If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
হজ্জ তিন প্রকারের; তামাত্তু, ক্বিরান ও ইফরাদ। সবচেয়ে উত্তম হল তামাত্তুর ইহরাম বাঁধা। তামাত্তুর অর্থ; হজ্জের মাসে প্রথমে কেবল উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধা, অতঃপর উমরাহ সেরে হালাল হয়ে পুনরায় ঐ সফরেই হজ্জের ইহরাম বাঁধা। এই ইহরাম বিশেষ করে তাদের জন্য বেশী ভালো যারা বহু পূর্বেই হজ্জের মাসে মক্কা শরীফে পৌঁছে থাকে। যাতে তারা উমরাহ করার পর হালাল হয়ে হজ্জের ইহরাম পর্যন্ত ‘তামাত্তু' (ফায়দা) লাভ করে থাকে।
তামাত্তুর বিশেষ ফযীলত রয়েছে। যেহেতু সাহাবাগণ যখন (নবী (ﷺ)-এর সহিত হজ্জে গিয়ে) তওয়াফ ও সায়ী শেষ করলেন, তখন তিনি যাঁরা সঙ্গে হাদী (কুরবানীর পশু এনেছিলেন তাঁদেরকে ছাড়া সকলকে উমরাহ (গণ্য) করে তামাত্তু করতে আদেশ করলেন। যেহেতু তিনি নিজে সঙ্গে হাদী এনেছিলেন, তাই উমরাহ গণ্য না করে হজ্জের অপেক্ষা করলেন এবং তামাত্তু না করতে পেরে আফসোস করলেন। অতএব তামাত্তু উত্তম বলেই তাঁদেরকে এই আদেশ করেছিলেন এবং নিজেও তামাত্তু করার জন্য আফসোস করেছিলেন। বলেছিলেন, “যদি হাদী না আনতাম তাহলে আমি উমরাহ করতাম। এবং হালাল হয়ে যেতাম।” অধিকন্তু তামাত্তু হজ্জে আমল অধিক থাকে, তাতে পৃথকভাবে পূর্ণ উমরাহ থাকে এবং পূর্ণ হজ্জেরও আমল থাকে।
তামাত্তু হজ্জে ফায়দা লাভের শুকরিয়া হিসাবে এবং দুই সফরের এক সফর সংক্ষিপ্ত হবার শুকরানার জন্য হাদী (কুরবানী) ওয়াজেব। যদি হাজী তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে (ঈদের পর পর) ৩ দিন এবং বাড়ি ফিরে ৭ দিন সর্বমোট ১০ দিন রোযা পালন করবে। (কুঃ ২/১৯৬) এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার নিয়ত করে এহরাম বাঁধলে অথবা উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে পরে ঐ সঙ্গে হজ্জ করলে ক্বিরান হজ্জ হয়। কিরান হাজীর উপরও কুরবানী ওয়াজেব। না পারলে ঐরূপ দশ দিন রোযা পালন করবে।
কেবলমাত্র হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধলে ইফরাদ হজ্জ হয়। এই হজ্জে কুরবানী ওয়াজেব নয়।
যে ব্যক্তি ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বাঁধে, অথবা ক্বিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধে কিন্তু সঙ্গে হাদী আনে না তার জন্য উত্তম যে, মক্কা শরীফ পৌঁছে উমরাহ করে (তওয়াফে কদুম ও সায়ী করে এবং চুল ছোট করে হালাল হয়ে যাবে। অতঃপর ইহরাম খুলে দিয়ে পুনরায় তারবিয়ার দিনে (৮ই যুল হজ্জ) হজ্জের ইহরাম বাঁধবে; অর্থাৎ তামাত্তু হজ্জ করবে। অনেকে এরূপ করাটাকে ওয়াজেব বলেছেন। (যাদুল মাআদ ২/১৮৫, মুফীদুল আনাম ১/১৩০)।
তামাত্তুর বিশেষ ফযীলত রয়েছে। যেহেতু সাহাবাগণ যখন (নবী (ﷺ)-এর সহিত হজ্জে গিয়ে) তওয়াফ ও সায়ী শেষ করলেন, তখন তিনি যাঁরা সঙ্গে হাদী (কুরবানীর পশু এনেছিলেন তাঁদেরকে ছাড়া সকলকে উমরাহ (গণ্য) করে তামাত্তু করতে আদেশ করলেন। যেহেতু তিনি নিজে সঙ্গে হাদী এনেছিলেন, তাই উমরাহ গণ্য না করে হজ্জের অপেক্ষা করলেন এবং তামাত্তু না করতে পেরে আফসোস করলেন। অতএব তামাত্তু উত্তম বলেই তাঁদেরকে এই আদেশ করেছিলেন এবং নিজেও তামাত্তু করার জন্য আফসোস করেছিলেন। বলেছিলেন, “যদি হাদী না আনতাম তাহলে আমি উমরাহ করতাম। এবং হালাল হয়ে যেতাম।” অধিকন্তু তামাত্তু হজ্জে আমল অধিক থাকে, তাতে পৃথকভাবে পূর্ণ উমরাহ থাকে এবং পূর্ণ হজ্জেরও আমল থাকে।
তামাত্তু হজ্জে ফায়দা লাভের শুকরিয়া হিসাবে এবং দুই সফরের এক সফর সংক্ষিপ্ত হবার শুকরানার জন্য হাদী (কুরবানী) ওয়াজেব। যদি হাজী তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে (ঈদের পর পর) ৩ দিন এবং বাড়ি ফিরে ৭ দিন সর্বমোট ১০ দিন রোযা পালন করবে। (কুঃ ২/১৯৬) এক সঙ্গে হজ্জ ও উমরার নিয়ত করে এহরাম বাঁধলে অথবা উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে পরে ঐ সঙ্গে হজ্জ করলে ক্বিরান হজ্জ হয়। কিরান হাজীর উপরও কুরবানী ওয়াজেব। না পারলে ঐরূপ দশ দিন রোযা পালন করবে।
কেবলমাত্র হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধলে ইফরাদ হজ্জ হয়। এই হজ্জে কুরবানী ওয়াজেব নয়।
যে ব্যক্তি ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বাঁধে, অথবা ক্বিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধে কিন্তু সঙ্গে হাদী আনে না তার জন্য উত্তম যে, মক্কা শরীফ পৌঁছে উমরাহ করে (তওয়াফে কদুম ও সায়ী করে এবং চুল ছোট করে হালাল হয়ে যাবে। অতঃপর ইহরাম খুলে দিয়ে পুনরায় তারবিয়ার দিনে (৮ই যুল হজ্জ) হজ্জের ইহরাম বাঁধবে; অর্থাৎ তামাত্তু হজ্জ করবে। অনেকে এরূপ করাটাকে ওয়াজেব বলেছেন। (যাদুল মাআদ ২/১৮৫, মুফীদুল আনাম ১/১৩০)।
পড়ুন: যুল হজ্জের তের দিন - PDF