‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

আররাফ (عراف), রম্মাল (رمال), কাহেন (كاهن), মুনাজ্জেম (منجم), এ শব্দসমূহের মধ্যে অর্থগত পার্থক্য কী?

উত্তর: যারা গায়েব জানার দাবী করে এগুলো তাদেরই নাম কিন্তু তাদের পদ্ধতি ভিন্ন:

আররাফ = যে ওৎপেতে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সামষ্টিক বিষয়ে ভবিষ্যৎ বাণী শুনায়। অথবা কারো মনের কথা বলে দেয়, কিংবা সে দাবী করে যে; বিভিন্ন বিষয়ের সুচনাতেই সব কিছু বলে দিতে পারে যেমন; চোরের সন্ধান এবং জিনিস-পত্র কোথায় আছে ইত্যাদি।

রম্মাল = যে ব্যক্তি ঢিল ছুড়ে কিংবা মাটিতে রেখা চিত্র এঁকে গায়েব বা অনুপস্থিত বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার দাবী করে।

কাহেন = জাদুকর; যে গায়েবের খবর জানার দাবী করে।

মুনাজ্জেম = জ্যোতিষ (হস্তরেখাবিদ); যে ব্যক্তি গ্রহ নক্ষত্রের সাহায্যে দূনিয়ার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আগাম কথা বলে।

জ্যোতিষী তিন প্রকার:

(এক) কুফরী; এমন বিশ্বাস করা যে, গ্রহ-নক্ষত্রের আপন প্রভাবেই পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ সংঘটিত হয়।

(দুই) হারাম এবং এক প্রকার শির্ক; যখন গ্রহ নক্ষত্র একটা অপরটার কাছাকাছি আসা কিংবা নির্দিষ্ট কক্ষপথ পরিবর্তন করাকে বিভিন্ন ঘটনা দুর্ঘটনার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে। পত্র-পত্রিকায় তথাকথিত মহাজাতকের নক্ষত্র বিশ্লেষণ পূর্বক সাপ্তাহিক রাশিফল প্রকাশ করাও ঐসবের অন্তর্ভুক্ত। অথচ সব কিছুই সংঘটিত হয় আল্লাহর ইচ্ছায়।

(তিন) আকাশপানে চেয়ে নক্ষত্র দেখে সময় ও ক্বিবলা নির্বাচন করা; আর এটা জায়েয আছে। মহামহিয়ান আল্লাহর বাণী:

وَعَلَٰمَٰتٖۚ وَبِٱلنَّجۡمِ هُمۡ يَهۡتَدُونَ ١٦ [النحل: ١٦]​

‘‘আর তাহারা নক্ষত্র এবং চিহ্নসমূহ দ্বারা পথনির্দেশ লাভ করে’’। (সূরা আন নাহল-১৬)

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: আর-রাফ (তথ্য চোর) হচ্ছে কাহেন বা জাদু-মন্ত্রনাকারী ঠাকুর, জ্যোতিষ, গণক, রেখাবিদ ইত্যাদি। এরা সকলেই প্রায় একই পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিষয়ে তাত্বিক ও বিশ্লেষণমূলক কথা বলে থাকে।[1]


[1] আল-জামে আল ফরিদ ১১৪-১১৬।

 

Share this page