সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যায় কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,139
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
অমুসলিমদের প্রথমে সালাম দেওয়া হারাম, বৈধ নয়। যেহেতু ‘সালাম’ কেবল ইসলাম ওয়ালাদের অভিবাদন। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদি ও নাসাদেরকে প্রথমে সালাম দিও না। ওদের সাথে পথে দেখা হলে সংকীর্ণতার প্রতি বাধ্য কর।” কিন্তু ওরা যদি তোমাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়, তাহলে তাঁর উত্তর দেওয়া আমাদের জন্য ওয়াজেব হবে। যেহেতু সাধারণভাবেই আল্লাহ বলেন,

“আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে।” (সূরা নিশা)

ইয়াহুদিরা মহানবী (সঃ) কে সালাম দিত, বলত, ‘আসসা-মু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ!’ (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষণ হোক, হে মুহাম্মদ!)” ‘আসসা-মু এর অর্থ মৃত্যু। তারা রাসুল (সঃ) কে মৃত্যুর বদদুয়া দিতেন। তাই নবী (সঃ) বললেন, “ইয়াহুদিরা বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম।’ সুতরাং ওরা যখন তোমাদেরকে সালাম দেবে, তখন তোমরা তাঁর উত্তরে বল, ‘আ আলাইকুম।”

অতএব যখন কোন অমুসলিম কোন মুসলিমকে সালাম দিয়ে বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম,’ তখন আমরা তাঁর উত্তরে বলব, ‘আ আলাইকুম’। উপরোক্ত তাঁর উক্তি ‘আ আলাইকুম’ এই কথার দলিল যে, যদি ওরা ‘তোমাদের উপর সালাম’ বলে, তাহলে তাদের উপরেও সালাম। সুতরাং ওরা যেমন বলবে, আমরাও ওদেরকে তেমনই বলব। এই জন্য কতক উলামা বলেছেন যে, ইয়াহুদি, খ্রিস্টান বা অন্য কোন অমুসলিম যখন স্পষ্ট শব্দে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলবে, তখন তোমাদের জন্য ‘ও আলাইকুম সালাম’ বলে উত্তর দেওয়া বৈধ।

অনুরূপ ভাবে অমুসলিমদেরকে প্রথমে স্বাগত জানানো, যেমন ‘আহলান অসাহালান (স্বাগতম, খোশ আমদেদ, ওয়েলকাম প্রভৃতি) বলা বৈধ নয়। যেহেতু এতে তাদের সন্মান ও তা’যীম অভিব্যক্ত হয়। কিন্তু ওরা যখন প্রথমে তোমাদেরকে ঐ বলে স্বাগত জানাবে, তখন আমরাও তাদের অনুরূপ বলে উত্তর দেব। যেহেতু ইসলাম ন্যায়পরায়ণতা এনেছে এবং প্রত্যেক অধিকারীকে তাঁর অধিকার দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এ কথা বিদিত যে, আল্লাহ আযযা অ জাল্লার নিকটে মুসলমানরাই সন্মান ও মর্যাদার দিক দিয়ে সবচাইতে বড়। তাই প্রথমে অমুসলিমদেরকে সালাম দিয়ে নিজেদেরকে অপদস্থ করা উচিৎ নয়। অতএব উত্তরের সারমর্মে বলি যে, অমুসলিমদেরকে প্রথমে সালাম দেওয়া বৈধ নয়। যেহেতু নবী (সঃ) এ থেকে নিষেধ করেছেন এবং যেহেতু এতে মুসলমানদের জন্য লাঞ্ছনা আছে। কারণ সে এতে অমুসলিমকে তা’জিম ও সন্মান প্রদর্শন করে। অথচ আল্লাহর নিকট মুসলিমই সন্মানের দিক থেকে অধিক উঁচু। তাই এতে নিজেকে অপমানিত করা উচিৎ নয়। পক্ষান্তরে যখন ওরা আমাদেরকে সালাম দেবে, তখন আমরা তাদের অনুরূপ সালামের উত্তর দেব। তদনুরূপ প্রথমে স্বগত জানানোও বৈধ নয়। যেমন, ‘আহলান অসাহলান, মারহাবা’ ইত্যাদি। কেননা এতে ওদেরকে তা’জিম প্রদর্শন করা হয়। যা ওদেরকে প্রথমে সালাম দেওয়ারই অনুরূপ। (ইবনে উসাইমিন)


সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর।
লেখক: শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top