‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

আল্লাহ সমস্ত বান্দাদের উপর কি ফরয করে দিয়েছেন?

উত্তর: সকল তাগুতকে অস্বীকার ও অমান্য করা এবং মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনাকে ফরয করে দেওয়া হয়েছে। সুমহান আল্লাহ বলেন:

فَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسۡتَمۡسَكَ بِٱلۡعُرۡوَةِ ٱلۡوُثۡقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ [البقرة: ٢٥٦]​

‘‘যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর উপর ঈমান আনবে সে এমন এক মযবুত অবলম্বন আঁকড়ে ধরলো যা ভাঙ্গবে না’’। (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৫৬)

উক্ত আয়াতে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর প্রতিধ্বনি করা হয়েছে অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মা‘বুদ (উপাস্য) নেই। হাদীসে বর্ণিত আছে যে,

«رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلَامُ، وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ، وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الجِهَادُ»​

‘‘সব বিষয়ের প্রধান হলো ইসলাম এবং ইসলামের স্তম্ভ হলো সালাত। আর ইসলামের উঁচু শৃঙ্ঘ বা চূড়া হলো আল্লাহর পথে জিহাদ’। (বুখারী: ১১৭৯, মুসলিম: ৩০)

আর আল্লাহর প্রতি ঈমান হলো: মনে প্রাণে এ স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে যে আল্লাহ তা‘আলা রবুবিয়াতে এবং নামে ও গুণে সাদৃশ্যহীন একক সত্ত্বা। আর একমাত্র তিনিই ইবাদাত পাওয়ার অধিকারী।

আর তাগুতের সাথে কুফরী (অস্বীকার) করার নিয়ম হলো:

সর্বপ্রকার মূর্তি ছুড়ে ফেলতে হবে এবং সেগুলোকে বয়কট করতে হবে। অতঃপর সেগুলোর পূজা-উপাসনা এবং সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।

‘ঊরওয়াতুল উসকা’ হলো: তাওহীদ বা একত্ববাদের ঘোষণা আর এটাই হচ্ছে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য মা‘বুদ বা উপাস্য নেই) এর তাৎপর্য।
 

Share this page