If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
১. ফানা ফিল্লাহ তথা ভালোবাসার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছুলে আল্লাহ ও তাঁর বান্দা একাকার হয়ে যায়, এমন মনে করা।
২. তাসাওউরুশ-শাইখ তথা নিজ পীরের অনুপস্থিতিতে তাঁর উপস্থিতির কথা ধ্যান করলে আল্লাহকে পাওয়া যায়, এমন মনে করা।
৩. ওয়াহদাতুল-ওজূদ বা ইত্তিহাদ তথা সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সৃষ্টিকে দু’টি সত্তা মনে না করে বরং উভয়টিকে একই সত্তা বলে মনে করা।
৪. হুলূল তথা আল্লাহ তাঁর কোন খাঁটি বান্দাহর মাঝে কখনো কখনো ঢুকে পড়েন, এমন মনে করা।
৫. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর জাতী বা সিফাতী নূর দিয়ে ক্সতরি এমন মনে করা।
৬. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হাযির-নাযির তথা তিনি যে কোন জায়গায় উপস্থিত হতে পারেন ও যে কোন বস্তু তিনি দেখতে পান, এমন মনে করা।
৭. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সৃষ্টি না করা হলে অন্য কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না, এমন মনে করা।
৮. কোন পীর তাঁর মুরীদদের সকল অবস্থা ও মনের কথা বলে দিতে পারেন, এমন মনে করা।
৯. কোন পীর সাহেবকে কুন-ফাইয়াকূন সর্বস্ব তথা তিনি কোন বস্তুকে হও বললে তা হয়ে যায় এমন বলে মনে করা।
১০. কোন পীর সাহেবকে কামিল তথা নিজে পরিপূর্ণ এবং মুকাম্মিল তথা অপরকেও তিনি পরিপূর্ণ করতে পারেন, এমন বলে মনে করা।
১১. নবী-রাসূল ও ওলীদেরকে অমর বলে মনে করা। যেমন: খাযির (আলাইহিস-সালাম) কে এখনো জীবিত বলে ধারণা করা।
১২. দূর-দূরান্ত থেকে পীর সাহেবকে ডাকলে তিনি তাঁর মুরীদদেরকে গায়েবী মদদ করে থাকেন, এমন মনে করা।
১৩. মাজারের কুমির ও কচ্চপ একদা আল্লাহর ওলী ছিলো; পরে তা এরূপে পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং সেগুলো মানুষের ভালো-মন্দ করতে পারে, এমন মনে করা।
১৪. অমুক পাথর ও গাছ কারো ভালো-মন্দ করতে পারে, এমন মনে করা।
১৫. আব্দুল কাদের জিলানী মৃতকে জীবিত করতে পারতেন, এমন মনে করা।
১৬. ওলীরা যেখানে থাকেন সেখানে কোন প্রকার মহামারী নাযিল হয় না, এমন মনে করা।
১৭. অমুক ওলীর উরসের দিন বৃষ্টি হবে বলে মনে করা।
১৮. লক্ষ্মী পূজার দিন বৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা।
১৯. মা-দূর্গা গজে চড়ে আসলে ভালো ফলন হয়, এমন মনে করা।
২০. বিবাহের জোড়া বা প্রাথমিক সম্পর্কে পরিহিত আংটি স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা বাড়ায়, এমন মনে করা।
২১. বিবাহের সময় স্ত্রীর নাকে পরানো নাক ফুল খুলে ফেললে স্বামী মারা যায়, এমন মনে করা।
২২. সন্ধ্যার পর কাউকে কিছু দিলে বা ঘর ঝাড়– দিয়ে ময়লা বাইরে ফেললে লক্ষ্মী চলে যায় বলে মনে করা।
২৩. অমাবস্যার রাতের মিলনে বাচ্চা হলে সেটি কানা, খোঁড়া ও প্রতিবন্ধী হবে বলে মনে করা।
২৪. মাজারের নিকট কার-বাস না থামালে কিংবা সেখানে চাঁদা না দিলে দুর্ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা।
২৫. অমুক পীরের কারণেই আকাশ থেকে বৃষ্টি এবং জমিন থেকে উদ্ভিদ বেরিয়েছে এমন বলা।
২৬. অমুক পীরের কারণেই আজ আমার এতো ধন-সম্পদ, এমন কথা বলা।
