- Joined
- Dec 31, 2024
- Threads
- 19
- Comments
- 27
- Reactions
- 216
- Thread Author
- #1
১- এ মতবাদটি মুসলিম খিলাফতের কেন্দ্রভূমি, তৎকালীন সভ্যতার লালনক্ষেত্র বাগদাদে সেটার উৎপত্তি হয়ে সেখান থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়া।
২- বহু আমীর ও ওযীর কর্তৃক এ আশ'আরী মতবাদটিকে বিশুদ্ধ আকীদাহ হিসেবে গ্রহণ ও প্রচার করণ। মোটকথা: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এর একটি বড় কারণ। এর বিপরীতে সহীহ আকীদাহ'র প্রচার-প্রসারে খুব বেশি আমীর ও ওযীররা সম্পৃক্ত হয়নি।
৩- বহু আমীর কর্তৃক এসব আকীদাহ প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের জন্য বড় ছোট সর্বপ্রকার বিদ্যায়তনগুলো প্রতিষ্ঠা। যেমন বাগদাদের নিযামিয়্যাহ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্বিবিদ্যালয় শুধু এসব আকীদাহই প্রচার-প্রসার করতো।
৪- অনেক বিখ্যাত আলেম কর্তৃক এ মতবাদ গ্রহণ ও প্রচার-প্রসারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা পরিচালনা। যেমন, আল-বাকেল্লানী, ইবন ফুওরাক, আসফারায়ীনী, জুওয়াইনী, বাইহাক্বী, বাগদাদী, রাযী প্রমুখ।
৫- উপরোক্ত আলেমগণ কর্তৃক মু'তাযিলাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও তাদের সন্দেহের অপনোদন, শিয়াদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ও তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাতকরণে ব্যাপক ভূমিকা পেশকরণ। ফলে তারা মানুষের বিশ্বস্ততার জায়গায় চলে গেলেন, তারা তাদের ভালো-মন্দ সবই বিনা বিচারে গ্রহণ করে নিলেন।
৬- তৎকালীন বড় বড় মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোর শিক্ষক ও খত্বীব হওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দ্বারা পূর্বশর্ত হিসেবে এটা লিপিবদ্ধ থাকা যে, তাকে অবশ্যই আশ'আরী মতবাদের অনুসারী হতে হবে। যেমন ইবন কাসীর রাহিমাহুল্লাহ এমন সমস্যায় পতিত হয়েছিলেন।
৭- আশ'আরী মতবাদের লোকদের দ্বারা তাদের আকীদাহ'র ওপর অনেক গ্রন্থ এমনভাবে রচিত হওয়া যাতে এটাকেই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের একমাত্র সঠিক মুখপাত্র হিসেবে তাদের নিজেদের তুলে ধরা। কুরআন ও সুন্নাহ'র ব্যাখ্যাকারীদের দ্বারা এসব নুসূসের অপব্যাখ্যা কিংবা বিকৃতি জনগণের মধ্যে প্রচার করা।
৮- কালামশাস্ত্রের কিছু নীতি অলঙ্ঘনীয় সত্য হিসাবে জনগণের কাছে প্রচার ও প্রসার লাভ করা। যেমনটি রাযী কিংবা গাযালীর গ্রন্থের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ব্যাপক আকারে ঢুকে পড়েছিল।
৯- কুরআন ও সুন্নাহ'র সঠিক ইলম এর প্রচার প্রসারে সংকীর্ণতা আরোপ। সালাফে সালেহীনের আকীদার অনুসারীদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করে বিশুদ্ধ আকীদার প্রচার-প্রসারকে স্তব্দ করে দেয়া।
১০- সহীহ আকীদাহ'র লোকদেরকে বিভিন্ন খারাপ নামে অভিহিত করা, যেমন তাদেরকে মুজাসসিমা, দেহবাদী, হাশাওয়িয়্যাহ, সাধারণ মানুষ, মুশাব্বিহা বা সাদৃশ্যবাদী ইত্যাদি নাম দিয়ে জনগণকে তা থেকে দূরে রাখার বিভিন্ন কলা-কৌশল অবলম্বন।
২- বহু আমীর ও ওযীর কর্তৃক এ আশ'আরী মতবাদটিকে বিশুদ্ধ আকীদাহ হিসেবে গ্রহণ ও প্রচার করণ। মোটকথা: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এর একটি বড় কারণ। এর বিপরীতে সহীহ আকীদাহ'র প্রচার-প্রসারে খুব বেশি আমীর ও ওযীররা সম্পৃক্ত হয়নি।
৩- বহু আমীর কর্তৃক এসব আকীদাহ প্রতিষ্ঠা ও প্রচারের জন্য বড় ছোট সর্বপ্রকার বিদ্যায়তনগুলো প্রতিষ্ঠা। যেমন বাগদাদের নিযামিয়্যাহ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্বিবিদ্যালয় শুধু এসব আকীদাহই প্রচার-প্রসার করতো।
৪- অনেক বিখ্যাত আলেম কর্তৃক এ মতবাদ গ্রহণ ও প্রচার-প্রসারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা পরিচালনা। যেমন, আল-বাকেল্লানী, ইবন ফুওরাক, আসফারায়ীনী, জুওয়াইনী, বাইহাক্বী, বাগদাদী, রাযী প্রমুখ।
৫- উপরোক্ত আলেমগণ কর্তৃক মু'তাযিলাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ও তাদের সন্দেহের অপনোদন, শিয়াদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ও তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাতকরণে ব্যাপক ভূমিকা পেশকরণ। ফলে তারা মানুষের বিশ্বস্ততার জায়গায় চলে গেলেন, তারা তাদের ভালো-মন্দ সবই বিনা বিচারে গ্রহণ করে নিলেন।
৬- তৎকালীন বড় বড় মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোর শিক্ষক ও খত্বীব হওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দ্বারা পূর্বশর্ত হিসেবে এটা লিপিবদ্ধ থাকা যে, তাকে অবশ্যই আশ'আরী মতবাদের অনুসারী হতে হবে। যেমন ইবন কাসীর রাহিমাহুল্লাহ এমন সমস্যায় পতিত হয়েছিলেন।
৭- আশ'আরী মতবাদের লোকদের দ্বারা তাদের আকীদাহ'র ওপর অনেক গ্রন্থ এমনভাবে রচিত হওয়া যাতে এটাকেই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের একমাত্র সঠিক মুখপাত্র হিসেবে তাদের নিজেদের তুলে ধরা। কুরআন ও সুন্নাহ'র ব্যাখ্যাকারীদের দ্বারা এসব নুসূসের অপব্যাখ্যা কিংবা বিকৃতি জনগণের মধ্যে প্রচার করা।
৮- কালামশাস্ত্রের কিছু নীতি অলঙ্ঘনীয় সত্য হিসাবে জনগণের কাছে প্রচার ও প্রসার লাভ করা। যেমনটি রাযী কিংবা গাযালীর গ্রন্থের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ব্যাপক আকারে ঢুকে পড়েছিল।
৯- কুরআন ও সুন্নাহ'র সঠিক ইলম এর প্রচার প্রসারে সংকীর্ণতা আরোপ। সালাফে সালেহীনের আকীদার অনুসারীদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করে বিশুদ্ধ আকীদার প্রচার-প্রসারকে স্তব্দ করে দেয়া।
১০- সহীহ আকীদাহ'র লোকদেরকে বিভিন্ন খারাপ নামে অভিহিত করা, যেমন তাদেরকে মুজাসসিমা, দেহবাদী, হাশাওয়িয়্যাহ, সাধারণ মানুষ, মুশাব্বিহা বা সাদৃশ্যবাদী ইত্যাদি নাম দিয়ে জনগণকে তা থেকে দূরে রাখার বিভিন্ন কলা-কৌশল অবলম্বন।
ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া হাফি: