- Joined
- Jun 12, 2024
- Threads
- 156
- Comments
- 234
- Solutions
- 1
- Reactions
- 1,576
- Thread Author
- #1
আক্বীক্বাহ (العقيقة)
এক) সন্তানের জন্মের সাথে আক্বীক্বাহ সম্পৃক্ত।
সালমান ইবনে আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, “সন্তানের জন্মের সাথে আক্বীক্বাহ সম্পৃক্ত, তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (আক্বীক্বার জন্তু যবেহ) করো এবং তার কষ্টদায়ক (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।” [সহীহ বুখারী- ৫৪৭১]
দুই) প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে দায়বদ্ধ।
সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, “প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে দায়বদ্ধ থাকে, জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।” [সহীহ ইবনে মাজাহ- ২৫৮০]
তিন) ছেলে সন্তানের পক্ষে দুটি বকরী এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষে একটি বকরী আক্বীক্বাহ করা সুন্নাহ।
উম্মু কুরয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট তিনি আক্বীক্বার ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি ﷺ বললেন, “ছেলে সন্তানের পক্ষে দুটি বকরী এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষে একটি বকরী (আক্বীক্বাহ দিতে হবে)। আক্বীক্বার পশু নর বা মাদী যাই হোক না কেন তাতে তোমাদের কোন অসুবিধা নেই।” [সহীহ তিরমিযী- ১৫১৬]
চার) রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে তাঁর নাতি হাসান রাদ্বি. এর আক্বীক্বাহ করেন।
আলী ইবনে আবী ত্বালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে হাসানের আক্বীক্বাহ করেন এবং বলেন, ‘হে ফাতিমা! তার মাথা নেড়া করে দাও এবং তার চুলের ওজনের অনুরূপ রূপা দান করো’, তদনুযায়ী আমি তার চুল ওজন করলাম এবং তার ওজন এক দিরহাম বা তার কাছাকাছি হয়।” [ইরওয়াউল গালীল- ১১৭৫]
পাঁচ) আল্লাহ তা‘আলা উক্বুক্ব বা অবাধ্যতা পছন্দ করেন না, তাই এর নাম রেখেছেন আক্বীক্বাহ।
আমর ইবনু শু‘আইব রাহিমাহুল্লাহ থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতার ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, একদা নবী ﷺ কে আক্বীক্বাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আল্লাহ উক্বুক্ব বা অবাধ্যতাকে পছন্দ করেন না, মনে হচ্ছে যেন তিনি এর মাধ্যমে আক্বীক্বাহ এর নামকরণকে অপছন্দ করেছেন।” উত্তরে তিনি বলেন, “যার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেন তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বাহ করে; সে যেন ছেলের পক্ষ থেকে সমবয়স্ক দুটি বকরী এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরী যবেহ করে।” [সহীহ আবূ দাঊদ- ২৮৪২]
এক) সন্তানের জন্মের সাথে আক্বীক্বাহ সম্পৃক্ত।
حَدَّثَنَا سَلْمَانُ بْنُ عَامِرٍ الضَّبِّيُّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْه دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الأَذَى.
সালমান ইবনে আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, “সন্তানের জন্মের সাথে আক্বীক্বাহ সম্পৃক্ত, তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (আক্বীক্বার জন্তু যবেহ) করো এবং তার কষ্টদায়ক (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।” [সহীহ বুখারী- ৫৪৭১]
দুই) প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে দায়বদ্ধ।
عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ "كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى".
সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, “প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে দায়বদ্ধ থাকে, জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।” [সহীহ ইবনে মাজাহ- ২৫৮০]
তিন) ছেলে সন্তানের পক্ষে দুটি বকরী এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষে একটি বকরী আক্বীক্বাহ করা সুন্নাহ।
أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ كُرْزٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ عَنِ الْعَقِيقَةِ فَقَالَ "عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ وَاحِدَةٌ وَلاَ يَضُرُّكُمْ ذُكْرَانًا كُنَّ أَمْ إِنَاثًا"
উম্মু কুরয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট তিনি আক্বীক্বার ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি ﷺ বললেন, “ছেলে সন্তানের পক্ষে দুটি বকরী এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষে একটি বকরী (আক্বীক্বাহ দিতে হবে)। আক্বীক্বার পশু নর বা মাদী যাই হোক না কেন তাতে তোমাদের কোন অসুবিধা নেই।” [সহীহ তিরমিযী- ১৫১৬]
চার) রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে তাঁর নাতি হাসান রাদ্বি. এর আক্বীক্বাহ করেন।
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ "يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً". قَالَ فَوَزَنَتْهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ
আলী ইবনে আবী ত্বালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি বকরী দিয়ে হাসানের আক্বীক্বাহ করেন এবং বলেন, ‘হে ফাতিমা! তার মাথা নেড়া করে দাও এবং তার চুলের ওজনের অনুরূপ রূপা দান করো’, তদনুযায়ী আমি তার চুল ওজন করলাম এবং তার ওজন এক দিরহাম বা তার কাছাকাছি হয়।” [ইরওয়াউল গালীল- ১১৭৫]
পাঁচ) আল্লাহ তা‘আলা উক্বুক্ব বা অবাধ্যতা পছন্দ করেন না, তাই এর নাম রেখেছেন আক্বীক্বাহ।
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أُرَاهُ عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ عَنِ العَقِيقَةِ؟ فَقَالَ: لَا يُحِبُّ اللَّهُ الْعُقُوقَ. كَأَنَّهُ كَرِهَ الِاسْمَ وَقَالَ: مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ عَنِ الْغُلَامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ، وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ.
আমর ইবনু শু‘আইব রাহিমাহুল্লাহ থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতার ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, একদা নবী ﷺ কে আক্বীক্বাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আল্লাহ উক্বুক্ব বা অবাধ্যতাকে পছন্দ করেন না, মনে হচ্ছে যেন তিনি এর মাধ্যমে আক্বীক্বাহ এর নামকরণকে অপছন্দ করেছেন।” উত্তরে তিনি বলেন, “যার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেন তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বাহ করে; সে যেন ছেলের পক্ষ থেকে সমবয়স্ক দুটি বকরী এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরী যবেহ করে।” [সহীহ আবূ দাঊদ- ২৮৪২]
সম্পাদনায়,
শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ,
২০ যুলহিজ্জাহ ১৪৪৫ হিজরী; ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ,
২০ যুলহিজ্জাহ ১৪৪৫ হিজরী; ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