২৭. অমুক পীরের কারণেই আজ আমার এতো মর্যাদা ও সুখ্যাতি, এমন কথা বলা।
২৮. কাউকে কোন সংবাদ দিলে এমন বলা যে, আমি আগে থেকেই এটি জানতাম। যেমন: আমি আগে থেকেই জানতাম তার ছেলে হবে।
২৯. ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাসূল! অথবা ইয়া আল্লাহ! ইয়া মুহাম্মাদ! ইত্যাদি বলা।
৩০. ইয়া আলী! ইয়া গাউসুল আযম! ইয়া জিলানী! ইত্যাদি বলা।
৩১. খাজারে তোর দরবারে, কেউ ফিরে না খালি হাতে, এমন কথা বলা।
৩২. আব্দুল কাদের জিলানী মদদ বা আগিসনী বলা।
৩৩. কোন পীরকে গরিবে নেওয়াজ, মুশকিল কুশা বা গাঞ্জে বাখশ বলা।
৩৪. উপরে আল্লাহ এবং নিচে তুমি এমন কথা বলা।
৩৫. তোমার উপর ভরসা করেই কাজে নামলাম, এমন কথা কাউকে বলা।
৩৬. আনাল-হক বা আমিই আল্লাহ কিংবা জানি না, কে আল্লাহ কে বান্দাহ! এমন কথা বলা।
৩৭. বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা উরসে কিংবা জুমার দিনে বিতরণকৃত হালুয়া, মিষ্টি, বিস্কুট বা খানাপিনা ইত্যাদিকে তাবারক বলা।
৩৮. আল্লাহ যে নাম নিজের জন্য চয়ন করেননি সে নামে তাঁকে ডাকা। যেমন: হে খোদা!
৩৯. তাকদীরকে মন্দ বলা; বরং মন্দ হলো তাকদীরের পরিণতি; মূল তাকদীর নয়।
৪০. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীকে তাঁর সৃষ্টির নাম ও গুণাবলীর মতো মনে করা।
৪১. আল্লাহর দ্বীনকে গালি দেয়া।
৪২. রাসূলের পক্ষে অসাধ্য বিষয়ে তাঁর সাহায্য চাওয়া।
৪৩. বিপদে পড়ে আল্লাহর উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা।
৪৪. আল্লাহকে নিরাকার বলে বিশ্বাস করা। অথচ কুরআন ও সহীহ হাদীসে আল্লাহর মুখমন্ডল, হাত, পা, আঙ্গুল ও চোখের কথা উল্লিখিত হয়েছে। যেগুলো
কোন ধরনের আকৃতি ও তুলনা বিহীনভাবে তাঁর জন্য স্বীয় আকৃতিতেই প্রমাণিত।
৪৫. আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা ও তাঁর হুকুম বা ফায়সালার সমালোচনা করা।
৪৬. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে খাতামুন্নাবিয়্যীন বা শেষ নবী মনে না করা।
৪৭. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর অপব্যখ্যা করা। যেমন: তাঁর হাতকে তাঁর কুদরত দিয়ে ব্যাখ্যা করা।
৪৮. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দুনিয়ার জীবনের ন্যায় জীবিত মনে করা। অথচ পবিত্র কুরআনে তাঁকে মরণশীল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে; বরং তিনি বারযাখী জীবনে জীবিত। যা দুনিয়া ও কিয়ামতের মধ্যবর্তী জীবন; দুনিয়ার জীবন নয়।
৪৯. কুরআন ও হাদীস তথা দ্বীনি শিক্ষাকে অবহেলা ও ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৫০. তাকদীরের ভালো-মন্দের উপর সঠিক ও যথাযথভাবে বিশ্বাস না করা।
৫১. নবী ও ওলীর সম্মানে বাড়াবাড়ি করা ও তাদেরকে উসীলা হিসেবে গ্রহণ করা।
৫২. মৃত ব্যক্তির জন্য কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা।
৫৩. মৃত ওলী ও বুযুর্গদেরকে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতাধর বলে মনে করা।
৫৪. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত নীতি গ্রহণ না করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সেগুলো হক মনে করা।
৫৫. কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ করা। অথচ আল্লাহ মানুষের উপর কেবল তাঁর ওহীর অনুসরণকেই বাধ্যতামূলক করেছেন। তাই ওহীর ভিত্তিতেই কেবল কারো অনুসরণ হতে পারে।
৫৬. হকের বিপরীতে অধিকাংশ মানুষ, পূর্বপুরুষ ও বড় বড় লোকের দোহাই দেয়া।
৫৭. হক প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তি পূজায় গোঁড়ামি করা।
৫৮. গোঁড়ামিবশত: হকপন্থীদেরকে নানাভাবে কটাক্ষ করা, অপবাদ দেয়া ও তাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৫৯. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ বা কিছুর সামনে সাজদাহ বা মাথাবনত করা। যেমন: কদমবুচি ইত্যাদি।
৬০. ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন না করে এককভাবে শুধু সাধারণ জ্ঞানার্জন করা।
৬১. হকপন্থী আলিম-উলামা ও ইমামদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৬২. আল্লাহর সিফাতসমূহে শির্ক করা। যেমন: আল্লাহর ন্যায় অন্য কাউকে পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু, রিযিকদাতা ও বিধানদাতা মনে করা।
৬৩. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হিদায়েত, শাফাআত ও মুক্তি কামনা করা।
৬৪. পীর-ফকীর ও কবিরাজের শয়তানি তেলেসমাতি ও কারসাজিকে ওলীর কারামত বলে মনে করা।
৬৫. আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করা।
৬৬. মুসলিমদের সাথে ক্সবরিতা ও কাফিরদের সাথে আন্তরিকতা রাখা।
৬৭. ইসলামের নামে না জেনে কথা বলা ও তর্ক করা এবং বিনা দলীলে নিজের মন মতো হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়া।
৬৮. জেনে-বুঝে ব্যক্তি ও দুনিয়ার স্বার্থে হককে গোপন করা।
৬৯. আল্লাহ, রাসূল ও শরীয়তের কোন ব্যাপার নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৭০. যাদুকর, জ্যোতিষী ও গণকের কথা বিশ্বাস করা।
৭১. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে বিপদাপদ থেকে উদ্ধারকারী ও প্রয়োজন পূরণকারী মনে করা।
৭২. কবর পাকা করা ও তাতে তাওয়াফ করা এবং কবর কেন্দ্রিক মসজিদ বানানো ও সেখানে নামায আদায় করা।
৭৩. কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে পীর ধরা ও তার অনুসরণ করা।
৭৪. নবী, ওলী ও পীর-বুযুর্গদের জন্য যে কোন ইবাদাত করা।
৭৫. কোন জিন, ওলী ও পীর-ফকিরের নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য প্রার্থনাকরা, তার উপর ভরসা ও তার উদ্দেশ্যে মানত ও জবাই করা।
৭৬. কোন নবী-রাসূল ও পীর-বুযুর্গের মর্যাদার ওসীলা ধরা।
৭৭. কোন মৃত ওলী-বুযুর্গ কারো লাভ বা ক্ষতি করতে পারে এমন মনেকরা।
৭৮. কোন ওলী-বুযুর্গের কবরে ই’তিকাফ বসা।
৭৯. কবরের আযাব ও তার নিয়ামতকে অস্বীকার করা।
৮০. জান্নাত ও জাহান্নাম একদা নিঃশেষ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করা।
৮১. কোন মুসলিম অন্য মুসলিমকে নির্দিষ্টভাবে কাফির বলা।
৮২. কোন মৃত সম্পর্কে বলা: সে তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছে গেলো।
৮৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই এমন বলা; বরং আসল অর্থ হলো আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই।
৮৪. কুরআন ও হাদীসের অনুসারীদেরকে জঙ্গিবাদী বলে আখ্যায়িত করা।
৮৫. কথায় ও কাজে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য বজায় রাখা ও তাদেরকে ভালোবাসা।
২. তাসাওউরুশ-শাইখ তথা নিজ পীরের অনুপস্থিতিতে তাঁর উপস্থিতির কথা ধ্যান করলে আল্লাহকে পাওয়া যায়, এমন মনে করা।
৩. ওয়াহদাতুল-ওজূদ বা ইত্তিহাদ তথা সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সৃষ্টিকে দু’টি সত্তা মনে না করে বরং উভয়টিকে একই সত্তা বলে মনে করা।
৪. হুলূল তথা আল্লাহ তাঁর কোন খাঁটি বান্দাহর মাঝে কখনো কখনো ঢুকে পড়েন, এমন মনে করা।
৫. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর জাতী বা সিফাতী নূর দিয়ে ক্সতরি এমন মনে করা।
৬. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হাযির-নাযির তথা তিনি যে কোন জায়গায় উপস্থিত হতে পারেন ও যে কোন বস্তু তিনি দেখতে পান, এমন মনে করা।
৭. আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সৃষ্টি না করা হলে অন্য কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না, এমন মনে করা।
৮. কোন পীর তাঁর মুরীদদের সকল অবস্থা ও মনের কথা বলে দিতে পারেন, এমন মনে করা।
৯. কোন পীর সাহেবকে কুন-ফাইয়াকূন সর্বস্ব তথা তিনি কোন বস্তুকে হও বললে তা হয়ে যায় এমন বলে মনে করা।
১০. কোন পীর সাহেবকে কামিল তথা নিজে পরিপূর্ণ এবং মুকাম্মিল তথা অপরকেও তিনি পরিপূর্ণ করতে পারেন, এমন বলে মনে করা।
১১. নবী-রাসূল ও ওলীদেরকে অমর বলে মনে করা। যেমন: খাযির (আলাইহিস-সালাম) কে এখনো জীবিত বলে ধারণা করা।
১২. দূর-দূরান্ত থেকে পীর সাহেবকে ডাকলে তিনি তাঁর মুরীদদেরকে গায়েবী মদদ করে থাকেন, এমন মনে করা।
১৩. মাজারের কুমির ও কচ্চপ একদা আল্লাহর ওলী ছিলো; পরে তা এরূপে পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং সেগুলো মানুষের ভালো-মন্দ করতে পারে, এমন মনে করা।
১৪. অমুক পাথর ও গাছ কারো ভালো-মন্দ করতে পারে, এমন মনে করা।
১৫. আব্দুল কাদের জিলানী মৃতকে জীবিত করতে পারতেন, এমন মনে করা।
১৬. ওলীরা যেখানে থাকেন সেখানে কোন প্রকার মহামারী নাযিল হয় না, এমন মনে করা।
১৭. অমুক ওলীর উরসের দিন বৃষ্টি হবে বলে মনে করা।
১৮. লক্ষ্মী পূজার দিন বৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা।
১৯. মা-দূর্গা গজে চড়ে আসলে ভালো ফলন হয়, এমন মনে করা।
২০. বিবাহের জোড়া বা প্রাথমিক সম্পর্কে পরিহিত আংটি স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা বাড়ায়, এমন মনে করা।
২১. বিবাহের সময় স্ত্রীর নাকে পরানো নাক ফুল খুলে ফেললে স্বামী মারা যায়, এমন মনে করা।
২২. সন্ধ্যার পর কাউকে কিছু দিলে বা ঘর ঝাড়– দিয়ে ময়লা বাইরে ফেললে লক্ষ্মী চলে যায় বলে মনে করা।
২৩. অমাবস্যার রাতের মিলনে বাচ্চা হলে সেটি কানা, খোঁড়া ও প্রতিবন্ধী হবে বলে মনে করা।
২৪. মাজারের নিকট কার-বাস না থামালে কিংবা সেখানে চাঁদা না দিলে দুর্ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা।
২৫. অমুক পীরের কারণেই আকাশ থেকে বৃষ্টি এবং জমিন থেকে উদ্ভিদ বেরিয়েছে এমন বলা।
২৬. অমুক পীরের কারণেই আজ আমার এতো ধন-সম্পদ, এমন কথা বলা।
২৭. অমুক পীরের কারণেই আজ আমার এতো মর্যাদা ও সুখ্যাতি, এমন কথা বলা।
২৮. কাউকে কোন সংবাদ দিলে এমন বলা যে, আমি আগে থেকেই এটি জানতাম। যেমন: আমি আগে থেকেই জানতাম তার ছেলে হবে।
২৯. ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাসূল! অথবা ইয়া আল্লাহ! ইয়া মুহাম্মাদ! ইত্যাদি বলা।
৩০. ইয়া আলী! ইয়া গাউসুল আযম! ইয়া জিলানী! ইত্যাদি বলা।
৩১. খাজারে তোর দরবারে, কেউ ফিরে না খালি হাতে, এমন কথা বলা।
৩২. আব্দুল কাদের জিলানী মদদ বা আগিসনী বলা।
৩৩. কোন পীরকে গরিবে নেওয়াজ, মুশকিল কুশা বা গাঞ্জে বাখশ বলা।
৩৪. উপরে আল্লাহ এবং নিচে তুমি এমন কথা বলা।
৩৫. তোমার উপর ভরসা করেই কাজে নামলাম, এমন কথা কাউকে বলা।
৩৬. আনাল-হক বা আমিই আল্লাহ কিংবা জানি না, কে আল্লাহ কে বান্দাহ! এমন কথা বলা।
৩৭. বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা উরসে কিংবা জুমার দিনে বিতরণকৃত হালুয়া, মিষ্টি, বিস্কুট বা খানাপিনা ইত্যাদিকে তাবারক বলা।
৩৮. আল্লাহ যে নাম নিজের জন্য চয়ন করেননি সে নামে তাঁকে ডাকা। যেমন: হে খোদা!
৩৯. তাকদীরকে মন্দ বলা; বরং মন্দ হলো তাকদীরের পরিণতি; মূল তাকদীর নয়।
৪০. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীকে তাঁর সৃষ্টির নাম ও গুণাবলীর মতো মনে করা।
৪১. আল্লাহর দ্বীনকে গালি দেয়া।
৪২. রাসূলের পক্ষে অসাধ্য বিষয়ে তাঁর সাহায্য চাওয়া।
৪৩. বিপদে পড়ে আল্লাহর উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা।
৪৪. আল্লাহকে নিরাকার বলে বিশ্বাস করা। অথচ কুরআন ও সহীহ হাদীসে আল্লাহর মুখমন্ডল, হাত, পা, আঙ্গুল ও চোখের কথা উল্লিখিত হয়েছে। যেগুলো
কোন ধরনের আকৃতি ও তুলনা বিহীনভাবে তাঁর জন্য স্বীয় আকৃতিতেই প্রমাণিত।
৪৫. আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা ও তাঁর হুকুম বা ফায়সালার সমালোচনা করা।
৪৬. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে খাতামুন্নাবিয়্যীন বা শেষ নবী মনে না করা।
৪৭. আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর অপব্যখ্যা করা। যেমন: তাঁর হাতকে তাঁর কুদরত দিয়ে ব্যাখ্যা করা।
৪৮. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দুনিয়ার জীবনের ন্যায় জীবিত মনে করা। অথচ পবিত্র কুরআনে তাঁকে মরণশীল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে; বরং তিনি বারযাখী জীবনে জীবিত। যা দুনিয়া ও কিয়ামতের মধ্যবর্তী জীবন; দুনিয়ার জীবন নয়।
৪৯. কুরআন ও হাদীস তথা দ্বীনি শিক্ষাকে অবহেলা ও ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৫০. তাকদীরের ভালো-মন্দের উপর সঠিক ও যথাযথভাবে বিশ্বাস না করা।
৫১. নবী ও ওলীর সম্মানে বাড়াবাড়ি করা ও তাদেরকে উসীলা হিসেবে গ্রহণ করা।
৫২. মৃত ব্যক্তির জন্য কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা।
৫৩. মৃত ওলী ও বুযুর্গদেরকে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতাধর বলে মনে করা।
৫৪. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত নীতি গ্রহণ না করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সেগুলো হক মনে করা।
৫৫. কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ করা। অথচ আল্লাহ মানুষের উপর কেবল তাঁর ওহীর অনুসরণকেই বাধ্যতামূলক করেছেন। তাই ওহীর ভিত্তিতেই কেবল কারো অনুসরণ হতে পারে।
৫৬. হকের বিপরীতে অধিকাংশ মানুষ, পূর্বপুরুষ ও বড় বড় লোকের দোহাই দেয়া।
৫৭. হক প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তি পূজায় গোঁড়ামি করা।
৫৮. গোঁড়ামিবশত: হকপন্থীদেরকে নানাভাবে কটাক্ষ করা, অপবাদ দেয়া ও তাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৫৯. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ বা কিছুর সামনে সাজদাহ বা মাথাবনত করা। যেমন: কদমবুচি ইত্যাদি।
৬০. ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন না করে এককভাবে শুধু সাধারণ জ্ঞানার্জন করা।
৬১. হকপন্থী আলিম-উলামা ও ইমামদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৬২. আল্লাহর সিফাতসমূহে শির্ক করা। যেমন: আল্লাহর ন্যায় অন্য কাউকে পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু, রিযিকদাতা ও বিধানদাতা মনে করা।
৬৩. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হিদায়েত, শাফাআত ও মুক্তি কামনা করা।
৬৪. পীর-ফকীর ও কবিরাজের শয়তানি তেলেসমাতি ও কারসাজিকে ওলীর কারামত বলে মনে করা।
৬৫. আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করা।
৬৬. মুসলিমদের সাথে ক্সবরিতা ও কাফিরদের সাথে আন্তরিকতা রাখা।
৬৭. ইসলামের নামে না জেনে কথা বলা ও তর্ক করা এবং বিনা দলীলে নিজের মন মতো হালাল-হারামের ফতোয়া দেয়া।
৬৮. জেনে-বুঝে ব্যক্তি ও দুনিয়ার স্বার্থে হককে গোপন করা।
৬৯. আল্লাহ, রাসূল ও শরীয়তের কোন ব্যাপার নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা।
৭০. যাদুকর, জ্যোতিষী ও গণকের কথা বিশ্বাস করা।
৭১. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে বিপদাপদ থেকে উদ্ধারকারী ও প্রয়োজন পূরণকারী মনে করা।
৭২. কবর পাকা করা ও তাতে তাওয়াফ করা এবং কবর কেন্দ্রিক মসজিদ বানানো ও সেখানে নামায আদায় করা।
৭৩. কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে পীর ধরা ও তার অনুসরণ করা।
৭৪. নবী, ওলী ও পীর-বুযুর্গদের জন্য যে কোন ইবাদাত করা।
৭৫. কোন জিন, ওলী ও পীর-ফকিরের নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য প্রার্থনাকরা, তার উপর ভরসা ও তার উদ্দেশ্যে মানত ও জবাই করা।
৭৬. কোন নবী-রাসূল ও পীর-বুযুর্গের মর্যাদার ওসীলা ধরা।
৭৭. কোন মৃত ওলী-বুযুর্গ কারো লাভ বা ক্ষতি করতে পারে এমন মনেকরা।
৭৮. কোন ওলী-বুযুর্গের কবরে ই’তিকাফ বসা।
৭৯. কবরের আযাব ও তার নিয়ামতকে অস্বীকার করা।
৮০. জান্নাত ও জাহান্নাম একদা নিঃশেষ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করা।
৮১. কোন মুসলিম অন্য মুসলিমকে নির্দিষ্টভাবে কাফির বলা।
৮২. কোন মৃত সম্পর্কে বলা: সে তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছে গেলো।
৮৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই এমন বলা; বরং আসল অর্থ হলো আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই।
৮৪. কুরআন ও হাদীসের অনুসারীদেরকে জঙ্গিবাদী বলে আখ্যায়িত করা।
৮৫. কথায় ও কাজে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য বজায় রাখা ও তাদেরকে ভালোবাসা।
- শাইখ মোস্তাফিজুর রহমান মাদানী