- Translator
- আহমাদুল্লাহ সৈয়দপুরী
ছোট মহাদেশ পাক ও হিন্দের মধ্যে আজ হতে প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে মাযহাবী সমাবেশসমূহে হানাফী ফিকহের প্রচলন ছিল। যার সম্পর্কে এটা বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে, এটা কুরআন ও সুন্নাতের নির্যাস এবং দ্বীনে ইসলামের পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। এই ভুল ধারণার ফল এই ছিল যে, এখানে অত্র যুগে দ্বীনের মূল উৎস হিসাবে কুরআনে পাক ও নবীর হাদীছসমূহের প্রতি সামান্যতমও মনোযোগ দেওয়া হত না। আর পবিত্র কুরআনের সাথে সম্পর্ক বলতে সাধারণত তেলাওয়াত করা ও বরকত অর্জন করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল; এর দ্বারা ফিক্বহী মাসআলার প্রমাণ ও উদ্ভাবন করা উদ্দেশ্য ছিল না। যার ধারণা আপনারা এখান হতে করতে পারেন যে, যখন শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলবী এখানকার সরকারী ভাষা ফার্সীতে পবিত্র কুরআনের অনুবাদ করলেন তখন দিল্লীর আলেমগণ তাঁর সাথে মতানৈক্য করেছিলেন। সাধারণ জনগণের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে খারাপ ধারণা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করেছিলেন। এমনকি ফতেপুরী মসজিদে দু শত দাঙ্গা প্রিয় লোককে সাথে নিয়ে তাঁকে ঘেরাও করা হয়েছিল যারা তলোওয়ার ও অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত ছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলার খাছ সাহায্য ও কতিপয় সাথীর সাহায্যে (তাদের কবল হতে) বের হয়ে তিনি (শাহ ওয়ালিউল্লাহ) জান রক্ষা করতে সফল হয়েছিলেন (হায়াতে ত্বাইয়েবাহ)।
অনুরূপভাবে পবিত্র হাদীছের প্রতি যেভাবে অমনোযোগিতা প্রদর্শন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত আলোচনা ‘পাক ওয়া হিন্দ মেঁ ওলামায়ে হাদীছ কী খিদমাতে হাদীছ' গ্রন্থে দেখা যেতে পারে।
অনুরূপভাবে পবিত্র হাদীছের প্রতি যেভাবে অমনোযোগিতা প্রদর্শন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত আলোচনা ‘পাক ওয়া হিন্দ মেঁ ওলামায়ে হাদীছ কী খিদমাতে হাদীছ' গ্রন্থে দেখা যেতে পারে।