উত্তর: বহু সংখ্যক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবায়ে কেরাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে বলতেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অনেক সময় সাহাবিদেরকে উদ্দেশ্য করে এমন কথা বলেছেন। যেমন:
আলী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
যদিও অন্যান্য সহিহ হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ফাতিমা, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর রা. এবং অন্যান্য সাহাবির ক্ষেত্রেও এমন কথা বলার কথা হাদিসে পাওয়া যায়।
ইমাম ত্ববারানী বলেন,
এটি আরবদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি পরিভাষা। এর উদ্দেশ্য হল “হে আল্লার নবী আমার পিতা-মাতা আমার অনুপস্থিতিতে আমার পক্ষ হতে আপনাকে রক্ষা করুন অর্থাৎ শত্রুর মোকাবিলায় আমার পিতা-মাতা প্রয়োজনে আপনার জন্য জীবন কুরবানি করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এটা হল, প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও সম্মান প্রদর্শনের চূড়ান্ত অভিব্যক্তি। এখানে প্রকৃত "উৎসর্গ" উদ্দেশ্য নয়।
শাইখ বিন বায বলেন,
তবে বাংলা ভাষায় এ ধরণের পরিভাষা প্রচলিত নয়। কেউ কারো প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ এবং সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে না। সেহেতু আমাদের জন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে এভাবে না বলাই উচিত। এতে ভুল বুঝাবুঝির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবি, তাবেঈ প্রমুখ আরবরা তাদের পরিভাষা অনুযায়ী সঠিক অর্থে ব্যবহার করেছেন। এতে কোনও সমস্যা নেই।
আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي يارسول الله
“হে আল্লার রসুল, আপনার জন্য আমার পিতা মাতা উৎসর্গ/কোরবান হয়ে যাক।” এ মর্মে বহু হাদিস রয়েছে।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অনেক সময় সাহাবিদেরকে উদ্দেশ্য করে এমন কথা বলেছেন। যেমন:
আলী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُفَدِّي رَجُلاً بَعْدَ سَعْدٍ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ " ارْمِ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সাদ রা. ব্যতীত আর কারো জন্য তাঁর পিতা-মাতাকে উৎসর্গ করার কথা বলতে দেখিনি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, ‘তুমি তীর নিক্ষেপ কর, তোমার জন্য আমার পিতা-মাতা উৎসর্গ (ফিদা) হোক।' [সহীহ বুখারি (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৪৮/ জিহাদ, পরিচ্ছেদ: ১৮২১। এটি ও ওহুদ যুদ্ধের ঘটনা]যদিও অন্যান্য সহিহ হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ফাতিমা, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর রা. এবং অন্যান্য সাহাবির ক্ষেত্রেও এমন কথা বলার কথা হাদিসে পাওয়া যায়।
قال لفاطمة " فداك أبوك " ومن حديث ابن مسعود أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لأصحابه " فداكم أبي وأمي " ومن حديث أنس أنه صلى الله عليه وسلم قال مثل ذلك للأنصار.
ইমাম বুখারি রাহ. এ বিষয়টি বৈধতার পক্ষে আলাদা অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে:بَاب قَوْلِ الرَّجُلِ فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي
"অনুচ্ছেদ: ৭৮/১০৩. কোন লোকের এ রকম কথা বলা আমার মা-বাপ আপনার প্রতি কুরবান।"ইমাম ত্ববারানী বলেন,
في هذه الأحاديث دليل على جواز قول ذلك
"এ সকল হাদিসে এ কথা বলার বৈধতার প্রমাণ রয়েছে।"এটি আরবদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি পরিভাষা। এর উদ্দেশ্য হল “হে আল্লার নবী আমার পিতা-মাতা আমার অনুপস্থিতিতে আমার পক্ষ হতে আপনাকে রক্ষা করুন অর্থাৎ শত্রুর মোকাবিলায় আমার পিতা-মাতা প্রয়োজনে আপনার জন্য জীবন কুরবানি করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এটা হল, প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও সম্মান প্রদর্শনের চূড়ান্ত অভিব্যক্তি। এখানে প্রকৃত "উৎসর্গ" উদ্দেশ্য নয়।
শাইখ বিন বায বলেন,
أفديك بأبي وأمي، كلمة تقولها العرب في تعظيم المخاطب.
"আরবরা কোনও সম্মানিত ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে বলতো "আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ করছি।"তবে বাংলা ভাষায় এ ধরণের পরিভাষা প্রচলিত নয়। কেউ কারো প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ এবং সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে না। সেহেতু আমাদের জন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে এভাবে না বলাই উচিত। এতে ভুল বুঝাবুঝির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবি, তাবেঈ প্রমুখ আরবরা তাদের পরিভাষা অনুযায়ী সঠিক অর্থে ব্যবহার করেছেন। এতে কোনও সমস্যা নেই।
আল্লাহু আলাম।
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি