Knowledge Sharer
ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 1,140
- Comments
- 1,332
- Solutions
- 1
- Reactions
- 12,653
- Thread Author
- #1
সুফিয়ান ইবনু সাইদের পক্ষ থেকে আব্বাদ ইবনু আব্বাদের প্রতি...
তোমার ওপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই।
আমি সর্বপ্রথম নিজেকে, এরপর তোমাকে মহান আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছি। কেননা তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করে চলো, তবে তিনি তোমার জন্য মানুষের বিপক্ষে যথেষ্ট হয়ে যাবেন। আর যদি মানুষকে ভয় করে চলো, তাহলে তারা আল্লাহর বিপক্ষে তোমার কোনো কাজেই আসবে না।
তুমি চেয়েছ, আমি যেন এমন কিছু চারিত্রিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য তোমাকে লিখে পাঠাই, যার সাহায্যে তুমি জীবনযাপনের রীতিনীতি এবং তোমার প্রতি পরিবার ও প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ও পরিষ্কার নির্দেশনা পেতে পারো। তুমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে জানতে চেয়েছ। এ সময়ে এমন চিন্তার মানুষ খুবই কম। বরং আমি তো তেমন কারও কথা জানিই না। তুমি কি এমন কারও কথা জানো? এরকম নষ্ট সময়ে এমন মানুষ থাকা খুব সহজ নয়। সত্য ও মিথ্যা এ সময়ে মিশ্রিত হয়ে পড়েছে। ডুবন্ত-প্রায় ব্যক্তির মতো সংগ্রাম না করলে, এখন বেঁচে থাকা দায়।
আগেকার সময়ে বলা হতো, এমন এক সময় সমাগত, যখন কোনো প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে না। তাই বেশি বেশি আল্লাহকে ভয় করে চলবে। নির্জনতা অবলম্বন করবে। নিজেকে যথেষ্ট সময় দেবে। আল্লাহর কিতাবের সাথে গভীর সম্পর্ক ও হৃদ্যতা গড়ে তুলবে। শাসকগোষ্ঠী থেকে সাবধান থাকবে। গরিব-অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের পাশে থাকবে। যদি নম্রতার সাথে কোনো কল্যাণের আদেশ করতে পারো, তাহলে তা করবে। যদি তোমার উপদেশ গ্রহণ করা হয়, তাহলে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাবে। আর যদি তোমার উপদেশ প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে নিজের প্রতি মনোনিবেশ করবে।
পদ-পদবির লোভ ও আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। কেননা দুনিয়ার ব্যাপারে যুহদ অবলম্বনের চেয়ে এসব বিষয়ে যুহদ অবলম্বন করা অনেক বেশি কঠিন। আমি জানতে পেরেছি, আল্লাহর রাসুলের সাহাবিগণ এই অধঃপতিত সময় থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। অথচ আমাদের না আছে তাদের মতো ইলম, আর না আছে ধৈর্য। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান ও দুর্বল ধৈর্য নিয়ে এই মন্দ সময় ও পরিস্থিতির মোকাবেলা কীভাবে করব? তাই সর্বদা আল্লাহকে ভয় করে চলবে। হৃদয়ে অবিচল তাকওয়া ধারণ করবে। সর্বদা অখ্যাত ও অপরিচিত হয়ে থাকবে। নিভৃতে থাকবে। মানুষের অপ্রয়োজনীয় সঙ্গ এড়িয়ে চলবে।
উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, 'লোভ থেকে দূরে থাকবে। কারণ লোভের মধ্যে এক ধরনের দারিদ্র্য আছে। মানুষের কাছে চাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবে। কারণ না চাওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রাণের প্রাচর্য। একান্ত সময় যাপন করবে। কেননা নির্জনতা ও একাকিতের মধ্যে রয়েছে বিষণ্ণতা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি।'
সাইদ ইবনুল মুসাইয়িব বলেছেন, 'নির্জনতা অবলম্বনও এক প্রকার ইবাদত।'
আমাদের আগের যুগে লোকেরা কোথাও সমবেত হলে, পরস্পরের কাছ থেকে উপকৃত হতেন। কিন্তু এ সময়ে এসে সেটা বিদায় নিয়েছে। তাই আমার মতে, লোকসঙ্গ ত্যাগ করার মাঝেই রয়েছে মুক্তি। আর সেইসাথে বেঁচে থাকবে মূর্খ আবিদ ও পাপিষ্ঠ আলিমের ফিতনা থেকে।
