সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটি (আল-লাজনাতুদ দা’ইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “আমরা কি এখানে আরাফা দিবসের রোজা রাখার নিমিত্তে দুই দিন রোজা রাখতে পারব? কেননা আমরা এখানে রেডিয়োতে এই খবর শুনছি যে, আরাফার দিবস আগামীকাল, যা আমাদের এখানকার সময় অনুযায়ী যুলহাজ্ব মাসের আট তারিখে হচ্ছে।”
উত্তর: “আরাফার দিবস হলো সেই দিন, যেদিন লোকেরা (হাজিরা) আরাফার মাঠে অবস্থান করে। যারা হাজি নন, তাঁদের জন্য এই রোজা রাখা বিধেয়। তাই আপনি রোজা রাখতে চাইলে এই দিন রোজা রাখুন। আপনি যদি এই দিবসের পূর্বের দিন রোজা রাখেন, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। আর আপনি যদি যুলহাজ্ব মাসের প্রথম নয়দিন রোজা রাখেন, তাহলে সেটা আরও ভালো হবে। কেননা সেগুলো খুবই মর্যাদাপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোত রোজা রাখা মুস্তাহাব (পছন্দনীয় আমল)। কেননা নাবী ﷺ বলেছেন, “যুলহাজ্ব মাসের প্রথম দশদিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদও কি (উত্তম) নয়?’ নাবী ﷺ বললেন, “জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।” (সাহীহ বুখারী, হা/৯৬৯)
আর আল্লাহই তাওফীক্বদাতা। হে আল্লাহ, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের ওপর আপনি দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন।”
ফাতওয়া প্রদান করেছেন—
চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন গুদাইয়্যান (রাহিমাহুল্লাহ)।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া লাজনাহ দা’ইমাহ; ফাতওয়া নং: ৪০৫২; প্রশ্ন নং: ১; খণ্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ৩৯৩-৩৯৪; দারুল ‘আসিমাহ, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪১৬ হি./১৯৯৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
প্রশ্ন: “আমরা কি এখানে আরাফা দিবসের রোজা রাখার নিমিত্তে দুই দিন রোজা রাখতে পারব? কেননা আমরা এখানে রেডিয়োতে এই খবর শুনছি যে, আরাফার দিবস আগামীকাল, যা আমাদের এখানকার সময় অনুযায়ী যুলহাজ্ব মাসের আট তারিখে হচ্ছে।”
উত্তর: “আরাফার দিবস হলো সেই দিন, যেদিন লোকেরা (হাজিরা) আরাফার মাঠে অবস্থান করে। যারা হাজি নন, তাঁদের জন্য এই রোজা রাখা বিধেয়। তাই আপনি রোজা রাখতে চাইলে এই দিন রোজা রাখুন। আপনি যদি এই দিবসের পূর্বের দিন রোজা রাখেন, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। আর আপনি যদি যুলহাজ্ব মাসের প্রথম নয়দিন রোজা রাখেন, তাহলে সেটা আরও ভালো হবে। কেননা সেগুলো খুবই মর্যাদাপূর্ণ দিন, যে দিনগুলোত রোজা রাখা মুস্তাহাব (পছন্দনীয় আমল)। কেননা নাবী ﷺ বলেছেন, “যুলহাজ্ব মাসের প্রথম দশদিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদও কি (উত্তম) নয়?’ নাবী ﷺ বললেন, “জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।” (সাহীহ বুখারী, হা/৯৬৯)
আর আল্লাহই তাওফীক্বদাতা। হে আল্লাহ, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের ওপর আপনি দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন।”
ফাতওয়া প্রদান করেছেন—
চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন গুদাইয়্যান (রাহিমাহুল্লাহ)।
তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া লাজনাহ দা’ইমাহ; ফাতওয়া নং: ৪০৫২; প্রশ্ন নং: ১; খণ্ড: ১০; পৃষ্ঠা: ৩৯৩-৩৯৪; দারুল ‘আসিমাহ, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪১৬ হি./১৯৯৬ খ্রি. (১ম প্রকাশ)।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari