কোনো কোনো ভাইকে দেখা যায় তারা আকীদার ক্ষেত্রেও সহজিয়া হওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হচ্ছে আকাবিরগণের অনুসরণ ও সহীহ আকীদার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা। সবাই সঠিক পথে আছে বা ছিল এটা ঠিক রাখার জন্য আকীদাকে ইজতিহাদী বিষয় বানানোর মধ্যে সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। কেউ কেউ বলেই ফেলেন, ফিকহি মাযহাবের মত আকীদায় তিনটি মাযহাব !
তাই এ বিষয়ে সহীহ আকীদার কয়েকটি নীতি বর্ণনা করা জরুরি মনে করছি:
- আকীদাকে ইজতিহাদীবিষয় বানানো যাবে না। আকীদা কুরআন ও সুন্নাহ নির্ভর। এর তাফসীরও সাহাবায়ে কিরামের বক্তব্য নির্ভর।
- সহীহ আকীদার লোকেরা নবীগণ ব্যতীত অপর কাউকে ভুলের ঊর্ধ্বে মনে করে না।
- বাইহাক্বী কিংবা ইবন হাজার বা নাওয়াওয়ীসহ যারা চলে গেছেন তাদের কোনো কোনো ভুল মতের কারণে তাদের বিশুদ্ধ ইলম নেওয়া হবে না এমন কথা সহীহ আকীদার লোকেরা বলে না।
- সাহাবায়ে কিরামের পরে যারাই ভুল করেছেন, তাদের ভুলগুলোকে ভুল বলা জরুরি; নাহলে দুটো সমস্যা হবে:
- উম্মত কখনো সঠিক পথে ফিরে আসবে না।
- তাদের ভুলগুলো ঠিক করা হবে না, বরং সেগুলোর অন্ধ মুক্বাল্লিদ বের হবে এবং আরেকটি ফেরকার উদ্ভব হবে।
- সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে আকীদার ক্ষেত্রে মতভেদ ছিল, এভাবে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আকীদার স্বল্প কয়েকটি বিষয়ে তা দেখবেন কিন্তু তা দু অবস্থার বাইরে নয়:
- আকীদার কোনো শাখা মাসআলা, যাতে দুজন দু দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কথা বলেছেন।
- কুরআনের কোনো আয়াতের তাফসীর; যাতে দুটো অর্থ হওয়া সম্ভব। ভিন্নধর্মী, কিন্তু পরস্পর বিরোধী নয়। তাছাড়া আকীদার ক্ষেত্রে এটাকে ব্যাপক ছিল বলার কোনো সুযোগ নেই।
শাইখ ড.আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া।