If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
শাইখ রাবি [হাফিযাহুল্লাহ] লিখেছেন:
“নিশ্চয়ই সুন্নাহর উপর দৃঢ়তার অর্থ সার্বিকভাবে ইসলামের উপরেই দৃঢ়তা। অর্থাৎ এর উসূল (মূলনীতিসমূহ), ফুরু’উ (শাখাপ্রশাখা), আকীদাহ (বিশ্বাস) এবং মানহাজের (কর্মপদ্ধতির) উপর দৃঢ় থাকা। আমরা অবশ্যই এতে দৃঢ়তা অবলম্বন করব ও আল্লাহর সাথে দেখা হওয়া পর্যন্ত একে শক্ত করে আঁকড়ে ধরব।
নিঃসন্দেহে [আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের] ইত্তিবাহ (অনুসরণ), ইলতিযাম (সংশ্লিষ্টতা), ই’তিসাম (আঁকড়ে ধরা) ও ইস্তিকামাহর (দৃঢ়তা) বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আয়াতের সংখ্যা অসংখ্য। একই কথা হাদীসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এ সকল কিছুই মূলত একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকেই ইঙ্গিত করে আর তা হলো, মুসলিমদের ইসলামের উপর দৃঢ় থাকা।
আর যদি সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার বিষয়ে বলা হয়, তাহলে সেটি তা নয় যা অধিকাংশ মানুষ ‘সুন্নাত’ সম্পর্কে ধারণা করে। বরং সুন্নাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে আকীদাহ ও মানহাজ। অর্থাৎ ইসলাম তথা ইসলামের উপর সুদৃঢ় হওয়া।
এই দৃঢ়তা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর তাওফীক হতেই। তাওফীক একমাত্র তাঁর হাতেই। হিদায়াত তাঁর হাতেই। পথভ্রষ্টতাও তাঁর হাতে। তিনি যাকে ইচ্ছা পথপ্রদর্শন করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। তিনি যাকে চান তার অন্তরকে সুদৃঢ় রাখেন এবং যাকে চান তাঁর অন্তরকে বিপথগামী করে দেন।
আর এজন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের তাঁর নিকট দুআ করতে বলেছেন যেন আমাদের অন্তর বিপথগামী হয়ে না যায়।
আর সাহাবায়ে কিরাম (রা.) বলতেন, “আল্লাহর কসম! তিনি না হলে আমরা পথপ্রাপ্ত হতাম না। আমরা দানখয়রাত করতাম না। না করতাম আমরা ইবাদাত।”। অর্থাৎ, তারা (সাহাবায়ে কিরাম) জানতে ও বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই হিদায়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রহমত ও নিয়ামত; তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের তিনি বেছে নিয়েছেন তাদের প্রতি তাঁর রহমত।
তিনি যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর হিদায়াত হতে যাকে ইচ্ছা সুন্দর সব গুণ প্রদান করেন। তিনি তাদের কল্যাণ করেন। তাওফীক দেন। অনুগ্রহপূর্বক তাদের বিপথগামিতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে হিফাজত করেন।
“তিনি (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন” বলতে কুফর, ইসলাম পরিত্যাগ ইত্যাদি পরিপূর্ণ ভ্রষ্টতাকে যেমন বোঝানো হয়েছে; আমরা এসব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই; তেমনি আংশিক ভ্রষ্টতাও বোঝানো হয়েছে যার অর্থ কেউ ইসলামের গণ্ডির ভেতরে প্রবেশ করে, অতঃপর তার আকীদাহ এবং মানহাজের ক্ষেত্রে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়; আমরা এ থেকেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।”
[1] সূরা আলে ইমরান ৩:৮।
[2] সূরা আলে ইমরান ৩:৭৪।
“নিশ্চয়ই সুন্নাহর উপর দৃঢ়তার অর্থ সার্বিকভাবে ইসলামের উপরেই দৃঢ়তা। অর্থাৎ এর উসূল (মূলনীতিসমূহ), ফুরু’উ (শাখাপ্রশাখা), আকীদাহ (বিশ্বাস) এবং মানহাজের (কর্মপদ্ধতির) উপর দৃঢ় থাকা। আমরা অবশ্যই এতে দৃঢ়তা অবলম্বন করব ও আল্লাহর সাথে দেখা হওয়া পর্যন্ত একে শক্ত করে আঁকড়ে ধরব।
