটি হবে সেগুলোর জন্য সঙ্গত ওযর ছিল বলে ধরে নিতে হবে।(৮) [অর্থাৎ ইজতিহাদী ভুলের কারণে তাদের মর্যাদা সমুন্নতই থাকবে এবং তাদের প্রতি সুন্দর ধারণা পোষণ করতে হবে।]
৯. এ উম্মতের মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান সমৃদ্ধ ও ইলহামপ্রাপ্ত অনেক মনীষী রয়েছেন। সুস্বপ্ন সত্য এবং তা নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের একাংশ।(৯) সত্য-সঠিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের বাণী সত্য এবং তা কারামত বা সুসংবাদের অন্তর্ভুক্ত। তবে শর্ত হলো সেটি শরী'আতসম্মত হতে হবে। তবে এটি ইসলামী আক্বীদাহ এবং শরী'আত প্রবর্তনের কোন উৎস নয়।
১০. দীনের কোন বিষয়ে অযথা তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হওয়া অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয়। তবে উত্তম পন্থায় বিতর্ক বৈধ।(১০) আর যে সমস্ত বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া থেকে শরী'আত নিষেধ করেছে, তা থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। এমনিভাবে অজানা বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হওয়াও মুসলিমদের জন্য অনুচিত, বরং ঐ অজানা বিষয় সর্বত্ত ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহর উপর সোপর্দ করা উচিত।(১১)
১১. কোন বিষয়ে গ্রহণ বর্জনের জন্য ওহীর পথ অবলম্বন করতে হবে। অনুরূপভাবে কোন বিষয় বিশ্বাস বা সাব্যস্ত করার জন্যও ওহীর পদ্ধতির অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং বিদ'আতকে প্রতিহত করার জন্য বিদ'আতের আশ্রয় নেয়া যাবে না। আর কোন বিষয়ের অবজ্ঞা ঠেকাতে অতিরঞ্জন করার মাধ্যমে মোকাবেলা করা যাবে না। অনুরূপ কোন বিষয়ের অতিরঞ্জান ঠেকাতে অবজ্ঞাও করা যাবে না। [যতটুকু শরী'আত সমর্থন করে ততটুকুই করা যাবে]
১২. দীনের মধ্যে নব সৃষ্ট সব কিছুই বিদ'আত এবং প্রতিটি বিদ'আতই হলো পথভুষ্টতা। আর প্রত্যেক পথভষ্টতার পরিণতিই জাহান্নাম।(১২)
ড. নাদ্বের ইবনে আব্দুল করীম আল-আবৰ্বল (রাহি:)
অনুবাদ: আবু সালমান মুহাম্মাদ মুতিউল ইসলাম ইবন আলী আহমাদ।
অনুবাদ: আবু সালমান মুহাম্মাদ মুতিউল ইসলাম ইবন আলী আহমাদ।
[১] দেখুন-সূরা আন নিসা ৪:৫৯।
[২] খবরে আহাদ ঐ হাদীছকে বলে, যে হাদীছ পরস্পরায় অসংখ্য ছাহাবী হতে বর্ণিত হয়নি।
[৩] আয়িশাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের এ দীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে যা এতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। বুখারী হা/২৬৯৭, মুসলিম হা/১৭১৮, আবূ দাউদ হা/৪৬০৬, ইবনে মাজাহ হা/১৪।
[৪] সূরা আন নিসা ৪:৫৯, ৬৫ ।
[৫] সূরা আন নিসা 8৪:৫৯ , সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩ ।
[৬] সূরা আল ফাতহ ৪৮:২
[৭] সূরা আন নিসা ৪:৫৯
[৯] সহিহ বুখারী ৭৩৫২, সহিহ মুসলিম ১৭১৬ ।
[১০] সহিহ বুখারী ৬৯৮৩, ৬৯৮৭, মুসলিম ২২৬৩, ইবনে মাজাহ ৩৮৯৪, তিরমিযী ২২৭০ ।
[১১] সূরা আন নাহল ১৬:১২৫ ।
[১২] সূরা আল আরাফ ৭:৩৩, সূরা গাফির ৪০:৩৫ ।
[২] খবরে আহাদ ঐ হাদীছকে বলে, যে হাদীছ পরস্পরায় অসংখ্য ছাহাবী হতে বর্ণিত হয়নি।
[৩] আয়িশাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের এ দীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে যা এতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। বুখারী হা/২৬৯৭, মুসলিম হা/১৭১৮, আবূ দাউদ হা/৪৬০৬, ইবনে মাজাহ হা/১৪।
[৪] সূরা আন নিসা ৪:৫৯, ৬৫ ।
[৫] সূরা আন নিসা 8৪:৫৯ , সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩ ।
[৬] সূরা আল ফাতহ ৪৮:২
[৭] সূরা আন নিসা ৪:৫৯
[৯] সহিহ বুখারী ৭৩৫২, সহিহ মুসলিম ১৭১৬ ।
[১০] সহিহ বুখারী ৬৯৮৩, ৬৯৮৭, মুসলিম ২২৬৩, ইবনে মাজাহ ৩৮৯৪, তিরমিযী ২২৭০ ।
[১১] সূরা আন নাহল ১৬:১২৫ ।
[১২] সূরা আল আরাফ ৭:৩৩, সূরা গাফির ৪০:৩৫ ।
Last edited: