সব মানবসমাজেই উদারতা এবং নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাকে একটি মহৎ গুণ মনে করা হয়। কিন্তু সবার কাছে সমপরিমাণ সম্পদ থাকলে এই দুটি গুণের একটিও বিকাশ লাভ করতে পারত না। উদারতা শুধুমাত্র তখনই অর্জন করা যাবে যখন একজন মানুষ সম্পদ জমা করে রাখার আকাঙ্ক্ষা দমন করে দরিদ্রদের দান করাটাকে একটি মহৎ কাজ হিসেবে গ্রহণ করবে। অন্যদিকে আত্মাকে হিংসা এবং লোকের মতো কুপ্রবৃত্তির উপর জয়ী করতে পারলেই কেবল সন্তুষ্টি বা তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব। আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের এই পরীক্ষাগুলোর জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করতেই সৃষ্টিকর্তা অত্যন্ত বিচক্ষণভাবে পৃথিবীতে তার অনুগ্রহ অসমভাবে কটন করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহ জীবিকার ক্ষেত্রে তোমাদের কাউকে কারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন (আন-নাহল, ১৬:৭১)
তিনি আরও বলেন, আর জেনে রেখো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো একটি পরীক্ষা মাত্র। (আল আনফাল, ৮:২৮)
যারা বিশ্বাস করেছ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মারণ থেকে উদাসীন না করে নেয়। (আল মুনাফিকুন, ৬৩:৯)
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং কারও উপর কারও মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সে ব্যাপারে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। (আল আন'আম, ৬:১৫ )
সম্পদ সঞ্চয়ের স্পৃহাকে এই জীবনে কিছুতেই তৃপ্ত করা সম্ভব নয়। মানুষ যত পায় তত চায়। নবী (সঃ) বলেছেন, “মানুষকে এক পাহাড় স্বর্ণ দেওয়া হলে সে আরেকটি চাইবে। (কবরের) মাটি ছাড়া কোনো কিছু তাকে পরিতৃপ্ত করতে পারবে না।” – বুখারি
তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা নাও এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি গণিত ও পরিশুদ্ধ করবে। (আত-তাওবাহ, ৯:১০৩)
এবং তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক আছে। (আয-যারিয়াত, ৫১:১৯)
তবে দান করতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অন্য কোনো। উদ্দেশ্যে দান করলে তা আল্লাহর কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, যারা বিশ্বাস করেছ! তোমরা খোঁটা এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান সাদাকাকে বরবাদ করে দিয়ো না। (আল বাকারা, ২:২৬৪)
পরশ্রীকাতরতা সম্পদের লোভকে আরও তীব্র করে। তাই আল্লাহ অন্যদের যা দিয়েছেন তার প্রতি লোভ করতে আমাদের তিনি নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, “আর আল্লাহ তা'আলা যে সব বিষয়ে তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তোমরা তা কামনা করো না।” (আন-নিসা, ৪:৩২)
নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই মহান উপদেশের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, “তোমার চেয়ে যারা কম সৌভাগ্যবান তাদের দিকে তাকাও, তোমার উপরে যারা আছে তাদের দিকে তাকিও না। আল্লাহ তোমাকে যেসব নিয়ামত দিয়েছেন তার প্রতি যদি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না চাও, তবে এটাই তোমার জন্য উত্তম।” (বুখারী, মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে আরও বর্ণিত আছে যে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “প্রাচুর্যতা সম্পদ নিয়ে নয় বরং আত্মতৃপ্তি দিয়ে মাপা হয়।” (বুখারী)
আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর শান্তি পায়। (আর-রা'দ, ১৩:২৮)
– স্রষ্টা ধর্ম জীবন, লেখক: শাইখ ড. বিলাল ফিলিপস, শারঈ সম্পাদক: শাইখ ড. মানজুরে ইলাহী, সিয়ান পাবলিকেশন
তিনি আরও বলেন, আর জেনে রেখো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো একটি পরীক্ষা মাত্র। (আল আনফাল, ৮:২৮)
যারা বিশ্বাস করেছ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মারণ থেকে উদাসীন না করে নেয়। (আল মুনাফিকুন, ৬৩:৯)
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছেন এবং কারও উপর কারও মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সে ব্যাপারে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। (আল আন'আম, ৬:১৫ )
সম্পদ সঞ্চয়ের স্পৃহাকে এই জীবনে কিছুতেই তৃপ্ত করা সম্ভব নয়। মানুষ যত পায় তত চায়। নবী (সঃ) বলেছেন, “মানুষকে এক পাহাড় স্বর্ণ দেওয়া হলে সে আরেকটি চাইবে। (কবরের) মাটি ছাড়া কোনো কিছু তাকে পরিতৃপ্ত করতে পারবে না।” – বুখারি
তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা নাও এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি গণিত ও পরিশুদ্ধ করবে। (আত-তাওবাহ, ৯:১০৩)
এবং তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক আছে। (আয-যারিয়াত, ৫১:১৯)
তবে দান করতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অন্য কোনো। উদ্দেশ্যে দান করলে তা আল্লাহর কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, যারা বিশ্বাস করেছ! তোমরা খোঁটা এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান সাদাকাকে বরবাদ করে দিয়ো না। (আল বাকারা, ২:২৬৪)
পরশ্রীকাতরতা সম্পদের লোভকে আরও তীব্র করে। তাই আল্লাহ অন্যদের যা দিয়েছেন তার প্রতি লোভ করতে আমাদের তিনি নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, “আর আল্লাহ তা'আলা যে সব বিষয়ে তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তোমরা তা কামনা করো না।” (আন-নিসা, ৪:৩২)
নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই মহান উপদেশের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, “তোমার চেয়ে যারা কম সৌভাগ্যবান তাদের দিকে তাকাও, তোমার উপরে যারা আছে তাদের দিকে তাকিও না। আল্লাহ তোমাকে যেসব নিয়ামত দিয়েছেন তার প্রতি যদি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না চাও, তবে এটাই তোমার জন্য উত্তম।” (বুখারী, মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে আরও বর্ণিত আছে যে নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “প্রাচুর্যতা সম্পদ নিয়ে নয় বরং আত্মতৃপ্তি দিয়ে মাপা হয়।” (বুখারী)
আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর শান্তি পায়। (আর-রা'দ, ১৩:২৮)
– স্রষ্টা ধর্ম জীবন, লেখক: শাইখ ড. বিলাল ফিলিপস, শারঈ সম্পাদক: শাইখ ড. মানজুরে ইলাহী, সিয়ান পাবলিকেশন
Last edited: