উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি আল্লাহর বাণী দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ বলেন,
‘তোমার যে কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর যে অকল্যাণ হয়, তা তোমার নিজের আমলের কারণে হয়’ (সূরা আন-নিসা : ৭৯)। অর্থাৎ আল্লাহ সব সময় বান্দার মঙ্গল করেন। কিন্তু বান্দা ভুলক্রমে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেই নিজের ক্ষতি করে থাকে। আল্লাহ তাতে বাধা দেন না বান্দার স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিকে অব্যাহত রাখার জন্য। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
‘সাহায্য, নিরাপত্তা ও রিযিকের যে নে‘মত তুমি পেয়ে থাক, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার প্রতি এ বিশেষ অনুগ্রহ। আর অপমান, লাঞ্ছনা, ভীতি ও অসুস্থতাসহ যেসব বিপদের সম্মুাখীন তুমি হয়ে থাক, তা তোমার পাপ ও গুনাহের কারণে হয়ে থাকে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ ফাতাওয়া, ৮ খণ্ড, পৃ. ২৩৯)।
তবে এটাও তাক্বদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে, যা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। প্রকৃত ঈমানদারের জন্য ভাল-মন্দ উভয়টিই কল্যাণকর হয়ে থাকে। যেমন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
‘মুমিনের ব্যাপারটি কতই না বিস্ময়কর! তার সব কাজই তার জন্য কল্যাণকর, এটা মুমিন ছাড়া আর কারো জন্য হয় না। যদি তার কোন মঙ্গল স্পর্শ করে, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য কল্যাণকর। আর যখন তাকে কোন মন্দ স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্য ধারণ করে। আর এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়’ (সহীহ মুসলিম, হা/২৯৯৯; মিশকাত, হা/৫২৯৭)।
আল্লাহ বলেন,
مَاۤ اَصَابَکَ مِنۡ حَسَنَۃٍ فَمِنَ اللّٰہِ ۫ وَ مَاۤ اَصَابَکَ مِنۡ سَیِّئَۃٍ فَمِنۡ نَّفۡسِکَ
‘তোমার যে কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর যে অকল্যাণ হয়, তা তোমার নিজের আমলের কারণে হয়’ (সূরা আন-নিসা : ৭৯)। অর্থাৎ আল্লাহ সব সময় বান্দার মঙ্গল করেন। কিন্তু বান্দা ভুলক্রমে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেই নিজের ক্ষতি করে থাকে। আল্লাহ তাতে বাধা দেন না বান্দার স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিকে অব্যাহত রাখার জন্য। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
وما أصابك من نعمة نصر و عافية ورزق من الله نعمة أنعم الله بها عليك، وما أصابك من سيئة: فقر وذل و خوف ومرض وغير ذلك، فن نفسك وذنوبك و خطاياك
‘সাহায্য, নিরাপত্তা ও রিযিকের যে নে‘মত তুমি পেয়ে থাক, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার প্রতি এ বিশেষ অনুগ্রহ। আর অপমান, লাঞ্ছনা, ভীতি ও অসুস্থতাসহ যেসব বিপদের সম্মুাখীন তুমি হয়ে থাক, তা তোমার পাপ ও গুনাহের কারণে হয়ে থাকে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ ফাতাওয়া, ৮ খণ্ড, পৃ. ২৩৯)।
তবে এটাও তাক্বদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে, যা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। প্রকৃত ঈমানদারের জন্য ভাল-মন্দ উভয়টিই কল্যাণকর হয়ে থাকে। যেমন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ، إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ، وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ، إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ، صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ
‘মুমিনের ব্যাপারটি কতই না বিস্ময়কর! তার সব কাজই তার জন্য কল্যাণকর, এটা মুমিন ছাড়া আর কারো জন্য হয় না। যদি তার কোন মঙ্গল স্পর্শ করে, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য কল্যাণকর। আর যখন তাকে কোন মন্দ স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্য ধারণ করে। আর এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়’ (সহীহ মুসলিম, হা/২৯৯৯; মিশকাত, হা/৫২৯৭)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: