আব্দুল মালিক বিন আবহার (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
‘প্রত্যেক মানুষই হয়তো সুখের মাধ্যমে পরীক্ষিত হয়, যাতে তার শোকরের অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায় অথবা বিপদের মাধ্যমে পরীক্ষিত হয়, যাতে তার সবরের বা ধৈর্যের অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়।’
– হিলইয়াতুল আউলিয়া : ৫৫/৮৫
– সবর মুমিনের সাফল্যের...
আলি (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সবর (ধৈর্য) তিন প্রকার :
১. মুসিবতে সবর
২. ইবাদতে সবর
৩. নাফরমানি ত্যাগে সবর
যে ব্যক্তি মুসিবতে সবর করে নিজেকে প্রবোধ দেয় এবং সুন্দরভাবে কষ্টের দিনগুলো পার করে, আল্লাহ তাকে তিনশ মর্যাদা দান করেন। যে ব্যক্তি ইবাদতের কষ্টে সবর করে, তার আমলনামায়...
বস্তুত ধৈর্য হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কাছে অভিযোগ করা থেকে নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখা, অন্তরকে ক্রোধ থেকে মুক্ত রাখা, শোকপ্রকাশের সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে মুখ চাপড়ানো, বুক চাপড়ানো ও কাপড় ছেঁড়া থেকে বিরত রাখা। আর এসবের বিপরীত কর্মই হলো অধৈর্য। মানুষ ভেদে বিভিন্নভাবে এই অধৈর্য প্রকাশ পেয়ে থাকে।...
قال سفيان الثوري رحمه الله
ثلاثه من الصبر, تحدث بمعصيتك ولا بوجعكَ ولا ترك نفسك.
[حلية الأولياء ٦/٣٨٩]
সুফিয়ান আস-সাওরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন তিনটি কাজ সবরের পরিচায়ক,
১। তোমার অন্যায় কাউকে জানাবে না।
২। তোমার কষ্ট কাউকে বলবে না।
৩। আত্মপ্রশংসা করবে না।
[হিলয়াতুল আউলিয়া-৬/৩৮৯]
"সবর হলো কোনো মানুষের হৃদয়ের সেই অবস্থা, যে অবস্থায় তার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, তাতে সে রাগান্বিত হয় না এবং তার মুখ দিয়ে কোনো অভিযোগ-অনুযোগ উচ্চারিত হয় না।"
– ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম আদ-দামেস্কী আত-তাইমি (১২৯২-১৩৫০খৃ.) রাহিমাহুল্লাহ
📚 আল উদ্দাহ
পৃষ্ঠা : ১৫৬
উত্তর: সবর আরবী শব্দ; যার অর্থ আকড়ে ধরে রাখা, বিরত রাখা।
পারিভাষিক অর্থ হলো: ভয়-ভীতি বা বিপদ-আপদ কালে সংযত থাকা বা নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। রাগ হয়ে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে রূঢ় কিংবা অসংলগ্ন কথাবার্তা হতে জিহ্বাকে সংযত রাখা। বিপদ-আপদ কালে হাত পা এবং অন্যান্য অংগপ্রত্যঙ্গসমূহের ভারসাম্য রক্ষা...