ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরির সহোদর ভাই মুবারক ইবনু সাইদ বলেন, একবার একটি মুদ্রার থলে নিয়ে এক ব্যক্তি সুফিয়ানের কাছে এলো। এই ব্যক্তির পিতা সুফিয়ানের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। তাদের পরস্পরের মাঝে যথেষ্ট আন্তরিকতা ও দেখা-সাক্ষাৎ ছিল। লোকটি সুফিয়ানকে বলল, 'আবু আব্দিল্লাহ, আমার পিতা সম্পর্কে কিছু বলেন, তিনি কেমন ছিলেন?'
উত্তরে সুফিয়ান তার বন্ধুর প্রশংসা করেন এবং তার বিভিন্ন গুণাগুণ বর্ণনা করেন।
লোকটি তখন মুদ্রার থলেটি দেখিয়ে বলল, 'আবু আব্দিল্লাহ, আপনি ভালোভাবেই জানেন, আমি এই সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছি! আমি খুব খুশি হব, যদি আপনি এই উপহার গ্রহণ করেন। এটা দিয়ে আপনি পরিবারের দেখভাল করতে পারবেন।'
মুবারক ইবনু সাইদ বর্ণনা করেন, 'সুফিয়ান লোকটির দেওয়া মুদ্রার থলেটি গ্রহণ করলেন। কিন্তু সে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুফিয়ান আমাকে বললেন, 'মুবারক! তাকে গিয়ে নিয়ে আসো।'
আমি গিয়ে তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে এলাম। সুফিয়ান তাকে বললেন, 'আমার প্রিয় ভাতিজা, আমি খুব খুশি হব, যদি তুমি এই থলেটি গ্রহণ করো।'
তার কথা শুনে লোকটি বলল, 'আবু আব্দিল্লাহ, এই মুদ্রা নিয়ে কি আপনার মনে কোনো সন্দেহ আছে?'
সুফিয়ান বললেন, 'না, তা নয়। তবে এই মুদ্রা তুমি রাখলেই আমি খুশি হব।'
'অনেক পীড়াপীড়ির পর লোকটি মুদ্রার থলেটি গ্রহণ করল। সে চলে যাওয়ার পর আমি সুফিয়ানের সামনে এসে বসলাম। তার এই কাণ্ড দেখে আমার মন বিষিয়ে উঠেছিল। আমি তীব্র অসন্তোষ নিয়ে তাকে বললাম, 'আপনি এটা কী করলেন! আপনার মন কি পাথরের তৈরি? আপনি কি মনে করেন, আপনার কোনো পরিজন নেই? মুদ্রাগুলো গ্রহণ করে আমার প্রতি তো একটু রহম করতে পারতেন! আপনার ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের প্রতি কি আপনার কোনো দায় বা দয়া নেই?'
এভাবে আমি অনেকক্ষণ তাকে রাগ দেখাতে থাকি।
আমি ক্ষান্ত হলে, তিনি শান্তভাবে বললেন, 'মুবারক, তুমি দুনিয়ায় এগুলো তৃপ্তি ভরে ভোগ করবে, আর আখিরাতে এ ব্যাপারে আমি জিজ্ঞাসিত হব-তা কী করে হয়? এটা কিছুতেই হতে পারে না!'
– তারিখু বাগদাদ, খন্ড: ৯
উত্তরে সুফিয়ান তার বন্ধুর প্রশংসা করেন এবং তার বিভিন্ন গুণাগুণ বর্ণনা করেন।
লোকটি তখন মুদ্রার থলেটি দেখিয়ে বলল, 'আবু আব্দিল্লাহ, আপনি ভালোভাবেই জানেন, আমি এই সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছি! আমি খুব খুশি হব, যদি আপনি এই উপহার গ্রহণ করেন। এটা দিয়ে আপনি পরিবারের দেখভাল করতে পারবেন।'
মুবারক ইবনু সাইদ বর্ণনা করেন, 'সুফিয়ান লোকটির দেওয়া মুদ্রার থলেটি গ্রহণ করলেন। কিন্তু সে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুফিয়ান আমাকে বললেন, 'মুবারক! তাকে গিয়ে নিয়ে আসো।'
আমি গিয়ে তৎক্ষণাৎ তাকে নিয়ে এলাম। সুফিয়ান তাকে বললেন, 'আমার প্রিয় ভাতিজা, আমি খুব খুশি হব, যদি তুমি এই থলেটি গ্রহণ করো।'
তার কথা শুনে লোকটি বলল, 'আবু আব্দিল্লাহ, এই মুদ্রা নিয়ে কি আপনার মনে কোনো সন্দেহ আছে?'
সুফিয়ান বললেন, 'না, তা নয়। তবে এই মুদ্রা তুমি রাখলেই আমি খুশি হব।'
'অনেক পীড়াপীড়ির পর লোকটি মুদ্রার থলেটি গ্রহণ করল। সে চলে যাওয়ার পর আমি সুফিয়ানের সামনে এসে বসলাম। তার এই কাণ্ড দেখে আমার মন বিষিয়ে উঠেছিল। আমি তীব্র অসন্তোষ নিয়ে তাকে বললাম, 'আপনি এটা কী করলেন! আপনার মন কি পাথরের তৈরি? আপনি কি মনে করেন, আপনার কোনো পরিজন নেই? মুদ্রাগুলো গ্রহণ করে আমার প্রতি তো একটু রহম করতে পারতেন! আপনার ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের প্রতি কি আপনার কোনো দায় বা দয়া নেই?'
এভাবে আমি অনেকক্ষণ তাকে রাগ দেখাতে থাকি।
আমি ক্ষান্ত হলে, তিনি শান্তভাবে বললেন, 'মুবারক, তুমি দুনিয়ায় এগুলো তৃপ্তি ভরে ভোগ করবে, আর আখিরাতে এ ব্যাপারে আমি জিজ্ঞাসিত হব-তা কী করে হয়? এটা কিছুতেই হতে পারে না!'
– তারিখু বাগদাদ, খন্ড: ৯