নিঃসন্দেহে [আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের] ইত্তিবাহ (অনুসরণ), ইলতিযাম (সংশ্লিষ্টতা), ই’তিসাম (আঁকড়ে ধরা) ও ইস্তিকামাহর (দৃঢ়তা) বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত আয়াতের সংখ্যা অসংখ্য। একই কথা হাদীসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এ সকল কিছুই মূলত একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকেই ইঙ্গিত করে আর তা হলো, মুসলিমদের ইসলামের উপর দৃঢ় থাকা।
আর যদি সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার বিষয়ে বলা হয়, তাহলে সেটি তা নয় যা অধিকাংশ মানুষ ‘সুন্নাত’ সম্পর্কে ধারণা করে। বরং সুন্নাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে আকীদাহ ও মানহাজ। অর্থাৎ ইসলাম তথা ইসলামের উপর সুদৃঢ় হওয়া।
এই দৃঢ়তা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর তাওফীক হতেই। তাওফীক একমাত্র তাঁর হাতেই। হিদায়াত তাঁর হাতেই। পথভ্রষ্টতাও তাঁর হাতে। তিনি যাকে ইচ্ছা পথপ্রদর্শন করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। তিনি যাকে চান তার অন্তরকে সুদৃঢ় রাখেন এবং যাকে চান তাঁর অন্তরকে বিপথগামী করে দেন।
আর এজন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের তাঁর নিকট দুআ করতে বলেছেন যেন আমাদের অন্তর বিপথগামী হয়ে না যায়।
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
(তারা বলে): “হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিও না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান করো। নিশ্চয় তুমি মহাদাতা।”[1]আর সাহাবায়ে কিরাম (রা.) বলতেন, “আল্লাহর কসম! তিনি না হলে আমরা পথপ্রাপ্ত হতাম না। আমরা দানখয়রাত করতাম না। না করতাম আমরা ইবাদাত।”। অর্থাৎ, তারা (সাহাবায়ে কিরাম) জানতে ও বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই হিদায়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রহমত ও নিয়ামত; তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের তিনি বেছে নিয়েছেন তাদের প্রতি তাঁর রহমত।
يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ
“যাকে ইচ্ছা তিনি নিজ করুণা দ্বারা নির্বাচিত করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।”[2]তিনি যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন এবং তাঁর হিদায়াত হতে যাকে ইচ্ছা সুন্দর সব গুণ প্রদান করেন। তিনি তাদের কল্যাণ করেন। তাওফীক দেন। অনুগ্রহপূর্বক তাদের বিপথগামিতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে হিফাজত করেন।
“তিনি (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন” বলতে কুফর, ইসলাম পরিত্যাগ ইত্যাদি পরিপূর্ণ ভ্রষ্টতাকে যেমন বোঝানো হয়েছে; আমরা এসব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই; তেমনি আংশিক ভ্রষ্টতাও বোঝানো হয়েছে যার অর্থ কেউ ইসলামের গণ্ডির ভেতরে প্রবেশ করে, অতঃপর তার আকীদাহ এবং মানহাজের ক্ষেত্রে পথভ্রষ্ট হয়ে যায়; আমরা এ থেকেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।”
- একগুচ্ছ উপদেশ
মূল: শাইখ ড. রাবি আল মাদখালি
অনুবাদ: নাঈম রহমান
মূল: শাইখ ড. রাবি আল মাদখালি
অনুবাদ: নাঈম রহমান
[1] সূরা আলে ইমরান ৩:৮।
[2] সূরা আলে ইমরান ৩:৭৪।