‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ভ্রান্তি নিরসন সালাফীদের দাওয়াতী কার্যক্রম চেয়ারে বসে কিছু লেকচারের মাঝেই কি সীমাবদ্ধ?

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
690
Comments
1,222
Solutions
17
Reactions
7,058
Credits
5,691
বেশির ভাগ ইসলামী দল সালাফীদের ব্যাপারে অভিযোগ করে যে, তোমরা তো শুধু চেয়ারেই বসে লেকচার দাও। তোমরা পানির ওপরে ভেসে থাকা খড়কুটার মতো। তারা মূলত সংগঠন ও সভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে এসব বলে থাকে। তাদের ব্যাপারে আপনার মত কী?

জবাব: হ্যাঁ, আমাদের কোনো সংগঠন নেই, এ কথা সঠিক। এটাই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তাদের তো সংগঠন রয়েছে কিন্তু তারা কী করেছে? তাদের জন্য একথা বলাই যথেষ্ট যে, এই আমাদের অবদান। এ অবদান আমাদেরকে বোঝার জন্য যথেষ্ট। আমাদের ছাড়া অন্যদের অবদানের দিকে তাকাও। আমাদের সালাফী দাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্ব আন্দোলিত হয়েছে ও জেগে উঠেছে। এটি এমন এক বাস্তবতা যে, এসব লোক যারা আমাদেরকে বিভিন্ন অপবাদ দেয় এবং আমাদের বিভিন্ন নাম দেয়, তারাও তাদের মাঝে সালাফী দাওয়াতের প্রভাব অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু তারা কী করেছে? তারা ফিতনা ছড়িয়েছে এবং কোনোরকমের উপকার ও অবদান রাখা ছাড়াই রক্ত প্রবাহিত করেছে। তাদের অবস্থা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর মতো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে কেবল কুচকাওয়াজ করা। এর বিপরীতে আলহামদুলিল্লাহ, সালাফী দাওয়াত ইসলামী বিশ্বকে সঠিক ইসলামের দিকে যাওয়ার জন্য জাগ্রত করেছে এবং ইসলামী বিশ্বের মাঝে এ অনুভূতি জাগিয়ে দিয়েছে যে, ব্যক্তি, পরিবার থেকে শুরু করে সর্বত্র সংশোধনের জন্য সঠিক ইসলামের দিকে ফিরে যাওয়া ওয়াজিব।

কার্যত আমাদের কোনো দল ও সংঘ নেই। প্রত্যেক দাওয়াতী কার্যক্রম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দ্বারা শুরু করতে হয়। তাই দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করতে হবে আকীদার মাধ্যমে, তাওহীদের মাধ্যমে এবং ইবাদত ও আচার-আচরণ সংশোধনের মাধ্যমে। সেসব দল ও সংঘ নিজেদের আকীদা ও তাওহীদ সংশোধনের জন্য কী উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অবদান রেখেছে?

আমরা আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা, পর্যালোচনা ও বিতর্কের আলোকে বলছি। আমরা যখন তাদের কাউকে এমন প্রশ্ন করি, যার উত্তর নবীযুগের নগ্নপদ রাখালেরাও জানতো, তখন তারা হয়রান-পেরেশান হয়ে যায়। অথচ তারা না কি অধ্যাপক, ডক্টর, মুরশিদ ও দলের আমীর। তাহলে এসব দল ও সংঘ থেকে তারা কী উপকার পেয়েছে, যারা এখন পর্যন্ত তাওহীদ বুঝেনি। এ কারণে আমরা তাদের এসব কথার কারণে কষ্ট পাই না এবং আফসোস করি না। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,

قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ​

বলুন, এটাই আমার পথ। আমি জেনেবুঝে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকি―আমি ও আমার অনুসারীরা। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।[1]

আজ এক মসজিদে মাগরিবের সালাত পড়লাম। মসজিদের নাম ‘মসজিদ আবদুল্লাহ ইবন উমার’। দেখলাম, আবূ আম্মার নামক এক মিশরী উক্ত মসজিদের ইমামের খবরদারি করছে। কারণ কী? ইমাম বলেছেন, মিশরে যেসব মাযার ও পাকা কবর রয়েছে, তা শরীআতসম্মত নয়। এ কারণে সে তার সাথে প্রতিদিন ঝগড়া করে অথচ সে তার পেছনে প্রতিদিন সালাত পড়ে। মিশরের প্রতিটি শহরের এক কদম এক বিঘত পরপর যেসব শিরক ও মূর্তিপূজার মহড়া রয়েছে, তার ব্যাপারে মিশরের ‘ইখওয়ানুল মুসলিম’ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? অন্তরের মাঝে আবেগ সৃষ্টি করে এমন আবেগী ডাকহাঁক ছাড়া আর কিছুই করেনি। ডাকহাঁকের পর একদম চুপ হয়ে গিয়েছে আর কিছুই করেনি।[2]

মানহাজুস সালাফ
ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহি.)
অনুবাদ: উস্তায আবদুল্লাহ মাহমুদ।​

[1] সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০৮
[2] তুরাসুল আলবানী ফিল মানহাজ, ২/৩০২-৩০৩
 

Share this page