এই অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ লিস্ট:
হিদায়াত বা পথ-নির্দেশনা
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই।
“আল্লাহ্ যাকে হিদায়াত দেন, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত। আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোন অভিভাবক পাবে না।” (সূরা আল-কাহফ ১৮:১৭)
রেফারেন্স: সূরা আল-ফাতিহা ১:৫
নবী (ﷺ) রাতের বেলা উঠে সালাতের শুরুতে যে দোয়া পড়তেন, তার এক জায়গায় আছে -
اِهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্কি বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্দী মান তাশা-উ ইলা- সিরা-তিম মুস্তাকীম
যে সত্য নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, তোমার ইচ্ছায় আমাকে তার সঠিক পথ দেখিয়ে দাও। তুমি যাকে চাও, তাকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে থাকো।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৭৭০
নবী (ﷺ) মু'আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে প্রত্যেক সালাতের শেষভাগে এ দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন -
اَللَّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, আ’ইন্নী ‘আলা- যিক্রিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবা-দাতিক
অনুবাদঃ হে আল্লাহ্! আপনার যিক্র করতে, আপনার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন।
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ১৫২২
আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) রাতের বেলা সালাতের শুরুতে যে দোয়া পড়তেন, তার একাংশে রয়েছে -
وَاهْدِنِيْ لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِيْ لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ
ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি, লা ইয়াহ্দী লিআহ্সানিহা- ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা- লা ইয়াসরিফু আন্নী সায়্যিআহা- ইল্লা আনতা
আমাকে সবচেয়ে সুন্দর শিষ্টাচারের দিশা দাও! তুমি ছাড়া কেউ সুন্দর শিষ্টাচারের দিশা দিতে পারে না। আমার কাছ থেকে মন্দ আচরণ দূর করে দাও! তুমি ছাড়া আর কেউ মন্দ আচরণ দূর করতে পারে না।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৭৭১
নবী (ﷺ) আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)-কে আল্লাহ্র কাছে (এভাবে) হিদায়াত ও দৃঢ়তা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন -
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالسَّدَادَ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস’আলুকাল হুদা ওয়াস্-সাদা-দ
হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে চাই হেদায়েত ও দৃঢ়তা।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ২৭২৫
হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়েছেন; আমি সেগুলো বিতরের কুনূতে পাঠ করি -
اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِيْ فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
আল্লা-হুম্মাহ্ দিনী ফীমান হাদাইতা, ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা, ওয়া বা-রিক লী ফীমা- আ’ত্বাইতা, ওয়া ক্বিনী শার্রা মা- ক্বাদ্বাইতা, ফাইন্নাকা তাক্বদ্বী, ওয়ালা- ইউক্বদ্বা ‘আলাইকা, ইন্নাহু লা- ইয়াযিল্লু মান ওয়া-লাইতা, ওয়ালা- ইয়া’ইয্যু মান ‘আ-দাইতা, তাবা-রাক্তা রাব্বানা- ওয়া তা'আ-লাইতা
হে আল্লাহ্! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান।
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ১৪২৫