সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Habib Bin Tofajjal

প্রবন্ধ রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বের হওয়া গোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ

  • Thread starter
রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বের হওয়ার সাধারণ সূরত ৪টি:

১। খারেজী সম্প্রদায়: তারা হচ্ছে ঐসব লোক, যারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আকীদাহ ও মৌলিক আমল বিরোধী হওয়ায় প্রবৃত্তি অনুসরণ করে রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বের হয়। তারা সাধারণত কবীরা গুনাহকারীকে কাফের বলে, যালিম শাসকের বিরুদ্ধে বের হওয়া সর্বাবস্থায় ফরয মনে করে। এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা রয়েছে।

২। বাগী বা বিদ্রোহী সম্প্রদায়: যারা ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য কোনো গ্রহণযোগ্য তা’ওয়ীল বা ব্যাখ্যা কিংবা অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা সহকারে বের হয়েছে। অনুরূপ যারা ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক, দলীয় গোঁড়ামী কিংবা দুনিয়া লাভ করার জন্য বের হবে। তাদের সাথে প্রথমেই যুদ্ধ করা হবে না, বরং ইমাম ও তাদের মাঝে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে, যদি তাদের ওপর কোনো যুলুম হয় সেটা তুলে নিতে হবে, যদি তাদের হক হয় তাদের দিতে হবে, যদি তাদের কোনো সন্দেহ থাকে তবে তাদের থেকে তা নিরসন করতে হবে। অবশেষে যুদ্ধ হবে, যা সূরা আল-হুজুরাতের ৯নং আয়াতে এসেছে।

৩। ডাকাতী, হানাহানি রাহাজানিকারী সন্ত্রাসী সম্প্রদায়: যারা যমীনের বুকে ফিতনা করার জন্যই বের হয়, যদি তাদের ক্ষমতা বেশি হয়ে যায়, তবে রাষ্ট্রপ্রধানের উচিত তাদের পাকড়াও করে তাদের ওপর হিরাবাহ এর বিধান প্রয়োগ করা যা সূরা আল-মায়িদাহ এর ৩৩নং আয়াতে এসেছে। যেমনটি রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরানীদের সাথে আচরণ করেছেন। আর যদি রাষ্ট্রপ্রধান তা করতে সমর্থ না হন তবে জনগণ তাদেরকে নিজেদের ক্ষমতাবলে পাকড়াও করতে পারবেন।

৪। হক্বপন্থী লোকেরা যখন হক প্রতিষ্ঠার জন্য যালিম, ফাসেক ও কাফের শাসকের বিরুদ্ধে বের হয়, তখন সে বের হওয়াকে বিদ্রোহ বলা যাবে না। যেমনটি মদীনাবাসীরা করেছিল ইয়াযীদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে, আলেম ও ক্বারীরা বের হয়েছিল হাজ্জাজের বিরুদ্ধে। বিশুদ্ধ মতে, তখন যারা তেমন শাসকের বিরুদ্ধে বের হবে, সে লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয হবে না। [ইবন হাজার: ফাতহুল বারী (১২/২৮৬); ইবন হাযম, আল-মুহাল্লা (১০/৫০৮)]

এ অবস্থায় সংক্ষেপে যে বিধান হবে তা হচ্ছে,

- যদি ইমাম যালিম বা ফাসেক হয়, আর তার বিরুদ্ধে যে বা যারা বিদ্রোহ করে তারা যদি ইনসাফকারী হয়, তাহলে ইনসাফকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কারও জন্য জায়েয হবে না।

- আর যদি ইমাম ইনসাফকারী হয়, আর তার বিরুদ্ধে ইনসাফকারী লোকই বিদ্রোহ করে বসে, তবে এ অবস্থার যুদ্ধকে বলা হবে ফিতনার যুদ্ধ। এ অবস্থায় যুদ্ধ পরিত্যাগ করা উত্তম হবে। কারণ এ অবস্থায় যুদ্ধ না করার ব্যাপারে প্রচুর শরয়ী ভাষ্য রয়েছে। আর তখন রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করে, (যদিও তিনি ইনসাফকারী হন), ন্যায়পরায়ণ বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কারও জন্য জায়েয হবে না। কারণ তা ফিতনার যুদ্ধ। তবে কাফের ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে মিলে যুদ্ধ করা সবার ওপর অবশ্য কর্তব্য রাষ্ট্রপ্রধান নেককার হোক বা বদকার।



আরও পড়ুন - ফাতওয়া আল হামাউইয়্যা
 

Create an account or login to comment

You must be a member in order to leave a comment

Create account

Create an account on our community. It's easy!

Log in

Already have an account? Log in here.

Total Threads
12,909Threads
Total Messages
16,410Comments
Total Members
3,339Members
Latest Messages
fahad ahmedLatest member
Top