- Author
- ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
- Publisher
- আছ-ছিরাত প্রকাশনী
‘সালাতুত তারাবীহ' একটি গুরুত্বপূর্ণ নফল সালাত। রামাযান মাসে সিয়াম পালনের পাশাপাশি অঢেল নেকী অর্জনের জন্য যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে তারাবীহ অন্যতম। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত সালাত আদায়ের প্রতি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক ভাষায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবীদের নিয়ে অতীব গুরুত্বের সাথে আদায় করে তারাবীহর প্রতি আরো বেশী আকৃষ্ট করেছেন। তাই ১১ মাসের রক্ষণশালা তৈরির বিশেষ লক্ষ্যে তাক্বওয়ার পুঁজি সঞ্চয় করা সবারই কর্তব্য। তবে অবশ্যই তা আদায় করতে হবে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে, যাতে পরিশ্রম বিফলে না যায়। আল্লাহর নিকট ইবাদত গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য প্রধান দু'টি শর্ত রয়েছে। (১) একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আদায় করা। (২) ঐ ইবাদত রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে পদ্ধতিতে আদায় করেছেন সেই পদ্ধতিতে আদায় করা। (সূরা কাহফ ১১০; মুসলিম হা/৪৪৬৮, ২/৭৭)। অতএব যে আমলই হোক না কেন সেই আমল ও তার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে কেবল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীস থেকে। ধর্মের নামে সমাজে প্রচলিত কোন যঈফ ও জাল হাদীস গ্রহণযোগ্য নয় ।
সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ নির্দেশ হ'ল, 'তোমরা ঐভাবেই সালাত আদায় কর যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখছ' (বুখারী হা/৬৩১, ১/৮৮; মিশকাত হা/৬৮৩)। তাই তারাবীহর সালাতও সেভাবেই আদায় করতে হবে যেভাবে তিনি আদায় করেছেন। সর্বাধিক বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ ছহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য গ্রন্থের ছহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম তারাবীহর সালাত ৮ রাক'আতই পড়েছেন। পক্ষান্তরে ২০ রাক'আত তারাবীহর পক্ষে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে তার সবগুলোই জাল কিংবা যঈফ অথবা মুনকার, যা বিশ্বশ্রেষ্ঠ রিজালবিদগণের গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। অথচ মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ অংশ উক্ত যঈফ ও জাল হাদীস, দলীয় গোঁড়ামী এবং অপব্যাখ্যার কারণে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক তারাবীহ পড়া হ'তে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরলপ্রাণ সাধারণ মানুষ যেন প্রবঞ্চনাপূর্ণ উক্ত অন্ধ বেড়াজাল, ঔদ্ধত্যপূর্ণ লিখনী ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য থেকে ফিরে এক কাতারে শামিল হয়ে ছহীহ দলীলের অনুসরণ করতে পারে সে জন্যই আমাদের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। আমরা ৮ রাক'আতের পক্ষে বিশুদ্ধ দলীল পেশ করার পাশাপাশি মুহাদ্দিছগণের সূক্ষ্ম মূলনীতির আলোকে ২০ রাক'আতের বর্ণনাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণ করেছি। আশা করি লেখাটি সঠিক পথের অনুসন্ধানী ও নিরপেক্ষ হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তির জন্য দিশারী বিবেচিত হবে ইনশাআল্লাহ। মিথ্যা পরাভূত হোক, মহা সত্য বিজয়ী হোক এই প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহর শানে- আমীন!!
সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ নির্দেশ হ'ল, 'তোমরা ঐভাবেই সালাত আদায় কর যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখছ' (বুখারী হা/৬৩১, ১/৮৮; মিশকাত হা/৬৮৩)। তাই তারাবীহর সালাতও সেভাবেই আদায় করতে হবে যেভাবে তিনি আদায় করেছেন। সর্বাধিক বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ ছহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য গ্রন্থের ছহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম তারাবীহর সালাত ৮ রাক'আতই পড়েছেন। পক্ষান্তরে ২০ রাক'আত তারাবীহর পক্ষে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে তার সবগুলোই জাল কিংবা যঈফ অথবা মুনকার, যা বিশ্বশ্রেষ্ঠ রিজালবিদগণের গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। অথচ মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ অংশ উক্ত যঈফ ও জাল হাদীস, দলীয় গোঁড়ামী এবং অপব্যাখ্যার কারণে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক তারাবীহ পড়া হ'তে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরলপ্রাণ সাধারণ মানুষ যেন প্রবঞ্চনাপূর্ণ উক্ত অন্ধ বেড়াজাল, ঔদ্ধত্যপূর্ণ লিখনী ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য থেকে ফিরে এক কাতারে শামিল হয়ে ছহীহ দলীলের অনুসরণ করতে পারে সে জন্যই আমাদের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। আমরা ৮ রাক'আতের পক্ষে বিশুদ্ধ দলীল পেশ করার পাশাপাশি মুহাদ্দিছগণের সূক্ষ্ম মূলনীতির আলোকে ২০ রাক'আতের বর্ণনাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিশ্লেষণ করেছি। আশা করি লেখাটি সঠিক পথের অনুসন্ধানী ও নিরপেক্ষ হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তির জন্য দিশারী বিবেচিত হবে ইনশাআল্লাহ। মিথ্যা পরাভূত হোক, মহা সত্য বিজয়ী হোক এই প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহর শানে- আমীন!!
- Purchase Link
- Click Here to BUY NOW!
বইটি ক্রয় করে লেখক ও প্রকাশককে নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করুন।