সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
S

পারিবারিক ফিকাহ স্বামী যদি স্ত্রীকে তার ভাই-বোন, খালা, খালাতো বোন ইত্যাদি রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেয় তাহলে কি তা মানা আবশ্যক?

shipa

Inquisitive

Q&A Master
Salafi User
Threads
347
Comments
400
Reactions
1,810
Credits
2,120
প্রশ্ন: স্বামী যদি পারিবারিক কলহ বা মনোমালিন্যের কারণে স্ত্রীকে তার ভাই-বোন, খালা-খালাতো বোন ইত্যাদি রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের বাড়ি যেতে এবং সম্পর্কচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেয় তাহলে স্ত্রীর জন্য তা পালন করা জরুরি কি?

উত্তর: রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা হারাম। কেননা, প্রখ্যাত সাহাবী জুবাইর ইবনে মুতয়িম রা. হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لا يَدْخُلُ الجَنَّةَ قَاطِعٌ، قَالَ سفيان في روايته: يَعْني: قاطِع رحِم. متفقٌ عَلَيه

“সম্পর্কচ্ছেদ কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” সুফিয়ান বলেন, অন্য বর্ণনায় আছে: রক্ত সম্পর্কচ্ছেদ কারী (জান্নাতে প্রবেশ করবে না।) (বুখারী ও মুসলিম)
সুতরাং স্বামীর জন্য এ ধরণের হারাম কাজের নির্দেশ প্রদান করা হারাম আর যদি সে নিষেধ করেও থাকে তবে স্ত্রীর জন্য তা পালন করা বৈধ নয়। কেননা, ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর অবাধ্যতা করে তার সৃষ্টির আনুগত্য করা অবৈধ।

জ্ঞাতব্য যে, স্ত্রী যদি মনে মনে তাদেরকে ভালোবাসে, তাদের কল্যাণ কামনা করে এবং কখনও সুযোগ হলে বাড়ির বাইরে তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে, কথাবার্তা বলে বা মাঝে-মধ্যে ফোন কল-মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে তাহলে তা ‘আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ’ হিসেবে গণ্য হবে না-যদিও স্বামীর নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া না হয়।

উল্লেখ্য যে, স্বামী যেহেতু তাদের বাড়ি যেতে নিষেধ করেছে সেহেতু দাম্পত্য জীবনের বৃহত্তর স্বার্থে সে বোনের জন্য স্বামীর কথা অমান্য করে তাদের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া ঠিক হবে না-যতদিন না তাদের মাঝে সুসম্পর্ক ফিরে আসে এবং প্রকাশ্যে স্বামীর কথার লঙ্ঘন করে সে সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগও করবে না বরং একটু কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করবে এবং আল্লাহর নিকট দুআ করবে, তিনি যেন তাদের মাঝে ভালোবাসা ও সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে দেন।

দুআ করি, মহান আল্লাহ যেন পারিবারিক মনোমালিন্য ও সমস্যা দূরভীত করে পুনরায় তাদের মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে দেন। আমীন

উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
 
Top