সূর্য ডুবে গেছে মনে করে রোযাদার ইফতার করে নেওয়ার পর যদি জানা যায় যে, সূর্য এখনও ডুবে নি, তাহলে সঠিক মতে তার রোযা শুদ্ধ; তাকে কাযা করতে হবে না। কারণ, সে না জেনেই ইফতার করে ফেলেছে। আর অবস্থা (সময়) না জেনে রোযা নষ্টকারী জিনিস ব্যবহার করলে তার এ (না জানার) ওযর গ্রহণযোগ্য। তা ছাড়া আসমা বিন্তে আবী বাক্র (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে একদা আমরা মেঘলা দিনে ইফতার করলাম। তারপর সূর্য দেখা গেল।’[1] সুতরাং তাঁরা সূর্য ডুবে গেছে মনে করেই দিনের বেলায় ইফতার করেছিলেন। অতএব অবস্থা বা সময় তাঁদের অজানা ছিল; শরয়ী নির্দেশ নয়। তাঁদের ধারণায় ছিল না যে, সে সময়টা দিনের বেলা। আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁদেরকে সে দিনকে কাযা করতেও আদেশ দেননি। পক্ষান্তরে (উক্ত অবস্থায়) কাযা ওয়াজেব হলে তা শরীয়তরূপে পরিগণিত এবং তার বর্ণনা আজ পর্যন্ত সুরক্ষিত হত। অতএব তা যখন সুরক্ষিত নেই এবং সে ব্যাপারে কোন নির্দেশ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বর্ণিত নেই, তখন মৌলিক অবস্থা হল, দায়িত্বমুক্ত হওয়া এবং কাযা না করা।[2]
[1] (বুখারী ১৯৫৯, আবূ দাঊদ ২৩৫৯, ইবনে মাজাহ ১৬৭৪নং)
[2] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪০২-৪০৩, ৪১০-৪১১)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী