প্রশ্ন- হারুত ও মারুত ফেরেশতা যোহরা নামক মহিলার প্রেমে পড়েছিল কি?
উত্তরঃ হারুত ও মারুত দু'জন ফেরেশতা যোহরা নামক মহিলার প্রেমে পড়েছিল মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এ মর্মে কেচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করা হ'তে বিরত থাকা যরূরী। ইবনে কাছীর বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন, এ মর্মে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীছ নেই। কুরআনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। কুরআনে যতটুকু বলা হয়েছে তার উপর বিশ্বাস রাখা উচিৎ (ইবনে কাছীর ১/১৮৮, বাক্কারাহ ১০২ নং আয়াতের আলোচনা)।
হারূত-মারূত এবং যোহুরার সংক্ষিপ্ত মিথ্যা ঘটনাঃ
ফেরেশতারা বলেছিল, প্রতিপালক আমরা আদম সন্তানের চেয়ে বেশী আনুগত্যশীল।আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা দু'জন ফেরেশতা বাছাই কর, যাদের আমি দুনিয়ায় পাঠাবো এবং তারা কেমন আমল করে দেখবো । তারা হারূত এবং মারূতকে বাছাই করল এবং তাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হ'ল। অপরদিকে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী যোহুরা নাম্নী এক মহিলাকে তাদের সামনে পেশ করা হ'ল। সে তাদের সামনে আসতেই তারা তার সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে অস্বীকার করে বলল, আপনারা শিরক না করলে আমি রাযী নই। তারা বলল, আল্লাহর কসম আমরা আল্লাহর সাথে বিন্দুমাত্র শিরক করব না । সে চলে গেল এবং একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে আসল । তারা পুনায় তার সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে বলল, এ বাচ্চাকে হত্যা না করলে আমি রাযী নই। তারা বলল, আল্লাহর কসম আমরা এ বাচ্চাকে হত্যা করতে পারি না। সে চলে গেল এবং এক পেয়ালা মদ নিয়ে আসল। তারা তার সাথে সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে বলল, মদ পান না করা পর্যন্ত আমি রাযী নই। তারা মদ পান করল এবং তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হ'ল। তখন তারা তার সাথে যেনায় লিপ্ত হ'ল এবং বাচ্চাটিকে হত্যা করল। তারপর তাদের যখন জ্ঞান ফিরে আসল, মহিলাটি তাদেরকে বলল, আল্লাহর কসম! আপনারা যা অস্বীকার করেছিলেন মদ পান করার পর তার সবকিছুই করে ফেললেন। অতঃপর তাদেরকে ইহকাল বা পরকালের শাস্তির এখতিয়ার দেওয়া হ'ল। তারা ইহকালের শাস্তি গ্রহণ করল। তাই তদেরকে ইরাকের বাবেল শহরে লোহার জিঞ্জীর দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে অথবা আকাশে ঝুলন্ত রাখা হয়েছে। আলোচ্য ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন (ইবনে কাছীর ১/১৮৮ পৃঃ)।
উত্তরঃ হারুত ও মারুত দু'জন ফেরেশতা যোহরা নামক মহিলার প্রেমে পড়েছিল মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এ মর্মে কেচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করা হ'তে বিরত থাকা যরূরী। ইবনে কাছীর বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন, এ মর্মে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীছ নেই। কুরআনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। কুরআনে যতটুকু বলা হয়েছে তার উপর বিশ্বাস রাখা উচিৎ (ইবনে কাছীর ১/১৮৮, বাক্কারাহ ১০২ নং আয়াতের আলোচনা)।
হারূত-মারূত এবং যোহুরার সংক্ষিপ্ত মিথ্যা ঘটনাঃ
ফেরেশতারা বলেছিল, প্রতিপালক আমরা আদম সন্তানের চেয়ে বেশী আনুগত্যশীল।আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা দু'জন ফেরেশতা বাছাই কর, যাদের আমি দুনিয়ায় পাঠাবো এবং তারা কেমন আমল করে দেখবো । তারা হারূত এবং মারূতকে বাছাই করল এবং তাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হ'ল। অপরদিকে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী যোহুরা নাম্নী এক মহিলাকে তাদের সামনে পেশ করা হ'ল। সে তাদের সামনে আসতেই তারা তার সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে অস্বীকার করে বলল, আপনারা শিরক না করলে আমি রাযী নই। তারা বলল, আল্লাহর কসম আমরা আল্লাহর সাথে বিন্দুমাত্র শিরক করব না । সে চলে গেল এবং একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে আসল । তারা পুনায় তার সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে বলল, এ বাচ্চাকে হত্যা না করলে আমি রাযী নই। তারা বলল, আল্লাহর কসম আমরা এ বাচ্চাকে হত্যা করতে পারি না। সে চলে গেল এবং এক পেয়ালা মদ নিয়ে আসল। তারা তার সাথে সাথে মিলিত হ'তে চাইল। সে বলল, মদ পান না করা পর্যন্ত আমি রাযী নই। তারা মদ পান করল এবং তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হ'ল। তখন তারা তার সাথে যেনায় লিপ্ত হ'ল এবং বাচ্চাটিকে হত্যা করল। তারপর তাদের যখন জ্ঞান ফিরে আসল, মহিলাটি তাদেরকে বলল, আল্লাহর কসম! আপনারা যা অস্বীকার করেছিলেন মদ পান করার পর তার সবকিছুই করে ফেললেন। অতঃপর তাদেরকে ইহকাল বা পরকালের শাস্তির এখতিয়ার দেওয়া হ'ল। তারা ইহকালের শাস্তি গ্রহণ করল। তাই তদেরকে ইরাকের বাবেল শহরে লোহার জিঞ্জীর দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে অথবা আকাশে ঝুলন্ত রাখা হয়েছে। আলোচ্য ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন (ইবনে কাছীর ১/১৮৮ পৃঃ)।
বক্তা ও শ্রোতার পরিচয়
প্ৰকাশক :
আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফ
প্ৰকাশক :
আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফ