একবার এক লোক ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারকের সামনে এসে করজোড়ে মিনতি জানাল, ‘জনাব, আমি একজন ঋণগ্রস্ত মানুষ। ঋণের বোঝা আর সইতে পারছি না। দয়া করে আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিন।’ লোকটির করুণ অবস্থা দেখে ইবনুল মুবারকের দয়ালু মন আরও বেশি দয়ার্দ্র হয়ে উঠল। তিনি একটি পত্র পাঠালেন তার ব্যক্তিগত কোষাধ্যক্ষের কাছে। পত্রটি হাতে পেয়ে সে ঋণগ্রস্ত লোকটির কাছে জানতে চাইল, “আপনার ঋণের পরিমাণ কত?'
লোকটি উত্তর দিলো, ‘সাতশো দিরহাম।’
উত্তর শুনে তো কোষাধ্যক্ষ যারপরনাই অবাক! সঙ্গে সঙ্গে ইবনুল মুবারকের কাছে পাঠিয়ে দিলো ফিরতি এক চিঠি— ‘লোকটার ঋণের পরিমাণ মাত্র সাতশো দিরহাম। অথচ আপনি সাত হাজার দিরহাম দিতে বলেছেন! এভাবে চলতে থাকলে তো দুদিনেই আপনার সব অর্থসম্পদ শেষ হয়ে যাবে!’
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক জবাবে লিখে পাঠান— ‘শুধু সম্পদ নয়; জীবনটাও একদিন শেষ হয়ে যাবে। তখন এই শেষ হয়ে যাওয়া সম্পদই কাজে আসবে। যেটা দিতে বলেছি সেটাই দিয়ে দিন তাকে।’
– তারীখু বাগদাদ, খন্ড : ১০, পৃষ্ঠা : ১৫৯
– ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক: জীবন ও কর্ম, সমকালীন প্রকাশন
লোকটি উত্তর দিলো, ‘সাতশো দিরহাম।’
উত্তর শুনে তো কোষাধ্যক্ষ যারপরনাই অবাক! সঙ্গে সঙ্গে ইবনুল মুবারকের কাছে পাঠিয়ে দিলো ফিরতি এক চিঠি— ‘লোকটার ঋণের পরিমাণ মাত্র সাতশো দিরহাম। অথচ আপনি সাত হাজার দিরহাম দিতে বলেছেন! এভাবে চলতে থাকলে তো দুদিনেই আপনার সব অর্থসম্পদ শেষ হয়ে যাবে!’
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক জবাবে লিখে পাঠান— ‘শুধু সম্পদ নয়; জীবনটাও একদিন শেষ হয়ে যাবে। তখন এই শেষ হয়ে যাওয়া সম্পদই কাজে আসবে। যেটা দিতে বলেছি সেটাই দিয়ে দিন তাকে।’
– তারীখু বাগদাদ, খন্ড : ১০, পৃষ্ঠা : ১৫৯
– ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক: জীবন ও কর্ম, সমকালীন প্রকাশন