– আল জারহু ওয়াত তাদিল, খন্ড: ১
তোমার ওপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি মহান আল্লাহর প্রশংসা করছি, যিনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই।
আমি সর্বপ্রথম নিজেকে, এরপর তোমাকে মহান আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বনের উপদেশ দিচ্ছি। কেননা তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করে চলো, তবে তিনি তোমার জন্য মানুষের বিপক্ষে যথেষ্ট হয়ে যাবেন। আর যদি মানুষকে ভয় করে চলো, তাহলে তারা আল্লাহর বিপক্ষে তোমার কোনো কাজেই আসবে না।
তুমি চেয়েছ, আমি যেন এমন কিছু চারিত্রিক গুণ ও বৈশিষ্ট্য তোমাকে লিখে পাঠাই, যার সাহায্যে তুমি জীবনযাপনের রীতিনীতি এবং তোমার প্রতি পরিবার ও প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ও পরিষ্কার নির্দেশনা পেতে পারো। তুমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে জানতে চেয়েছ। এ সময়ে এমন চিন্তার মানুষ খুবই কম। বরং আমি তো তেমন কারও কথা জানিই না। তুমি কি এমন কারও কথা জানো? এরকম নষ্ট সময়ে এমন মানুষ থাকা খুব সহজ নয়। সত্য ও মিথ্যা এ সময়ে মিশ্রিত হয়ে পড়েছে। ডুবন্ত-প্রায় ব্যক্তির মতো সংগ্রাম না করলে, এখন বেঁচে থাকা দায়।
আগেকার সময়ে বলা হতো, এমন এক সময় সমাগত, যখন কোনো প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির চক্ষু শীতল হবে না। তাই বেশি বেশি আল্লাহকে ভয় করে চলবে। নির্জনতা অবলম্বন করবে। নিজেকে যথেষ্ট সময় দেবে। আল্লাহর কিতাবের সাথে গভীর সম্পর্ক ও হৃদ্যতা গড়ে তুলবে। শাসকগোষ্ঠী থেকে সাবধান থাকবে। গরিব-অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের পাশে থাকবে। যদি নম্রতার সাথে কোনো কল্যাণের আদেশ করতে পারো, তাহলে তা করবে। যদি তোমার উপদেশ গ্রহণ করা হয়, তাহলে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাবে। আর যদি তোমার উপদেশ প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে নিজের প্রতি মনোনিবেশ করবে।
পদ-পদবির লোভ ও আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। কেননা দুনিয়ার ব্যাপারে যুহদ অবলম্বনের চেয়ে এসব বিষয়ে যুহদ অবলম্বন করা অনেক বেশি কঠিন। আমি জানতে পেরেছি, আল্লাহর রাসুলের সাহাবিগণ এই অধঃপতিত সময় থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। অথচ আমাদের না আছে তাদের মতো ইলম, আর না আছে ধৈর্য। আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান ও দুর্বল ধৈর্য নিয়ে এই মন্দ সময় ও পরিস্থিতির মোকাবেলা কীভাবে করব? তাই সর্বদা আল্লাহকে ভয় করে চলবে। হৃদয়ে অবিচল তাকওয়া ধারণ করবে। সর্বদা অখ্যাত ও অপরিচিত হয়ে থাকবে। নিভৃতে থাকবে। মানুষের অপ্রয়োজনীয় সঙ্গ এড়িয়ে চলবে।
উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, 'লোভ থেকে দূরে থাকবে। কারণ লোভের মধ্যে এক ধরনের দারিদ্র্য আছে। মানুষের কাছে চাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবে। কারণ না চাওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রাণের প্রাচর্য। একান্ত সময় যাপন করবে। কেননা নির্জনতা ও একাকিতের মধ্যে রয়েছে বিষণ্ণতা ও অস্থিরতা থেকে মুক্তি।'
সাইদ ইবনুল মুসাইয়িব বলেছেন, 'নির্জনতা অবলম্বনও এক প্রকার ইবাদত।'
আমাদের আগের যুগে লোকেরা কোথাও সমবেত হলে, পরস্পরের কাছ থেকে উপকৃত হতেন। কিন্তু এ সময়ে এসে সেটা বিদায় নিয়েছে। তাই আমার মতে, লোকসঙ্গ ত্যাগ করার মাঝেই রয়েছে মুক্তি। আর সেইসাথে বেঁচে থাকবে মূর্খ আবিদ ও পাপিষ্ঠ আলিমের ফিতনা থেকে।
[২য় পর্বে সমাপ্ত]
– আল জারহু ওয়াত তাদিল, খন্ড: ১