‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর আল্লাহ বলেন, তোমাদের উপর যেসব বিপদাপদ আসে তা তোমাদেরই কর্মফল। অন্যদিকে হাদীছে এসেছে নবীগণ সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত। এক্ষণে এর হিকমত কি?

Farhad Molla

Susceptible

Exposer
Q&A Master
Reporter
Salafi User
Threads
141
Comments
218
Solutions
1
Reactions
1,403
Credits
1,274
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা দু’টি কারণে বিপদ-আপদ দেন। প্রথমতঃ পাপীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেসব বিপদাপদ হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, স্থলে ও সমুদ্রে সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদের কর্মের কিছু শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (আল্লাহর দিকে) ফিরে আসে (রূম ৩০/৪১)

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ তা‘আলা তঁার প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষা করে গুনাহমুক্ত করতে চান ও উত্তম পুরস্কার দিতে চান। যেমন আল্লাহ তা‘আলা উক্ত আয়াতের শেষে বলেন, ‘আর তিনি তোমাদের অনেক পাপ মার্জনা করে দেন’ শূরা ৪২/৩০)।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকরগুযার হয় আর অস্বচ্ছলতা বা দুঃখ-মুছীবতে আক্রান্ত হ’লে ছবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর’ (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)।

তিনি আরো বলেন, ‘কোন ঈমানদার ব্যক্তির শরীরে কোন কাটার আঘাত কিংবা তার চাইতেও কোন নগণ্য আঘাত লাগলে আল্লাহ তা‘আলা তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন কিংবা তার একটি গুনাহ মোচন করে দেন’ (মুসলিম হা/২৫৭২)

তিনি আরো বলেন, আল্লাহর পক্ষ হ’তে কোন মানুষের জন্য যখন কোন মর্যাদা নির্ধারিত হয়, যা সে আমল দিয়ে লাভ করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাকে তার শরীরে অথবা তার সন্তান-সন্ততির ওপর বিপদ ঘটিয়ে পরীক্ষা করেন। এতে তাকে ধৈর্যধারণ করারও শক্তি দান করেন। যাতে সেরূপ মর্যাদা লাভ করতে পারে, যা আল্লাহর তরফ হ’তে তার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে’ (আবূদাউদ, ছহীহাহ হা/২৫৯৯)।

তিনি আরো বলেন, ‘বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তার পরীক্ষা নেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্টি (ধৈর্য) প্রকাশ করবে, তার জন্য (আল্লাহর) সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি’ (তিরমিযী, ছহীহাহ হা/১৪৬)

অতএব কুরআন এবং হাদীছের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।

প্রশ্নোত্তর পর্ব, মাসিক আত-তাহরীক।
মে ২০২৪ সংখ্যা।
 

Share this page