সূর্য ডোবার পর কোন মুসাফির বিমান বন্দরে ইফতার করার পর প্লেনে চড়ে আকাশে উঠে যদি সূর্য দেখে, তাহলে তার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং পুনরায় রোযায় থাকার নিয়ত করা জরুরী নয়। কারণ, সে তার রোযার পূর্ণ একটি দিন অতিবাহিত করে ফেলেছে। অতএব ইবাদত করার উদ্দেশ্যে তা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় শুরু করার কোন পথ নেই। আর তাকে ঐ দিন কাযাও করতে হবে না। কেননা, তার রোযা শুদ্ধ হয়ে গেছে।
পক্ষান্তরে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে প্লেনে উড়ে পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করলে এবং মুসাফির ঐ দিনের রোযা পূর্ণ করতে চাইলে সে নিজের দেশের সময় অনুযায়ী ইফতার করতে পারবে না। বরং শূন্যে থাকা অবস্থায় যতক্ষণ না সূর্য অস্তমিত হতে দেখবে, ততক্ষণ সে রোযায় থাকতে বাধ্য; যদিও তাতে দিন অনেক লম্বা হবে।
অনুরূপ ইফতার করার জন্য আকাশের যে লেভেলে এসে সূর্য দেখা যায় না সে লেভেলে প্লেনে নামিয়ে আনা পাইলটের জন্য বৈধ নয়। কারণ, তা এক প্রকার ছল-বাহানা। অবশ্য যদি উড্ডয়নের কোন স্বার্থে বিমান নিচের লেভেলে নামাতে হয় এবং সেখানে এসে সূর্য অদৃশ্য হয়, তাহলে ইফতার করা যাবে।[1]
[1] মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৪/১২৫, ১৬/১৩০, ৩০/১২৩, সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ১৯নং
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী