ইবরাহীম আত-তাইমী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
"ঈমানের পর বান্দাকে যদি দামী কিছু দেওয়া হয়, তাহলে সেটা হবে ধৈর্য। এটা হলো সেই ধৈর্য, যা ক্ষতির সময় ধরা লাগে, বিপদ আপদের সময় লাগে, ফিতনার সময় লাগে।"
[আস-সবর : খন্ড নং ০১, পৃষ্ঠা নং ২৮]
বস্তুত ধৈর্য হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কাছে অভিযোগ করা থেকে নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখা, অন্তরকে ক্রোধ থেকে মুক্ত রাখা, শোকপ্রকাশের সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মুখ চাপড়ানো, বুক চাপড়ানো ও কাপড় ছেঁড়া থেকে বিরত রাখা। আর এসবের বিপরীত কর্মই হলো অধৈর্য। মানুষ ভেদে বিভিন্নভাবে এই অধৈর্য প্রকাশ পেয়ে থাকে।...
ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) এর সূত্রে বর্ণিত একটি হাদীসে তিনি বলেন –
যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এক ছোট মেয়ের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলো তখন তিনি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর তার শরীরে হাত রাখলেন। আল্লাহর রাসূলের সামনেই তার মৃত্যু হলো। এ দৃশ্য দেখে উম্মু আইমান কেঁদে...
আনাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন –
আবু তালহার এক ছেলে অসুস্থ ছিল। ছেলেটা যখন মারা যায়, তখন তিনি ঘরে ছিলেন না। তার স্ত্রী ছেলেটিকে সাজিয়ে একটা কাপড়ে মুড়িয়ে ঘরের এককোণে শুইয়ে রাখলেন। আবু তালহা এসে বললেন, “ছেলের কী খবর?”
স্ত্রী বললেন, “সে এখন পূর্বের চেয়েও শান্ত। আমার মনে হয় সে পরিপূর্ণ...
কেউ কষ্ট দিলে ধৈর্য ধরা, সহ্য করে যাওয়া এবং যুলুম করলেও ক্ষমা করে দেওয়া দুনিয়া-আখিরাতবাসীর গুণাবলির মাঝে সর্বোত্তম গুণ। এগুলোর মাধ্যমে একজন মানুষ এত মর্যাদা অর্জন করতে পারে, যা সিয়াম-কিয়ামের মাধ্যমেও সে অর্জন করতে সক্ষম হয় না।
- ইবনু তাইমিয়্যা (রহিমাহুল্লাহ)
[আস-সারেমুল মাসলূল: পৃ. ২৩৪]
TG...