ইমামদের তাক্বলীদকারীদের ব্যাপারে সতর্কতা
জেনে রাখুন! যে ব্যক্তি মনে করে প্রত্যেক বিষয়ে ইমামের তাক্বলীদ করা ছাড়া তার কোন উপায় নেই। কেননা সে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবা ও তাবেঈদের মতামত এবং এ ইমাম ছাড়া অন্য কারও মতামত দ্বারা দলীল দিতে সক্ষম নয়।
তার জন্য পরিপূর্ণভাবে সতর্ক থাকা ওয়াজিব হবে, যেন সে সত্য থেকে দূরে অবস্থিত ইমামের বক্তব্য থেকে এবং সে ইমামের পরবর্তীতে তার মাযহাবের নীতির ভিত্তিতে যা সংযোজিত হয়েছে সে ক্ষেত্রেও যেন সে পার্থক্য করতে পারে এবং পরবর্তীগণ কালের পরিক্রমায় যে সকল ভাল বিষয় অতিরিক্ত (বিদআত) সংযোজন করেছেন, কুরআন ও সুন্নাহতে যার কোন ভিত্তি নেই, সেটাও পার্থক্য করা তার জন্য আবশ্যক হবে।
মূলতঃ যদি কোন ইমাম তার মাযহাবে পরবর্তীদের দ্বারা সংযোজিত কোন বিষয়ের কথা জানতে পারতেন তাহলে তা থেকে ইমাম বিরত থাকতেন এবং এ সংযোজনকে অস্বীকার করতেন। সুতরাং এ সকল অতিরিক্ত বিষয়ের সবগুলোকে শুধু ইমামের দিকেই সম্বোধন করা সুস্পষ্ট বাতিল ধারণা মাত্র। তদুপরি এগুলো শরীয়াতের বিধান যা আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এর মাধ্যমে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে-এ বলে তা আল্লাহ্ ও তার রাসূল (ﷺ) এর দিকে সম্বোধন করা তো আরও ভ্রান্ত বিষয়। এরূপ আরও অনেক ছোট ছোট বিষয় মাযহাবের ভিতরে এবং পরবর্তীকালের গ্রন্থগুলোতে স্থান পেয়েছে।[1]
নোটঃ [1] শানকীবতী প্রণীত ‘আযওয়াউল বায়ান’ (৭/৫৭৬) এবং তার পরবর্তী অংশ, এখানে এর উপর অনেক উদাহরণ দেয়া হয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেখানে দেখতে পারেন।
জেনে রাখুন! যে ব্যক্তি মনে করে প্রত্যেক বিষয়ে ইমামের তাক্বলীদ করা ছাড়া তার কোন উপায় নেই। কেননা সে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবা ও তাবেঈদের মতামত এবং এ ইমাম ছাড়া অন্য কারও মতামত দ্বারা দলীল দিতে সক্ষম নয়।
তার জন্য পরিপূর্ণভাবে সতর্ক থাকা ওয়াজিব হবে, যেন সে সত্য থেকে দূরে অবস্থিত ইমামের বক্তব্য থেকে এবং সে ইমামের পরবর্তীতে তার মাযহাবের নীতির ভিত্তিতে যা সংযোজিত হয়েছে সে ক্ষেত্রেও যেন সে পার্থক্য করতে পারে এবং পরবর্তীগণ কালের পরিক্রমায় যে সকল ভাল বিষয় অতিরিক্ত (বিদআত) সংযোজন করেছেন, কুরআন ও সুন্নাহতে যার কোন ভিত্তি নেই, সেটাও পার্থক্য করা তার জন্য আবশ্যক হবে।
মূলতঃ যদি কোন ইমাম তার মাযহাবে পরবর্তীদের দ্বারা সংযোজিত কোন বিষয়ের কথা জানতে পারতেন তাহলে তা থেকে ইমাম বিরত থাকতেন এবং এ সংযোজনকে অস্বীকার করতেন। সুতরাং এ সকল অতিরিক্ত বিষয়ের সবগুলোকে শুধু ইমামের দিকেই সম্বোধন করা সুস্পষ্ট বাতিল ধারণা মাত্র। তদুপরি এগুলো শরীয়াতের বিধান যা আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এর মাধ্যমে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে-এ বলে তা আল্লাহ্ ও তার রাসূল (ﷺ) এর দিকে সম্বোধন করা তো আরও ভ্রান্ত বিষয়। এরূপ আরও অনেক ছোট ছোট বিষয় মাযহাবের ভিতরে এবং পরবর্তীকালের গ্রন্থগুলোতে স্থান পেয়েছে।[1]
নোটঃ [1] শানকীবতী প্রণীত ‘আযওয়াউল বায়ান’ (৭/৫৭৬) এবং তার পরবর্তী অংশ, এখানে এর উপর অনেক উদাহরণ দেয়া হয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেখানে দেখতে পারেন।
গ্রন্থঃ সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ
লেখকঃ আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম
অধ্যায়ঃ ভূমিকা এবং জরুরী জ্ঞাতব্য
লেখকঃ আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম
অধ্যায়ঃ ভূমিকা এবং জরুরী জ্ঞাতব্য