সালাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো
নারীর যদি সতরের কোনো অংশ প্রকাশ পেয়ে যায়, যেমন কিছু চুল অথবা নলা বা বাহুর কিছু অংশ, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। এ কারণে তাকে পাকড়াও করা হবে না, ইনশাআল্লাহ। তবে তা হতে হবে অনিচ্ছাকৃতভাবে, না জানার কারণে। এর প্রমাণ হচ্ছে সালামা আল-জুরমী (রা)-এর হাদীস। তিনি বলেন,
আমি ছয় কিংবা সাত বছর বয়সে ইমামতি করতাম। আমার একটি চাদর ছিল। যখন আমি সাজদায় যেতাম তখন চাদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে ওপরের দিকে উঠে যেত। তখন গোত্রের জনৈকা মহিলা বলল, ‘তোমরা আমাদের দৃষ্টি থেকে তোমাদের কারীর নিতম্ব আবৃত করে দাও না কেন?’ তারা কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিলো। এ জামা পেয়ে আমি এত খুশি হয়েছিলাম যে, আর কিছুতে এত খুশি হইনি।
1
এটাই হলো ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল (রাহি)-এর মত; যেমনটি মাসায়িল আবদুল্লাহ (২২৫) গ্রন্থে রয়েছে।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া (রাহি) বলেন, ‘সালাতাবস্থায় যদি কোনো মহিলার সামান্য চুল বা শরীরের কিছু অংশ অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পেয়ে যায়, তাহলে তাকে পুনরায় সালাত আদায় করতে হবে না। এটিই ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল-সহ অধিকাংশ আলিমের মত। কিন্তু যদি অনেক বেশি প্রকাশ পেয়ে যায়, তাহলে ওয়াক্ত শেষ না-হলে তাকে সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। এটাই চার ইমাম-সহ অন্যান্যদের
মত।’
2
1. সহীহুল বুখারী, ৪৩০২
2. মাজমূউল ফাতাওয়া, ২২/১২৩